somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারো কি কখনো লিখবো?

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭ তারিখ রাতেও ভাবিনি আবারো কখনো ব্লগে লিখতে বসবো। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে এভাবে ফিরে আসবো সেটাও চিন্তা করিনি। ৫ তারিখের কিছু ঘটনা আর ৬ তারিখে তার কান্না, দুটো জিনিশ আমাকে প্রতিটা মুহূর্তে কষ্ট দিচ্ছিলো। তার কথাটা বারবার কানে বাজতেছিল, গত সেমিস্টারের গ্যাঞ্জাম আর এবারের গ্যাঞ্জাম দুটোই শুধুমাত্র তোমার কারণে হয়েছে। এতসব কিছু তোমার 'কথা ধরে বসে থাকা' স্বভাবের জন্যেই হয়েছে। আমি শুধু চাচ্ছিলাম তাদের একটু শান্তি দিতে। আমি থাকলেই যেখানে এত অশান্তি সেখানে আমার না থাকাটাকেই শ্রেয় মনে হচ্ছিলো বারবার। ঘটনার শুরুটা ছিল অনেক আগে থেকে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে এখন অত কিছু লিখতে না পারার জন্য দুঃখিত।

৬ তারিখ দুপুরে তার সাথে কথা হবার পর রুমে যাই। সেখান থেকে প্রথমে ফার্মগেট হয়ে তারপর সায়েদাবাদ গেলাম সিলেটের টিকিটের খোঁজে। তখনো ডিসিশন নিতে পারছিলাম না ঠিক কি করবো। তারপর সেখান থেকে টিকিট না কেটেই রুমে ফিরে আসি আবার। ভাবলাম সন্ধ্যায় বাংলাদেশের খেলাটা দেখেই বের হই। তখনো তার কান্নাটা ভিতরে ভিতরে পুড়িয়ে যাচ্ছিলো আমাকে। রাতে ৯টার আগে দিয়ে সাল্লুর সাথে ফোনে কথা হয়। সঠিক সময়টা আমার ঠিক মনে নেই। ওর সাথে কথা বলার পরেই বেরিয়ে পড়ি রুম থেকে। সায়েদাবাদ গিয়ে রাত পোনে একটার গাড়িতে টিকিট কাটলাম সিলেটের। সেই গাড়ি আসতে আসতে দেড়টা বাজলো। গাড়িতে উঠেই কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে বসলাম। প্রত্যেকটা মুহূর্তে মনে হচ্ছিলো এই বুঝি তার টেক্সট আসলো। কিন্তু আসেনি। আমি জানতাম আর কখনো আসবেও না। ভোর পাঁচটার কিছুক্ষণ আগে গাড়ি উজানভাটি হোটেলে দাঁড়ায় যাত্রাবিরতির জন্যে। সেখান থেকে মিমোকে একটা বড় ভয়েস রেকর্ডিং পাঠাই হোয়াটসএপে। অনেককিছু বলি সেখানে। তারপর তাকে একটা ম্যাসেজ পাঠাই যে, তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। তারপর ঐখান থেকেই তিনটা ফোনের সুইচ অফ করে দিই। রুম থেকে বের হবার সময় একটা ফোনেরও চার্জার আনতে খেয়াল ছিলনা। সকালে কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে নেমে পাশেরই এক হোটেলে দোতালায় একটা সিঙ্গেল রুম ভাড়া নিই। এবার আমার সিলেটে আসার আসল উদ্দেশ্য যেটা, সেটার দিকে মনযোগী হই। সত্যি বলতে সকালে যখন আমি তাকে কাঁদতে দেখলাম তখন তার কান্নাটা আমার ভেতরের আত্মাটাকেই যেন ছিঁড়ে ফেলেছিল। আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না তার কান্না আর তার কান্নার পেছনের মানুষটা আমি নিজে। এছাড়া আগের দিনের ঘটনা গুলো তো ছিলই। ৬ তারিখ দুপুরে রুমে যাবার পর থেকেই নিজের জীবনের উপরে একটা বিতৃষ্ণা চলে আসে। নিজেকে শেষ করে দেবার একটা ইচ্ছা হতে থাকে। কিন্তু কিভাবে এগোবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। একদিকে তার জন্য অপরাধবোধ অন্যদিকে বারবার চোখের সামনে আম্মুর মুখটা ভেসে ওঠা, আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত। তাই ভাবলাম যা কিছুই করিনা কেন, তার জন্যে আমাকে অনেক দূরে যেতে হবে।

