বাপের সামনে পিকনিক করার কথা বলে যে ঝাড়িটা খেলাম তাতে পিকনিকের সাধ মিটে গেছে। মন খারাপ করে লিখতে বসলাম।
২০১৩ এর একদম শেষ প্রান্তে পৌছে গিয়েছি। দরজায় কড়া নাড়ছে ২০১৪। নতুন বছরটা কেমন কাটবে বা নতুন বছরের শুরুটা কেমন হবে সেটা এখুনি বলা অসম্ভব। তবে ২০১৩ ছিল আমার ১৮ বছরের লাইফের সবচাইতে খারাপ একটা সময়। ১৩ আসলেই আনলাকি ছিল আমার জন্যে। জীবনের সব বড়বড় ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে এই ২০১৩ তে। লাইফটা পুরাই পানসে হয়ে গিয়েছে। ২০১৩ এর শুরুটা ছিল বিষাদময়। মাঝখানের ছোটখাটো কিছু ঘটনা বাদ দিলে জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে অক্টোবরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত প্রায় পুরো সময়টাই পার করেছি স্বর্গসুখে। তারপর থেকেই যেন লাইফে আমবস্যার অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। নিজের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। এত সমস্যার মধ্যেও পরিবার, বন্ধুমহল, আত্মীয়স্বজন আর হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার কিছু স্মৃতি আকড়ে ধরে খুব একটা খারাপ নেই।
থার্টি-ফাস্ট বললে প্রথমেই চোখে ভেসে ওঠে ক্লাবের ধোঁয়াটে রুম আর তার মধ্যে যুবক-যুবতীর বেসামাল হয়ে মেলামেশার দৃশ্য। পশ্চিমা দেশগুলার মত বাংলাদেশেও থার্টি-ফাস্ট একটি জনপ্রিয় ইভেন্ট হয়ে উঠেছে গত এক-দুই দশক ধরে। আজকের দিনে কোনো মেয়ে হয়তো গত থার্টি-ফাস্ট এ তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর কথা মনে করে নীরবে কেঁদে যাচ্ছে আর কিছু মেয়ে সেই একই ভুল করে স্বেচ্ছায় তাদের সতীত্ব বিলিয়ে দিতে যাচ্ছে। কারন ফিজিক্যালি অ্যাবিউজ হওয়া বেশ সাদামাটা ঘটনা হয়ে গেছে এখনকার দিনে। একবছর পর আজকের ভুক্তভোগীরাও হয়তো নীরবে কেঁদে যাবে অতীতের কথা ভেবে। তাই আপুদের বলবো, নিজেদের ভালো নিজেরা বুঝতে শিখেন। যৌবনের এই সময়টাতে নিজেকে অন্ধকার জগতে ভাসিয়ে দিয়েন না। সবশেষে একটি সুন্দর ও পবিত্র সম্পর্কের সমাজের প্রত্যাশায় করে সবাইকে জানাচ্ছি নতুন বছরের শুভেচ্ছা।