প্রথম পর্ব পরতে চাইলে ক্লিক করুন।
কিছু একটাত হয়েছে যার জন্য এমন পাগলামি করছে মেয়েটি।
কি সেই কারন? আমি দেখতে খারাপ না তবে আহামরি টাইপের সুন্দরও না। আমার মত চেহারার ছেলে ১০০তে ২০টা পাওয়া বেপার না।
এবার মেয়েটি বলতে শুরু করল। যা বলল তাএমন। মেয়েটি বিয়ে ভাংগার সিদ্ধান্ত নেবার পর ভেবেছিল আমি মেয়েটির সাথে খারাপ আচরন করব। নরমালি নাকি সবাই এরকম করে। অথচ তার সাথে দেখা করলাম কোন খারাপ আচরন করলাম না। তাই মেয়েটি ভেবেছে সামনা সামনি বলে ভাল ব্যাবহার করছি। পরে ফোনে হয়ত করব। তাও করলাম না। আমাকে ফোন করলে আমি খুব ভাল করে কথা বলতাম। মেয়েটি কষ্ট পাক এমন কোন কথা আমি বলতাম না।
এখানে বলে রাখা ভাল। আগের পোষ্টে অনেকেই বলেছে মেয়েটির নিস্চই কার সাথে সম্পর্ক আছে। কিন্তু আমি সেটা কখনই মনে করতাম না। মেয়েটির সাথে একদিন কথা বলে বুঝেছি। মেয়েটি খুব চন্ঞ্চল প্রকৃতির। এমন মেয়ে কারসাথে প্রেম করতে পারে না। আর করলেও প্রকাশ করত (এটা আমার নিজস্য মতামত ভুলও হতেপারে)। আসলে আমি মেয়েটিকে কোন ভাবেই খারাপ ভাবতে পারছিলাম না।
মেয়েটির নানান অনুরুধ শুনার পরও আমি বাড়িতে বলার প্রয়োজন মনে করছিলাম না। মেয়েটির প্রতি কোন ভাল লাগা অথবা ভালবাসা আমার মাঝে অনুভব করিনি আমি।
তবে ফোন করলে তার সাথে কথা বলতাম।
এমনই একদিন পাত্রী দেখতে যাচ্ছি। মেয়েটিন ফোন আসল।
সে: কি করছেন?
আমি:মেয়ে দেখতে যাচ্ছি।
সে: মেয়ে দেখতে কেমন?
আমি: আমি দেখিনি, আমার চাচা দেখেছেন, ভালই বললেন।
সে: আপনার পছন্দ হলে বিয়ে হয়ে যাবে?
আমি: জ্বী।
আমি: আপনি পরে ফোন করুন আমি ব্যাস্ত আছি।
সে: আচ্ছা।
মেয়ে দেখে আসলাম, সুন্দর দেখতে। সবারই পছন্দ হয়েছে, শুধু আমি ছারা।
পাঠকরা অনেকেই ভাবছেন আমি সেই মেয়ের প্রেমে পরে আছি, আমার আর কোন মেয়ে পছন্দ হবেনা। কথাটা আমার এক চাচাত ভাই আমাকে বলেছিল, তাই বললাম।
পাত্রী পছন্দ না হবার কারন পাত্রীর বয়স। প্রায় আমার বয়সের অর্ধেক হবে পাত্রীর বয়স। অথচ এই বিষয়টা কেও আমলই দিতে চায় না। যেন এটাই নিয়ম ২৭ বছরের একটা ছেলে করবে ১৪ বছরের এক মেয়েকে বিয়ে। বাল্য বিবাহ এখনও রয়েগেছে গ্রামে গ্রামে। আর হবেই না কেন। আমি যত পাত্রী দেখেছি বেশীর ভাগ বাতিল করেছি বয়সের কারনে। আর বিয়ে করতে গেলেই বুঝাজায় পাত্রী পাওয়া কত কষ্ট। প্রেম করিনি বলে কত কথাশুনেছি। আর মনে মনে বলেছি আগে যখন প্রেম করতাম তখনত অনেক শাসন করেছিলে। এখন দোষ আমার না তুমাদের?
পাত্রী খুজতে খুঝতে আমি বিরক্ত হয়ে একদিন ঘোসনা করলাম আমি বিয়ে করব না। তখন আমার বাবা আমাদের প্রতিবেশির বোনের মেয়ের কথা বললেন। আমিও বলেদিলাম ঠিকআছে তবে এটাই শেষ। এটা পছন্দ হলে বিয়ে করব না হলে করব না। এদিকে সেই মেয়েটার সাথে আমার যোগাযোগ চলতে থাকে। আমার বিয়ের সব খবর আমার কাছথেকে সে নিচ্ছে। আমার দিকথেকে তেমন আশার বানি এখও পায়নি,তাই মাঝেমাঝে আমাকে কতটা ভালবাসে তাই বুঝাতে চায়।
আমিও তাকে বলি, দেখুন আমি আপনার সাথে ভাল আচরন করেছি তাই হয়ত আপনি আমাকে ফেরেস্তা টাইপের কিছু ভেবে বসে আছেন। আসলে আমি আর দশটা ছেলের মতই। সবারই মতামত দেবার অধিকার আছে,আপনি আপনার মতামত দিয়েছেন আর আমিও মেনে নিয়েছি এখানে ভাল মানূষির কিছু নাই। মেয়েটি কিছু বললনা তবে মনে হল কাঁদছিল।
এই প্রথমবার মেয়েটির প্রতি আমার মায়া হল। আমি মেয়েটির সাথে বিয়ে জোড়া দিতে চেষ্টা করতে লাগলাম। তবে মেয়েটিকে তা জানালাম না।
কিভাবে বাড়িতে কথাটা বলি সেটা বুঝতে পারছিলাম না। তবে এখানে বলে রাখা ভাল মেয়েটি যে বিয়ে ভেংগে দিয়েছে তা আমাদের বাড়ির সবাই জেনেগেছে। মেয়েটি যে আমাকে ফোন করে তাও সবাই জেনেগেছে।
একদিন মায়ের সামনে ল্যাপটপে রাখা মেয়েদের ছবিগুলো দেখছি আর বলছিলাম।
আমি: মা অপুর খালাত বোনকে দেখারপর সব গুলু ছবি একসাথে করে একটা সিলেক্ট করে ফেলব।কি বলেন?
মা: করিস তবে ঢাকার ঐ মেয়েকে বাদে (আমার এক আত্তিয়া)।
আমি: আচ্ছা।দেখেনত কাকে কাকে সিলেক্ট করার দলে নিব?
এই বলে আলাদা একটা ফাইল বানালাম আর একটা একটা করে (যে গুলু মোটামুটি ভাল লেগেছে) কপি পেষ্ট করতে লাগলাম। সেই মেয়েটির ছবির কাছে আসতেই মা বলল এটাও বাদ। আমি অবাক হবার ভান করে বললাম কেন? মেয়েত এখন রাজি। মার সহজ জবাব এখন আমরা রাজি না।
মনে মনে ১০০% নিশ্চিত হয়ে গেলাম তার সাথে আমার জোড়ি লেখানেই। জোড়ি আল্লাহ নিজে বানিয়ে দেয় আমি আমার অভিগ্যতা থেকে বুঝেগেছি। সেই গল্প আপনারা জানতে চাইলে লিখতে চেষ্টা করব।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