প্রবাসী ব্লগার "সোহানী", ওনার মেধা ও মননের সমন্বয়ের প্রথম প্রয়াস “জীবন ও জীবিকার গল্প”। বইটির বিক্রয় লব্দ অর্থ কিছু অনাথ শিশুদের কল্যানে ব্যয় করা হয় বলেই এটি কেনার মূল উদ্দেশ্য। বই এর প্রতিটি গল্পকে যদি নাট্যরুপ দেয়া যায় তবে আমাদের সমাজপতিরা একটি সুন্দর বার্তা পাবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে এটা অলিক স্বপ্ন বিলাস মাত্র। কারন তারা বদলাবার নয়। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন দেখতে তো বাধা নেই, কারন পয়সা তো লাগে না।
যাহোক আমার উপলব্ধিটুকু যেমন ছিল :
১. পার্ভাট : আমাদের নিচু মানুষিকতার করনেই হারিয়ে যায় ব্রকলিনের মত মেয়েগুলো। একটু ছাড় দিয়ে যদি তারা বাবা-মা তাদের সংসারটা চালিয়ে যেত তবে হয়ত তাদের জীবনের বাস্তবতাটা এমন হত না। তারা কিন্তু পরবর্তীতে অন্য কোন একজনের সাথে জীবনের বাকী অংশ কাটিয়েছে।
২. দ্বিচারিনী : গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্রগুলোর প্রতিটি চরম সুযোগ সন্ধানী। যখন যে ভাবে পেরেছে তখন সবাই নিজ নিজ আখের গুছাতে চেয়েছেন তবে পারন নি। সবচেয়ে বেশী লভবান হয়েছে সোহেল আর আরা বেচার রাসেল শুধু দিয়েই গেল।
৩. আশ্রয় : ভাল থাকুক জেসিকা আর বরার্ট, নীরা জন্য শুভকামনা। তবে আমাদের দেশে বৃদ্ধদের অবস্থার উন্নতি হতে সময় লাগবে বৈকি।
৪. একজন হাফ মানুষের গল্প : ননফারফর্মারদের কারনেই আমদের উন্নতিটা চোখে পরে না। আর জহির সাহেবরা বরাবরের মত দিনভর পরিশ্রম করেই যান। এ শিকল থেকে আমরা কোন দিনই বের হতে পারবো না।
৫. কনফ্লিক্ট : সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা বদলায়, স্বাভাবিক ভাবে স্থান কাল ভেদে চাহিদা ও চাওয়া গুলো হয় ভিন্ন ভিন্ন । রিয়াও তাই। মা হিসেবে রাহেলা যদি রিয়াকে সঠিক ভাবে বুজতে পারতো তবে গল্পের শেষটা হয়তো এমন হত না।
৬. জলে ভাসা পদ্ম : টাকার চাহিদার কাছেই হেরে গেল রাইসা আর জাদিরে ভালবাসর সংসার। বাস্তব জীবনের রাইসারা ভাল থাকুক তাদের সন্তানদের নিয়ে এটাই কামনা।
৭. একটি প্রোফাইল পিক এবং একজন সরীসৃপ : বয়সের চাহিদার কাছে হেরে গেছে গল্পের ডিআইজি সাহেবের ফুটফুটে মেয়েটা। এ চক্র থেকে বাচা দায়।
৮. একজন জরিনা বা কোন এক আকবরের স্ত্রী : পার্ভাট এর পিটারে সাথে হারুনের একটা মিল আছে, দুই জনই কৌশলে নারী খেকো। তাদের জন্য জরিনারার অসহায়।
৯. এক টুকরো ভালোবাসা : অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে মানুষকে উপহার দিয়ে কথা শোনার। বেশি কিছু বলার নাই, কারন আমরা এমনই, সাবার কাছে আমাদের চাহিদা বেশী কিন্তু এটা বুজতে চাই না যে দাতার স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয়ের গল্পটা আসলে কি ছিল।
১০. যোদ্ধা : ”পার্ভাট” এর পিটারে বা ” একজন জরিনা বা কোন এক আকবরের স্ত্রী” এর হারুন বা রহিম সাহেবরা কেন এমন হয় ? গল্পের রাজিয়ারা ভাল থাকুক সবসময়।
১১. মানুষ কিংবা অমানুষ : আমরা বাবা এবং মা উভয়েই মারা গেছেন , ফলে তাদের ঔষধ কেনা বা দেখবাল করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই, আমরা মত যদি তোফাজ্জল সাহেবের ছেলেদের অবস্থা হতে তবে ভাল হত । অনন্ত বেচে যেত তোফাজ্জল সাহেবের স্ত্রী।
১২. সিদ্ধান্ত : গল্পের সুমনার অনির্দিষ্টের যাত্রার সমাপ্তি শুভ হোক
১৩ পিচাশ : রাফায়েতের কপাল ভাল । কিন্তু নিয়তির কাছে বরাবরেই হেরে যায় রাশিদার ”মা” য়েরা।
১৪. পাত্রী চাই : পুরাই আউলা জাউলা লাগলো। সুমন একটা বউ পাইছে, পুরাই ৫জি। এতো দিনে কষ্ট স্বার্থক হইল।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৫