বগুড়ার শাজাহানপুরে মানুষ রুপি শয়তান পিতার লালসার শিকার হয়ে এক কুমারী ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা! পিতার এই অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে মুক্ত করতে অবশেষে অসহায় কুমারী গতকাল রোববার শাজাহানপুর থানা পুলিশের স্মরনাপন্ন হয়েছে।
১ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে রেখে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে স্ত্রী বিয়োগ ঘটে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের চাঁচাইতারা কর্মকার পাড়ার মৃত উপেন্দ্র কর্মকারের পুত্র প্রল্লাদ চন্দ্র কর্মকারের। এর পর জ্যাঠা মা রেখা রাণীর বুকের দুধ পান করেই বেড়ে ওঠে ওই কন্যা শিশুটি। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়াও করে। কিন্তু মা হারা শিশুটির জীবন ধারণে ভরনপোষনের অভাব দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পড়াশুনা বন্ধ করে বগুড়া শহরের একটি বাসায় সে ঝি’র কাজ শুরু করে। এত দিনে সেই ১বছরের শিশুকন্যাটি পরিণত হয়েছে ১৫ বছরের কুমারীতে। লম্পট পিতা বলে কথা! ঝি’র কাজ বন্ধ করে মেয়েকে নিয়ে আসে নিজ বাড়ি চাঁচাই তারা কর্মকার পাড়ায়। থাকে একই ঘরে। স্ত্রী বিয়োগের দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রল্লাদ চন্দ্র আর বিয়ে করেনি। এমতাবস্থায় নিজ ঘরে থাকা মেয়ের সাথে জোরপূর্বক গত ১ বছর যাবত অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল বলে পুলিশ হেফাজতে থাকা অন্ত:সত্ত্বা ওই কুমারী জানিয়েছে। সে আরও জানায়, পিতার এ অনৈতিক কাজের প্রতিকার চেয়ে বছর খানেক আগে নিখিল, বিপদ, বৈদ্য, বাবলু, রঞ্জিৎ সহ স্থানীয় কয়েকজন মাতবরের কাছে জানিয়েও কোন ফল পায়নি ওই কুমারী। উল্টো ওই কুমারীকে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখিয়েছে তার পিতা। করেছে শারিরীক নির্যাতনও। গত শনিবার সকালে অন্ত:সত্ত্বার বিষয়টি ঘটা করে প্রকাশ পেলে লম্পট প্রল্লাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফণি চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ গতকাল রোববার ওই কুমারীকে হেফাজতে নেয়। এ সময় পিতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ওই কুমারী। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ছি: ছি: রব ওঠে। নরপশু প্রল্লাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সমাজের সচেতন মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে বর্বরোচিত এই ঘটনা।
এই শয়তান পিতাকে জিবন্ত আগুনে পুড়য়ে দগ্দ করা হোক।