৭ তারিখ সকালে হোটেলে উঠেই ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়লাম। আমার জানা মতে এক ফার্মেসী থেকে এক পাতার বেশি ঘুমের ওষুধ দিবে না। আর আমার মত বাচ্চা বয়সের ছেলেপিলে দেখলে তো আগেই সন্দেহ করে বসবে। তাই কয়েকটা ফার্মেসী ঘুরে ডিসোপেন আর মেবোলিন দুই রকমের ওষুধ কিনলাম আর সাথে এক পাতা নাপা এক্সট্রা কিনলাম। নিচের এক হোটেল থেকে দুপুরে মুরগি দিয়ে ভাত খেলাম। মরেই তো যাবো, তার আগে যেটা খেতে ইচ্ছে হয় সেটাই খাওয়া উচিত বলে মনে হচ্ছিলো। রসমালাই খেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো তাই রসমালাই কিনে রুমে গেলাম। অবশ্য আরেকটা জিনিশ খেতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো। আম্মুর রান্না করা কচু দিয়ে মুরগি আর ছোলার ডালের খিচুড়ি। কিন্তু সবসময় মানুষের সব ইচ্ছা পুরোন হয় না। সন্ধ্যার দিকে একটু ঘুরতে বের হলাম। শাহজালাল এর মাজারে গেলাম হাটতে হাটতে। হাটতে আমি ছোটকাল থেকেই পছন্দ করতাম। রাতে ১০টার আগেই আবার হোটেলে ফিরে এলাম। আসার সময় হোটেলের বয়কে জানিয়ে আসলাম যে, রাতে ১২টার দিকে রুমে যেন খাবারটা দিয়ে আসে। কি কি দিয়ে আসবে সেটাও বলে আসলাম।

এগারোটার দিকে দুই লিটারের এক আধা ভরা পানির বোতলে একেকটা করে ওষুধ ছিড়ে ছিড়ে মেশাতে লাগলাম। তখনো আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল অনবরত। সত্যি বলতে জীবনে এই প্রথম মরার ভয় পাচ্ছিলাম আমি। ইচ্ছা হচ্ছিল রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে যাই আমি। আম্মুর কোলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আম্মুর কথা মনে পড়াতে সারাদিন পর ফোন অন করে বাসায় ফোন করলাম। কথা বললাম আম্মু আব্বু দুইজনের সাথেই। মনে হচ্ছিলো শুধু একবার যদি বলতে পারতাম আম্মু আব্বুকে, আমি তাদেরকে অনেক ভালবাসি। কিন্তু আমি বলতে পারলাম না। তারপর তাকে পাঠানোর জন্যে একটা ম্যাসেজ টাইপ করলাম কিছুক্ষণ ধরে। আমাকে নিয়ে তার সকল অভিযোগের যে সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে সেটাও লিখলাম। কিন্তু পরে আর ম্যাসেজটা পাঠানো হয় নি। আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো ম্যাসেজটা পাঠালে সে হয়তো অনেক কষ্ট পাবে। সে নিজে একটা অপরাধবোধে ভুগবে। তাই লেখা গুলো সব ডিলিট করে দিয়ে ফোনটা আবার সুইচ অফ করে দিলাম। ওষুধ গুলো সব মেশানো হয়ে গেলে হোটেলের দোতালার করিডোর দিয়ে বেশ খানিকক্ষণ হাটাহাটি করলাম। তখন নিজের মনকে বারবার বোঝাচ্ছিলাম যে আমি পারবো, কাজটা আমি করতে পারবো। আমি যদি তাকে কষ্ট দিতে পারি তবে সেই কষ্টের শাস্তিটাও আমি সহ্য করতে পারবো। বারোটার কিছুক্ষণ আগে রুমে ঢুকে দরজাটা ভিড়িয়ে দিয়ে বিছানায় বসি। এই দরজাটা না লাগিয়ে ভিড়িয়ে দেওয়াটাই বুঝি আমাকে এযাত্রা বাঁচিয়ে দিয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে এখন কেন যেন। বোতলের পানির দিকে তাকিয়ে বসে ছিলাম অনেকক্ষণ। তখনো চিন্তা চলছিল আমার মাথায়। আমি যতই ভাববো ততই হয়তো ভয় পেতে পারি তাই আর সুযোগ না দিয়ে বোতলের মুখ খুলে খাওয়া শুরু করে দিলাম চোখ বন্ধ করে। গলা দিয়ে যখন নেমে গেল তখন আমার একবারের জন্য মনে হয়েছিল কেউ যেন গরম লোহা আমার গলার ভেতর ঢেলে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর আমার সমস্ত শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়েছে আমি বুঝতে পারছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন বমি শুরু হয়ে যাবে এবং কিছুক্ষণ এর মধ্যে হলোও তাই। বিছানা থেকে নেমে ফ্লোরে বসে ছিলাম। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসছিল আমার। ঘোলা চোখে একবার মাত্র দরজার দিকে তাকাই আমি আর তখন মনে হলো সেখানে যেন কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। আমার মনে হচ্ছিলো স্বয়ং আজরাইল সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। জানটা ভেতর থেকে ছিঁড়ে নিয়েই আবার চলে যাবেন। চোখ দুটো সামান্যতম খোলারও শক্তি পাচ্ছিলাম না। প্রচণ্ড ক্লান্তিতে ঘুম পাচ্ছিলো।

