এখনও কেন আমাদের শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করেন নাই? আমাদের সকল লিডারদের মত শিক্ষামন্ত্রীও কি এতটা নির্লজ্জ!! ক্ষমতার এত লোভ!!!! লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান এখনও কেন পুলিশের হেফাজতে নেই!!?? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকলেই এজন্য দায়ী। নেতারা মনে রাখবেন আমরা বেকুব হলেও নিস্পাপ বাচ্চাদের স্কুলে আম্রিকার মত এরকম হামলা মেনে নিতে পারি না। দয়া করে গলাবাজি না করে যতদ্রুত যতশীঘ্রই সম্ভব হামলাকারীদের গ্রেফতার করে সর্ব্বচ্চো শাস্তি দিন।
বিরোধীদলের উচিত এক্ষেত্রে দয়া করে স্বভাবসুলভ মিথ্যাবাজি না করে জাতির কাছে এজন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে সাহায্য করা। আমি নিশ্চিত আমার মত অসংখ্য বেকুব বাঙালি এখবরটা দেখে সংশ্লিষ্ট পলিটিশিয়ানদের প্রতি রাজাকারদের থেকেও বেশি ঘৃণা প্রকাশ করছে, এমনকি ওই সব পলিশিয়ানদের মুখে ওয়াক-থু দিতেও দ্বিধা করবে না হা!!!
জাতীয় পতাকার খুঁটি খুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধাওয়া
হরতালে দুটি স্কুলে হামলা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত ১৪
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের দুটি স্কুলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হামলা চালিয়েছে হরতালের সমর্থকেরা। এতে তিন শিক্ষক ও ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
হরতালে স্কুল খোলা রাখায় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরতালের সমর্থক একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে স্কুল দুটিতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাই, শিক্ষক নাজনীন জাহান ও সাবিনা ইয়াসমিন এবং অন্তত ১১ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
স্কুল এলাকায় বিএনপির স্থাপন করা দুটি বিলবোর্ড নষ্ট হওয়া এবং হরতালের দিন স্কুল খোলা রাখার অভিযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে।
একই সময় হামলাকারীদের অপর একটি দল খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে অ্যাসেম্বলি চলছিল। হামলাকারীরা স্কুলের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেই বাঁশ দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তাড়া করে। এ সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি নেমে আসে।
খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘স্কুল এলাকায় লাগানো বিএনপির কয়েকটি বিলবোর্ড কে বা কারা নষ্ট করেছে। সেই কারণে এবং হরতালের দিন বিদ্যালয় খোলা রাখার অভিযোগে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এই হামলায় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী আহত হয়েছে।’
শিক্ষিকা নাজনীন জাহান বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে স্কুলের আমানত এবং দেশ ও জাতিসহ পরিবারের সম্পদ শিশু শিক্ষার্থীদের হামলার হাত থেকে বাঁচাতে বিদ্যালয়ের মাইকে এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, স্কুলে হামলা হয়েছে। ওরা আমাদের লাঞ্ছিত করছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মারছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। দয়া করে অভিভাবক ও এলাকাবাসী এখানে আসুন। হামলাকারীদের ঠেকান। আমাদের বাঁচান।’
মাইকিং শুনে এগিয়ে আসা অভিভাবক মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘স্কুলের আপার মাইকিং শুনিয়া স্কুলোত আসি দেখোং সে এক ধুলায় অন্ধকার, ছাওয়া পাওয়া যায় যেদিকে পাবারনাকছে কান্দাকাটি করি দৌড়ে পালাবার নাগছে। আমরা আসলে হামলাকারীরা পালেয়া গেইছে।’
এ ঘটনায় জেলার শিক্ষক ও অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি জমির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা শহর থেকে সেখানে শিক্ষকতা করতে যাওয়া শিক্ষকদের পুলিশের গাড়িতে করে শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। স্কুল দুটির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোসলেম উদ্দিন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নবেজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হরতালের দিন বিদ্যালয় খোলা রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
হামলার ঘটনার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট জেলায় ছিলেন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ওই স্কুল এলাকায় আমাদের দলের বিলবোর্ড আওয়ামী লীগের লোকজন নষ্ট করেছে।’ তিনি দাবি করেন, ‘আজকের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত নয়। বিএনপির লোকজন হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করলেও কেউ হামলা বা ভাঙচুর করেনি। তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।’
সম্পুর্ন খবর
আসলেই এর শক্ত ও কঠিন প্রতিবাদ হওয়া উচিত এবং দায়িদের ভয়াবহ শাস্তি হওয়া উচিত। সরকারের প্রকৃত দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত এবং কার্যক্রম না দেখলে বেকুব এ জাতি কিন্তু নিজের পায়ে প্রয়োজনে আঘাত করতেও দ্বিধা করবে না। সরকারীদল এরকম একটা সূবর্ন সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে এরচেয়ে ঐ দলের দুঃখের কিছুই নেই। খেয়াল করুন, এলেঙ্গা পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর জয়।
আপনাদের দৃষ্টির বেকুব এ জনতার হতাশা কি একটুও ছিল না বলে সরকারের ধারনা!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২