রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে লিখবার ইচ্ছে ছিলোনা কোনকালেই । দুটো ব্যাপারই বিতর্কের সৃষ্টি করে, সন্দেহের অবকাশ নেই। আর ধর্ম নিয়ে যখন রাজনীতি দেখি তখন আমি গলায় অদৃশ্য একটা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ঘোরাঘুরি করি "১০০ হাত দুরে থাকুন। হর্ণ বাজান। সাইড নিন"
সৃষ্টিছাড়া বিতর্কে অংশগ্রহণের পক্ষপাতী নই আমি। সুতরাং, সাইড নিন অন্যথা চেষ্টা করুন।
অবশ্য, সুক্ষ্ণ আঁতেল শ্রেনীর বামপন্থীরা দাবী করতেই পারেন "প্রতিটি মানুষই রাজনীতির অংশ। কেউই রাজনীতির বাইরে নন"। তাদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য থাকে অন্যরকম। আমি এবং আমরা রাজনীতির বাইরে থাকতে পছন্দ করি। আপাতত এটাই আমাদের রাজনীতি। নোঙরা ঘাঁটাতে আমরা পছন্দ করি না। রাজনীতি পরিচ্ছন্ন হলে নিশ্চয়ই আমাদের উপস্থিতি অনুভব করবেন। এবং প্রবল ভাবেই।
সাম্প্রতিক বিশ্বজিত হত্যাকান্ড চায়ের আড্ডা জমানোর জন্য একটি দারুন টপিক। সন্দেহ নেই হতভাগ্য যুবকের বাবা-মায়ের চোখের জল চায়ের আড্ডার পরিবেশকে প্রভাবিত করবে না। প্রভাবিত করবে না ব্লগে, জাতীয় দৈনিকে বিশ্বজিতকে নিয়ে অনেক হৃদয় বিদারক লেখা। হপ্তা না ঘুরতেই সব অতীত হয়ে যাবে। প্রমান চান? বেশ তো, দেখিয়ে দিচ্ছি। বিশ্বজিতের মতন কি আর কেউ মারা যায়নি এদেশে? যদি মারা গিয়েই থাকে তাহলে তাদের দু/একজনের নাম মনে পড়ছে কি?
কি আশ্চর্য! একজনের নামও মনে পড়ছে না? তাহলে কি বিশ্বজিত আমাদের কলুষিত রাজনীতির সবেধন নীলমণি একমাত্র শিকার?
কে আসলে বিশ্বজিতের খুনি? আওয়ামী লিগ?
উহু! অসম্ভব। হতেই পারে না। পাগলা কুকুরকে বেঁধে না রাখলে আপনি যদি তার কামড় খান সে দায় আপনার। কুকুরের কাজ তো কুকুর করবেই।
আমরাই বিশ্বজিতের হত্যাকারী। আমরা নির্বাচিত করেছি একদল হায়েনাকে যারা আমাদের শাসন করবে। কোনবারই আমরা ভুল করিনা, প্রতিবারই হায়েনা কিংবা হিংস্র কুকুরগুলোকেই আমরা নির্বাচন করবো। বিশ্বজিতের মতন মারা পড়বো। এবং গোল্ডফিশের স্মৃতিশক্তির ব্যবহার করে সেটা ভুলেও যাবো। আমাদের আস্ফালন এবং বৃথা হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা শুধুমাত্র কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ। সামনে নির্বাচন আসছে। আসুন গোল্ডফিশের মতন সব ভুলে যাই। আওয়ামী, জাতীয়তাবাদী, জামাত কিংবা জাতীয় পার্টিকে আরো একবার আমাদের বিবেক ধর্ষণের সুযোগ দেই।