পরদিন দুপুরের দিকে জ্ঞান ফিরে আমার। আমি এমনিতেই মোটাসোটা মানুষ সেই জন্যেই বোধহয় জ্ঞান ফিরে দেখলাম নাকের ভেতর নল দিয়ে অক্সিজেন দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর একজন ডাক্তারের সাথে রুমে হোটেলের ম্যানেজারকে ঢুকতে দেখলাম। ডাক্তার নলটা খুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে কিনা। সমস্যা হচ্ছিলো না তবে ঘনঘন নিঃশ্বাস পড়ছিল আমার। তাদের বললাম আমার আব্বুকে জানাতে হবে। ম্যানেজার আব্বুর ফোন নম্বর নিয়ে তার সাথে কথা বললেন। তাকে অনুরোধ করলাম যেন আসল ব্যাপারটা আব্বুকে এখন না জানায়। আব্বু আমার সাথেও কথা বললো কিছুক্ষণ। বললো যে সন্ধ্যার গাড়িতেই রওনা দিবেন।

পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ সকালে আব্বু ক্লিনিকে এসে পৌঁছালো। ঐদিন ডাক্তারের সাথে কথা বলে আব্বু জানালো সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হবে ক্লিনিকে। ঐদিন রাতের গাড়িতে আব্বু আমাকে নিয়ে রওনা দিলো। ১০ তারিখ সকালের দিকে বাসায় পৌছালাম। আম্মু আমাকে দেখেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করলো। কি কারণে কি হয়েছে সেই সম্পর্কে একটা কথাও কেউ বললো না আমার সামনে। ঐদিন সন্ধ্যাতেই একবার ডাক্তারের কাছে গেলাম চেকআপের জন্যে। ডাক্তার রেস্টে থাকতে বললো। শরীরও প্রচণ্ড দুর্বল।

বাসায় কিছু মানুষ ছিল। ১১ তারিখ সকালে তারা চলে গেলে নিজেকে কিছুটা স্বাধীন স্বাধীন লাগছিল। ঘুম থেকে উঠে ফোনের কথা মনে পড়তেই ১২টার আগ দিয়ে ফোন অন করে চার্জে দিলাম। আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো সাড়ে বারটার দিকে সে ফোন দিবে। হলোও তাই। আমার প্রতি তার রাগ যে এতটুকুও কমেনি সেটা বুঝতে পারলাম তার কথা শুনেই। ৪১ সেকেন্ড কথা হয়েছিল মাত্র। তারপর ফোনে ম্যাসেজ আসতে থাকলো। এই কয়দিনে সে মোট দশ বার ফোন দিয়েছিল আমার নম্বরে। আট বার তার নম্বর থেকে, বাকি দুইবার অন্যকারো নম্বর থেকে।

