২০০৮ সালের অক্টোবারের কথা। আমি আস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে যাই একটা কফারেন্সে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। প্রশান্ত মহাসাগর এর উপর দিয়ে কোরিয়া থেকে সরাসরি সিডনি ছিল আমার নন-স্টপ যাত্রা। সিডনি তে ৪ ঘন্টার স্টপওভার ছিল, পরবর্তি ডমেস্টিক ফ্লাইটে করে তাসমানিয়া দ্বীপের হোবার্ট শহরে যাওয়ার জন্য। আমার পরিচিত কেউ ছিলনা তখন সিডনি তে। তাই, আমাকে সেই ৪ ঘন্টা একাই ঘুরাঘুরি করে সময় কাটাতে হয়েছিল। আর আমি কোরিয়া থেকেও একাই আসছিলাম। ক্যামেরা আর ট্রাইপড ছিল আমার সঙ্গি। তখন আমার ক্যামেরা বলতে ছিল, একটা নরমাল ক্যানন ডিজিটাল ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা দিয়ে আজকে আমি আপনাদের আমার চোখে হোবার্ট শহর দেখানো ট্রাই করবো। ফিরতি পথে অবশ্য আমি ২ দিন সিডনি ছিলাম, কিন্তু সিডনি ভ্রমনের ছবি এখানে দেবো না, আজকে শুধু তাসমানিয়ার হোবার্ট।
তাসমানিয়া একটা অস্ট্রেলিয়ান দ্বীপ রাজ্য যা মূল ভূমি থেকে ২৫০ কিমি দক্ষিনে, বস প্রনালী দ্বারা বিভিক্ত। এইটা হলো পৃথিবীর ২৬ তম বৃহত্তম দ্বীপ। ছবির মত সুন্দর এই দ্বীপে মাত্র ৫ লক্ষ লোক বাস করে। যাইহোক, আমার আজকের এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য হলো এই দ্বীপ রাজ্যের হোবার্ট শহরে আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করা, সেটাই করি। তার আগে হোবার্ট সম্পর্কে কিছু কথা বলেনি। এই শহরের স্যালমন ফিস খুবি বিখ্যাত এবং সুস্বাদু। প্রথম বসবাস শুরু হয়েছিল ডারোয়েস্ট নদীর পূর্ববর্তী উপকূলের তীরে দন্ডিত অপরাধীদের উপনিবেশ রিসডনকোডে ১৮০৩ সালে। ১৮০৪ সালে এটিকে বর্তমান হোবার্টের সাললিডেন্সকোডের মত ভালো জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। শুরুতে হোবার্ট শহর হোবার্টন নামে পরিচত ছিল, পরে এর নাম করন হয় লর্ড হোবার্ট। ১৮৩৬ সালে চার্লস ডারউইন হোবার্ট শহর পরিদর্শন করেন। বাগেলর অভিযান হিসেবে তার রচিত ভয়েজ অব বাগেল এ হোবার্ট ও ভারোয়েন্ট মোহনা সম্পর্কে লিখেন। দক্ষিন মহাসাগর কেন্দ্র হচ্ছে ভারওয়েন্ট নদী যেটি অস্ট্রেলিয়ার গভীরতম এবং সামুদ্রিক বাণিজ্যবন্দর। ১৮৪২ সালের ২১ আগস্টে মূল হোবার্ট শহরের সুচনা হয় এবং ১৮৭৫ সালে এর পরিপুর্নতা পায়।
১) অনেক কথা বললাম, এখন আসেন আমার যাত্রা পথ নিয়ে একটা আইডিয়া দেওয়ার ট্রাই করি (যারা ভুগোলে কাঁচা তাদের জন্য, লাইনে টেনে দেখানো হয়েছে)ঃ

২) সিডনি থেকে হোবার্ট (লাইন দিয়ে দেখানো হয়েছে)

৩) আমার হোটেল থেকে কনাফারেন্স ভেন্যু সহ হোবার্ট শহরের একাংশঃ

৪) এক অলস পড়ন্ত বিকালেঃ

৫) কনফারেন্সের লাঞ্চঃ

৬) আমরা কয়েকজন কনফারেন্সের পার্টিসিপেন্টঃ

৭) কাঁচ ঘেরা রুম এর ভিতর থেকে বাইরের দৃশ্যঃ

৮) অসাধারণ সুন্দর লেক, কনফারেন্স ভেন্যুর বাইরে থেকে তোলাঃ

৯) হোবার্টের ক্রিকেট খেলার মাঠ। সম্ভবত এটি ছিল, তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যলয়ের মাঠঃ

১০) লেকে একটা ছোট্ট লঞ্চে করে ২ ঘন্টার ভ্রমন, দূরে আমার কনফারেন্স ভেন্যু দেখা যায়।

১১) লঞ্চে সার্ভকৃত দুপুরের খাবার, বিখ্যাত ইংলিশ ফুড ফিস ফ্রাই উইথ পটেটোঃ

১২) দূর থেকে হোবার্ট শহরঃ

১৩) এবার আমার সিডনি তে তোলা একটি শেষ ছবি দিয়ে শেষ করলামঃ

আশা করি ছবি গুলো আপনাদের ভাল লাগবে আর আমার কিছু শ্রম ঘন্টা সার্থক হবে। ধন্যবাদ।
বি দ্রঃ পূর্বে একবার প্রকাশিত।
