কেউ কেউ জীবনে অক্সিজেনের মতো হয়ে যায় ,
পরিব্যপ্ত হয় রক্তকরবী গোধূলী,-
আর সকাতর রিমঝিম জোছনায়।
এমন করেই কেউ কেউ সীমানা পেরুবার হাতছানি দেখিয়ে,
অনায়াসে ডুবে যায় দীঘির জলের দুর্বোধ্য নিস্তব্ধতায়।
কেউ কেউ নিমেষেই হয়ে যায় সবটুকু অরণ্য,
গুটিয়ে ফেলতে পারে সতৃষ্ণ সবুজ সব রাত্রি,
রুদ্রাক্ষের মালা গলায় পরে আলতো হাসিতে,
ফিরিয়ে নেয় সব সুন্দরের সকরুণ সিন্দুক।
অথচ আমারও হাতে ছিল বুনো গোলাপের হৃদয়,
অথচ আমারও হাতে ছিল একগোছা আষাঢ়ে কদম,
আমিও বাদল দিনের মেঘে মেঘে ঝলসে উঠেছি শিহরণে
একদিন আমিও খুব হেঁটেছিলাম পথ বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে!
পুড়ে পুড়ে আলো হবার ঝলসানো বাসনায়,
সুর্যের মত আমিও ভালবেসেছিলাম প্রজ্বলিত অগ্নিকে!
ধূমকেতুর মত গৃহত্যাগী ভালোবাসায়,
আমিও ছেড়েছিলাম খোলস শৈশব প্রজাপতির ।
একদিন আমিও ছিলাম খুব কাঙ্গাল কোনো দ্বারে,
বিলাস করবার মত কিছু দুঃখে ছিলাম খুব সুখী কোনোদিন!
হারিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে খুঁজতে লাজুক পথিকের মত,
গোলকধাঁধার ফাঁদে ধোকা খেয়ে হেরে গেছি আমি বহুবার।
কান্না চেঁপে একলা পথ হাঁটা শিখতে হয়েছে আমায় বহুদামে,
ভুল দামে বিক্রি হওয়ার যাতনায় আমারও কেটেছে অস্ফুট নীল প্রহর!
এবার আর যদি দেখা হয় বিধ্বস্ত নীলিমার ঘাসফুল প্রান্তরে,
এবার আর যদি দেখা হয় রাজপথের রোদঝরা দিকভুল নদীতে,
হারাবার মত আর সব কিছু হারিয়ে ফেলে,
তবেই তুমি ডানা মেলো সেইবার,
বিহ্বল সবটুকু অশ্রু ঝরিয়ে টুপটাপ,
তবেই তুমি চোখ মেলো সেইবার।