কয়েকজন বন্ধু । হঠাত আড্ডায় একদিন কথায় কথায় এক বন্ধু বলেই ফেলল যে, হ্যা ঐ মেয়েটির সাথে তার সম্পর্ক ছিল । এবার সবাই পেল নতুন এক টপিক , নবজীবন পেল তাদের আড্ডা । এ নবজীবন তাদের দান করল হাজারো অজানা তথ্য । প্রকাশ পেল সেই প্রেমিক প্রেমিকার শারীরিক সম্পর্কের কথা । প্রেমিক তার প্রেমিকার শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের পুংখানুপুংখ ব্যখ্যা প্রদান করল তার মিত্রদের কাছে । হঠাত সে লক্ষ্য করল তারা কেউই তার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না । তাদের চেহারা বলছে এ সুন্দর এক গল্প । আঘাত অনুভব করল প্রেমিক তার পৌরুষত্ত্বে ।
পরদিন । হ্যা , ঠিক পরদিনই প্রেমিক তার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে গেল তার বাসায় । বাকীদের ধারণাই ছিল কোন পাপের,অন্যায়ের অংশীদার হতে যাচ্ছে তারা । কোনরূপ সময় ব্যয় না করেই প্রেমিক মেলে ধরল তার ল্যাপটপ আর সেই ল্যাপটপ তুলে ধরল প্রাক্তন প্রেমিকার নগ্ন দেহ । চোখ দিয়ে ধর্ষণ করে গেল তারা মেয়েটিকে । প্রেমিকের চেয়ে চার বছরের ছোট এক বালিকার দেহের উপরে কিভাবে ঝাপিয়ে পড়তে হয় তা প্রেমিক শেখাতে লাগল তার বন্ধুদের ।
এভাবে প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে হাজার নারী । তারা কারো না কারো বোন , আর আরেক দলের কাছে তারা কেবলই সম্ভোগের বস্তু । কতটা বিশ্বাস করে সে তার দেহ সঁপে দিয়েছিল তার প্রেমিকের কাছে তা জানবে না তার প্রেমিক , না জানবে তার প্রেমিকের বন্ধুগণ । তারা প্রত্যেকে ধর্ষক । আবার তারাই মাঠে নামে ধর্ষকের বিচারের জন্য ।
কি দোষ ছিল মেয়েটার ?
প্রেমিক হয়ে নিজের বিবেককে একবার প্রশ্ন করো ।
সে বিয়ের কথা বলে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেমিককে রাখতে পারেনি নিজের করে ?
তাহলে তুমি কেমন পুরুষ হলে যে সকল দোষ তার ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে কামের বস্তুতে পরিণত করলে আর হাজার মানুষের সামনে তাকে বানালে বেশ্যা ?
পুরুষাঙ্গ থাকা সত্ত্বেও তুমি তাহলে পুরুষ নও ।
তোমার বোন , তোমার মা , এমন আরো হাজারো নারী আছে তোমার আত্মীয় । শুধু তাদের প্রতি সম্মান দেখানোকেই নারীকে সম্মান দেখানো বলে না ।
মেয়ে তুমিও নিজের বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দিলে সেই ছেলের কাছে তোমার দেহ সঁপে ।
পরিবর্তন হোক সমাজ , পরিবর্তন হোক সামাজিক জীবের মন-মানসিকতা ।
ধর্ষক হয়ো না , মানুষ হও ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৩