আমাকে নিয়ে খুব খেলিস,
তুই, তোরা, এপাড়া, সেপাড়া…
ইচ্ছে হয় আর ডেকে বলিস,
যাহ্ শালা, তোর গায়ে গন্ধ,
সরে হাঁট, কয়দিন গোসল করিসনা!
এহ মা, কি ভীষন নোংরা!
এই সর সর, এক লাত্থি খাবি।
আমাকে নিয়ে হাসিস জানি,
কিন্তু তোদের কে বলছি শোন-
তোদের মত লোভী শুয়োরগুলোর জন্য একটা বিরাট সুখবর!
সারাজীবন পেট ভরে খেয়েছিস,
তার বেশী ছড়িয়ে নষ্ট করেছিস,
মোটা তাজা হয়েছিস,
ঝলমল রৌদ্রে স্যাঁকা, রেশমি পেলব ত্বক,
পাছা ভর্তি চাপ চাপ মাংস!
তোদের জন্য একটা কসাইখানা গড়া হচ্ছে।
তোদের সুরভিত থাই গুলো মশলায় ভেজানো হবে,
সুমাত্রার মশলা, একটুও অনাদর হবে না বুঝলি?
বিশাল উৎসব হবে, সবাই হাজির হবে,
দেখে মনে হবে যেন কেয়ামতের ময়দান!
আমন্ত্রন পত্রও ছাপানো হয়ে গেছে,
এই মহান উৎসব এর সম্মানিত অতিথিবৃন্দ-
জগতের অনাহারী ক্ষুধার্ত কুকুরগন,
ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন পথে।
রান্নার আগুনটুকু কোথা থেকে আসবে ভাবতো?
না না তোদেরকে পোড়ানোর জন্য-
পৃথিবীর একটা গাছও কাটা পড়বে না।
তোদের নেকীর হিসেবের যে আমলনামা,
ওগুলো খুব বিশাল হয়ে গেছে জানিস?
তোদের নেকীর হিসেব রাখতে রাখতে
স্বর্গের ব্যাংক গুলো প্রায় দেউলিয়ার পথে!
তোদের আমলনামার কাগজ যোগাতে যোগাতে
নিষিদ্ধ গন্ধম বৃক্ষগুলোও প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এতক্ষণে বুঝে ফেলেছিস তাইনা?
ঐ আমলনামা পুড়িয়েই আগুন হবে
বেহেস্তী বাবুর্চি ভর্তি জাহাজটাও নোঙর তুলেছে।
তসবি ঠুকে আর কপালে কড়া ফেলে,
বরাদ্দ বাহাত্তর হুরের সবাইকেই-
তো প্রাই হাসিল করেছিস।
চির যৌবনা, চির কুমারী,
কামে- রসে টইটুম্বুর বেহেস্তের পবিত্র মাগী বৃন্দ!
ওনারা আসতে বড়ই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
পান পাত্র হাতে অতিথি সেবায়-
ওনারা থাকবেন কাতারে কাতারে,
কুকুরগুলো বড়ই উদগ্রীব অপেক্ষায় আছে রে,
আমাকে নিয়ে তো খুব হাসিস না?
এবার দেখিস...