আমি অন্ধকার
লিখতে শিখেছিলাম-
আকাশের গায়ে!
যেদিন-
বুনো চাঁদ উঁকি দিয়ে বলেছিল
তুইতো দক্ষিনে যাবি,
তাই দেখবি উত্তুরে পাহাড়ের স্বপ্ন!
তোর কেউ থাকবে না,
তাই দেখিস- তোর বিছানায় লুটপুটি খাবে-
প্রতীক্ষার সুগন্ধি চাদর!
তুই না পথের, না বঁধুর!
তবু জোছনায় ভরা বান ডাকলে
অনিকেত প্রান্তরের সাথে জুড়বি গৃহসুখ পরকীয়া!
তোর রাঁধা যে গোখরোর মণি মুঠোয় নিভিয়েছিল-
তার অভিশাপ ঘোরে-
ঘুরপাক খাবি নগরের দেওয়ালে দেওয়ালে!
তুই আয়নায় বুঝি নিজেকেই দেখিস?
আমি তো দেখি এক ক্রীতদাস পাখি-
যার ডানা ছিল না
ছিল শুধু উড়বার স্বপ্ন।
আমি তার একেশ্বরবাদ প্রত্যাখ্যান করেছিলাম বলে
চরিত্রহীন বহুগামী গালি দিয়ে সূর্য বলেছিল-
আজ থেকে তোর জন্য জলরং দন্ডনীয়
চারকোল একমাত্র অধিকার!
সেদিন আমার সব অরণ্য জ্বলে উঠেছিল স্বঘোষিত দাবানলে।
আমি তো হীরের স্বপ্ন দেখিনি
তবু আমার কয়লায় কেন আলোর ঝলকানি?
আমি পৃথিবীর সব সমুদ্রের বুকে
পা রেখে বলেছিলাম-
যদি সবুজ নিষিদ্ধ কর-
তবে সক্রেটিস স্বাক্ষী- আমিও হেমলক চিনি!