দুপুরে নামাজ পড়ে এসে দেখলাম সবুজের দুইটা মিসড কল। ফোন ব্যাক করলে ও যেটা বললো তা আমাকে অবাক করার জন্য যথেষ্ট ছিল। সে নাকি সবুজের কাছে পর্যন্ত আমার ব্যাপারে খোঁজখবর করেছে। অনেক খারাপ লাগছিল তার জন্যে ব্যাপারটা জানার পর। কিন্তু আমার তো কিছু করারও ছিলনা। কিছুক্ষণ পর নেটের প্যাকেজ কিনে নেটে ঢুকলাম। সন্ধ্যা থেকে ওর সাথে টুকটাক কথা বলা শুরু করলাম। কিন্তু ওর সাথে কথা বলতে গেলেই যেন ঝামেলা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যতবার কথা বলতে যাই ততবারই ঝামেলা এসে হানা দেয়। ও গত কয়েকদিনে আমার জন্যে এতকিছু করছে দেখে আমার প্রচণ্ড খারাপ লাগছিল। আমি সেইটা ভেবেই শুধু তাকে বলতে গেলাম, এতকিছু কেন করতে গেলে? এরপর থেকে এতকিছু করবে না। এই কথাটাতে সে কেন এত রেগে গেল বুঝলাম না। কথাটার মিনিং কি সে অন্যকোন ভাবে নিয়েছে? সে বললো আমি তার উইক পয়েন্টে আঘাত করেছি। আসলেই কি তাই করেছি আল্লাহ? মানুষ যখন আমাকে ভুল বোঝে, যখন আমাকে নিয়ে ভুল কিছু ভেবে বসে থাকে তখন কেন তুমি চুপ করে থাকো? সত্যটা বলেও এভাবে ভুল বোঝাতে আমার সত্যিই আর ধৈর্যে কুলায় না। মানুষ বলে আমার নাকি ধৈর্য নেই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমি যথেষ্ট ধৈর্যশীল হয়েছি ইদানীং। যাইহোক এতদিন পরেও তার সাথে সময়টা আমার ভালো গেল না। সে আরো একটা প্রসঙ্গে বলেছিল। মায়া! শোন সুন্দরী, তোর মায়া নিয়ে খেলা করার মত ইচ্ছা বা সাহস কোনোটাই আমার নেই। তুই এই একটা ব্যাপারে আমাকে ভুল বুঝিস না, আর সব ব্যাপারে বোঝ আমি কিছুই বলবোনা। আমার মন এখনো অতটা দূষিত হয় নি যে তোর মায়া নিয়ে আমি খেলা করবো। তুই বলেছিলি আমার কিছু কথা তোর মগজে গেঁথে আছে। তাদের সাথে পারলে এটাও গেঁথে রাখিস।

শনিবার সারাদিন তার সাথে একটা কথাও হয়নি। অপেক্ষা করে ছিলাম কখন সে আসবে। প্রচণ্ড মনে পড়তেছিল তাকে। হঠাত করেই অনেক খারাপ লাগছিল। সন্ধ্যার দিকে সে অনলাইনে এলো। কিন্তু বরাবরের মত এবারো তাই হলো। আবার সেই রাগারাগি, ভুল বোঝাবুঝি।

গত রাতে ঘুমোনোর আগে তাকে কিছু ম্যাসেজ দিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে রবিবার সকাল থেকেই আবার সবকিছু মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে যায় আমাদের মধ্যে। রবিবার থেকে ক্লাস শুরু হবার কথা থাকলেও রবিবার ঢাকা আসা হলো না। ঐদিন আরেকবার ডাক্তারের কাছে যাবার কথা ছিল। সন্ধ্যার দিকে গেলাম। ডাক্তার কিছুক্ষণ একা কথা বললো আমার সাথে। বললো মোটামুটি সব ঠিকঠাকই আছে। তবে টেনশন করাটা কমাতে হবে। আর নিজেকে ভালবাসতে হবে। নিজের থেকে বেশি ভালো কাউকেই বাসা যাবে না। এটা কি আমার পক্ষে আসলেই সম্ভব ডাক্তার সাহেব? প্রশ্নটা করা হয়নি আর তাকে। করলে আবার পাগল সন্দেহে আটকে রাখে কিনা! পরদিন সকালে গাড়ি। বাসা থেকে একা ছাড়তে সাহস পাচ্ছে না তাই পাশের এক বড়ভাই এর সাথে ঢাকা পাঠাচ্ছে আমাকে। যদিও বলছিলাম আমি একাই যেতে পারবো, সমস্যা হবে না।

পরদিন বিকালের দিকে ঢাকায় পৌঁছালাম। সারাদিনে বাসের মধ্যে অনেকক্ষন কথা হয়েছে তার সাথে। এখন আমি সেই রুমে বসে লিখছি, যেখান থেকেই সব সমস্যার শুরু হয়েছিল।

কিছু মানুষ প্রায়ই আমাকে বলতো যে, তুমি/তুই একটা পাগল। আমি তাদের কথা হেসে উড়িয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে একটা ঝাড়ি মেরে বলতাম যে, আমি একদমই ঠিক আছি। আমি যেগুলো করি তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে না। এখন কেন যেন মনে হচ্ছে তাদের ধারনা হয়তো ঠিকই ছিল। আসলেই আমি একটা পাগল। কিন্তু ব্যতিক্রম হচ্ছে, স্বাভাবিক মানুষের মত আমারো হাসি কান্না সুখ দুঃখ রাগ এইসবের চাহিদা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫২
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×