নীলফামারীা জেলায় এই প্রথম প্রত্নতত্ত্বের নিদর্শনের সন্ধান পেয়েছে প্রত্নতত্ত্ব সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জলঢাকা উপজেলার গড় ধর্মপাল
ইউনিয়নের পূর্ব খেরকাটিতে এর সন্ধান পাওয়া যায়। শনিবার থেকে এর খনন কাজ শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের লোকজন। গত সোমবার পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত এর খনন কাজ সম্পন্ন করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
অনুসন্ধানে প্রকাশ, স্থানটিতে ১৯৯০ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খনন কাজ পরিচালনা করেছিলেন এ ছাড়া একই সময়ে দক্ষিণ বাহুতে কয়েকটি স্থানে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট গভীরে খনন করা হয়েছিল তখন এর কাঠামোটি সু স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি ধর্মপাল গড়ের দুর্গ প্রাচীরগুলো মাটি দ্বারা তৈরি দীর্ঘ ১৬ বছর পর এর পুর্নাঙ্গ
রুপ দিতে পারল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়টি।
জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে জলঢাকা ব্যতিত আর ৫টি উপজেলায় এর কোন চিহ্ন নেই। এখানকার মানুষের ধারনা প্রায় ৫০০ কিংবা হাজার বছর আগে বৌদ্ধধর্ম ও সনাতন ধর্মীয় পুরোহিতরা এ স্থাপনা নির্মান করেছিলেন। শত বর্ষি এক বৃদ্ধ রাজকান্ত এ প্রতিবেদককে বলেন বয়স আমার শত পেরিয়ে গেছে। জন্মের পর থেকে শুনে আসছি প্রাচীনতম রাজারা ধর্মের স্থাপনা নির্মানের জন্য ধর্মপাল নামক স্থানে রাজ্য সভার পরিচালনার কাজ করতেন। এছাড়াও খনন এলাকা থেকে ২শত গজ দূরে সবুজপাড়া নামক স্থানে আরেকটি প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান মিলেছে। যার কাজ আর কিছুদিনের মধ্যে হতে পারে। স্থানটিতে পরিদর্শন করেন নীলফামারী-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বগুড়ার মহাস্থানগরের দলনেতা মুজিবুর রহমান রংপুর জাদুঘরের আবু সাইদ ইনাম, তানভিরুল এসএম হাসনাত বিন ইসলাম, রাজশাহী বিভাগের আফজাল হোসেন,রাজশাহী বিভাগের আলোকচিত্রকর আবুল
কালাম আজাদ, লোকমান হোসেন প্রমুখ। প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের সন্ধান মেলায় সেখানে নেমে আসে হাজারো মানুষের ঢল। উৎসুক জনতা একনজর দেখার জন্য অনেকেই দুর দুরান্ত থেকে আসেন। সাংস্কৃতিকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। ফলশ্র“তিতে আজ সেখানে গড়ে
উঠেছে ছোট একটি বাজার। সেখানে সমতল ভুমিতে ১১টি দোকান দেখা যায়। এমনকি রাতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