(মুখবন্ধঃ নাহ, ভেবেছিলাম এটা আমার লেখবার মতন কোন বিষয়বস্তু না। তারপরেও অফিস কলিগ যখন রসিয়ে রসিয়ে বিষয়টা বলা শুরু করলো, ভাবলাম ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি আমি খানিকটা রস আস্বাদন করতে পারি, খানিকটা ভাগ তো ব্লগিয় ভাইবোনদের ওপরেও বর্তায়। খোলাসা করেই বলা যাক। আমি আর দশজন সাধারন মানুষের মতোই ঘটনাটা বলছি। আমি নিশ্চিত আপনাদের অনেকেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন, সুতরাং আমি ব্যাখ্যা করবার মতন কোনো যৌক্তিক কারন খুঁজে পাচ্ছিনা। শুধু এতটুকুই বলি নারায়ন দেবনাথের “নন্টে-ফন্টে” না পড়া থাকলে পুরো রস টা আস্বাদন করতে পারবেন না)
সম্প্রতি স্যামসাং আর অ্যাপলের মধ্যে “কামড়া-কামড়ি” অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবেন। কেউ কাউরে ছেড়ে কথা কইছে না। ঘটনার শুরু যখনই স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি এস থ্রি আমেরিকার বাজারে ছাড়লো। আর যায় কোথায়? অ্যাপল দাবী করে বসলো ওটা চলবে না। ও আমাদের এক প্রোডাক্টের নকল (আমার অজ্ঞতার কারনে মডেলটার নাম উল্লেখ করতে পারছি না)। আমেরিকায় এসে আমাদের সাথে মামদোবাজি? ঠ্যালা সামলা হতভাগার দল।
ব্যাস, আর যায় কোথায়? কেল্টুদা’র কথায় সুপারিন্টেনডেন্ট স্যার বেঁকে বসলেন। ও মাল বিক্কিরি করা যাবেনা। মামলায় হেরে গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ১ বিলিয়ন ডলার। তা মামলা বাবাজি তো আর বাংলা হাইকোর্টের গতিতে চলে না। তেনাদের ভাবসাবই আলাদা। সুতরাং, অ্যাপলের পক্ষে মামলার রায় আসতে সময় নেয় নি। স্যামসাংও ফেঁসে গিয়েছিলো মস্ত গ্যাঁড়াকলে। কিন্তু আসলেই কি ফেঁসে গিয়েছিলো? নান্টুয়া আউর ফান্টুয়া তো আমাদের উপমহাদেশেরই সৃষ্টি। ওভাবে কেল্টোর হাতে বমাল সমেত ক্যাচ হলে ইজ্জতের ফালুদা হবার বাকি থাকে কি? আসুন না, দেখে যান শেষটায় কি রাম প্যাঁদানি খেয়ে “ছেড়ে দিন স্যার, কেঁদে বাচি” অবস্থা কেল্টো মহাশয়ের।
ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যাপল হেডকোয়ার্টার। কাকডাকা ভোরেই হঠাৎ ত্রিশখান লরি অ্যাপল হেডকোয়ার্টারে ঢোকার অনুমতি চাইলো। অ্যাপলের সিকিউরিটির দ্বায়িত্বে নিয়োজিত কোম্পানি জানালো ভুলক্রমে লরিগুলো এসে পড়েছে। কিন্তু বিধিবাম, মিনিটখানেক পরেই টিম কুক (সি ই ও, অ্যাপেল) সাহেব ফোন পেলেন স্যামসাং এর সি ই ও সাহেবের। লরিগুলো নিজের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে তো দাদা? ১ বিলিয়ন ডলারের কয়েন পাঠিয়েছি। গুনে দেখুন, ঠিক আছে কি না? মজার বিষয় হলো আমাদের সুপারিন্টেনডেন্ট স্যার (ফেডারেল কোর্ট) কোন ম্যাথডে পেমেন্ট হবে তা পরিষ্কার করে কিছু বলেন নি। অ্যাপলকে টাকাটা গুনে নিতে হবে এবং যদি কোন ব্যাংক ওভাবে খুচরো টাকা নেয়, তাহলেই তারা টাকাটা ডিপোজিট করতে পারবে। নইলে এক, দুই পেনি করেই খরচ করতে হবে (আমার জানা মতে ২০ বিলিয়ন কয়েন পাঠানো হয়েছে, প্রতিটি ২০ সেন্ট এর) স্যামসাং এর চেয়ারম্যান সাহেব লি-কুন-হে বলেছেন, “নোংরামী করতে চাও? বেশ তো, এসো শিখিয়ে দিই। যেভাবে ইচ্ছে টাকাগুলো খরচ করো, আমার কোন আপত্তি নেই। আমি তোমার পাওনা মিটিয়ে দিয়েছি”। আমার একটা ডায়ালগ-ই মনে পড়ছে “অ্যাকঃ কি বিচ্ছিরি দুর্গন্ধ আর নোনতা। ই কি রস রে নন্টে?"
“হেঃ হেঃ বোধহয় গেঁজিয়ে গেছে অ্যাপল দা”