নিশুতি নিঃসঙ্গ কোন এক আরন্যিক শূন্যতার স্বরলিপি
ঠোঁটে তুলে নিয়ে দোল খায় নিশাচর শব্দভেদী বাদুড়ের দল।
মন্ত্র পড়া ভোরে অবাক বিস্ময়ে আড়মোড়া ভাঙ্গে ঘাসফুল,
জেনে রেখ নির্ঘুম রাতের সাক্ষ্য, ঝিঁঝিঁপোকারাও দেবে একদিন।
আলো ফোটানোর বেদনা কি একা জোনাকীর জানলে চলে?
শুভ্রতার বুকে কবির কলম তাই এঁকে চলে কালিমার শ্লোক।
একজন নারী এক সম্রাটকে জয় করে সম্রাজ্ঞী বনে গেলেও,
একজন পুরুষকে সম্রাট হতে একটা পৃথিবীকে জিততে হত।
ঝরা পালকের ব্যথা বুকে নিয়ে পরিযায়ী পাখা মেলে শীতকালীন নির্বাসন,
প্রহর ফুরালে তবু নির্বানের রঙ মাখে লম্পট সূর্য,সমর্পিত সন্ধ্যা প্রদীপে।
গান হোক পাখি, ভালোবাসা প্রসারিত ডানা,
অচল স্বপ্নেরা তখন নির্দেশক উদাসীন অমরত্বের ।
সব কোকিল বসন্ত ফুরোতেই গুটিয়ে ফেলেনা ডানা,
কোন কোন ভালোবাসা তাই,-
নিতান্ত ভালবেসেই ঘৃণা করে যায় চিরকাল।