থিওডোর রুজভেল্ট
থিওডোর রুজভেল্ট এর “Duties of American Citizenship” এর ওপর ভাষন । এটি তিনি ২৬ জানুয়ারি ১৮৮৩ নিউওয়ার্ক এ প্রদান করেন । যা ইতিহাসের দৃষ্টি কোন থেকে অন্যতম ভাষন । এটি তিনি আমেরিকার সমস্ত পুরুষ এর প্রতি আহব্বান জানান কর্তব্য পালন এর মাধ্যমে ভাল সরকার ব্যাবস্থা বজায় রাখা যায় ।
উইনষ্টোন চার্চিল
এর “We Shall Fight on the Beaches” ভাষনটি দেন ৪ জুন ১৯৪০ লন্ডনে । চার্চিল এর দৃঢ় এবং ভরসাজনক বাচক কণ্ঠস্বরের জন্য বিখ্যাত ।
ফ্রান্সের যুদ্ধ চলাকালীন, শত্রুর অনুপ্রবেশ এবং শত্রুপক্ষের গোলাবর্ষণের মুখে অবশিষ্ট সৈন্যদলের সংকটময় পশ্চাদপসারণ পটভূমিকে কেন্দ্র করে তিনি এই ভাষন দেন ।
ফ্র্যাংকলিন ডিলানো রুজভেল্ট
এর “First Inaugural Address” ভাষন ৪ মার্চ ১৯৩৩ ওয়াশিংটনে প্রদান করেন ।
তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গিকার করেন যা তার ব্যাপক জনকপ্রিয়তা পাইতেছিল ।
নেলসন ম্যান্ডেলা
এর সেই অবিস্মরণীয় শব্দমালা- 'সবার জন্য স্বাধীনতা' আজো অনুপ্রেরণা জোগায় পৃথিবীর মানুষকে।
তাছাড়া General Douglas MacArthur “Farewell Address to Congress” , William Faulkner, “Nobel Prize Acceptance Speech” Winston Churchill, “Their Finest Hour” , Mahatma Gandhi, “Quit India” , George Washington, “Resignation Speech” ,Abraham Lincoln'S "The Gettysburg Address" এই সকল কাল জয়ী ভাষণ রয়েছে ।
মার্টিন লুথার কিং এর I have a dream ও ইতিহাস শ্রেষ্ট স্পীস
ইতিহাসের সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট ভাষন যদি বলতে হয় তবে আমি বলব তা বিদায় হাজ্জ এর ভাষন
এই দেই আরাফাতের ময়দান যেখানে রাসুল (সঃ) বিদায় হাজ্জ এর ভাষন দিয়েছিলেন ।
বিদায় হাজ্জ ও রাসুল (সঃ)-এর ভাষণ
মদিনায় হিজরতের সময় থেকে হিজরি সাল গণনা করা হয়। সে হিসাবে দশম হিজরির জিলকদ মাসে রাসুলে পাক (সঃ) হজ পালন করেছিলেন। তিনি হজে যাওয়ার এরাদা পেশ করার পর সংবাদটি পলকের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সারা আরবের সব সাহাবায় কেরাম (রাঃ) হজে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বেলিত হয়ে উঠলেন। জিলকদের ২৬ তারিখ রোজ শনিবার রাসুলে পাক (সঃ) গোসল করলেন। তারপর তিনি লুঙ্গি ও চাদর পরিধান করলেন। জোহর নামাজ আদায় করার পর মদিনা থেকে দুই মাইল দূরে জুলহুলাইফা নামক একটি স্থান আছে। মদিনাবাসীদের হজের এহরাম বাঁধার মিকাত এটাই। এখানে পৌঁছে রাত কাটালেন। পরদিন আবার গোসল করলেন। হজরত আয়েশা (রাঃ) নিজ হাতে রাসুলে পাক (সঃ)-এর দেহ মুবারকে আতর মেখে দিলেন। তারপর রাসুলে পাক (সঃ) দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর ‘কাসওয়া’ নামক উটনীর পিঠে আরোহণ করে হজের এহরাম বাঁধলেন। তারপর বুলন্দ আওয়াজে পাঠ করতে লাগলেন, ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা-লা শারিকালাকা লাব্বাইকা ইন্নাল হামদা অননি মাতালাকা অল মুলকা লা শারিকালাকা’। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি হাজির হয়েছি, হে আল্লাহ! আমি হাজির হয়েছি, হে আল্লাহ! আমি হাজির হয়েছি এবং ঘোষণা করছি, তোমার কোনো অংশীদার বা শরিক নেই। হে আল্লাহ! আমি হাজির হয়েছি নিশ্চয়ই সমুদয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই জন্য নিবেদিত এবং আধিপত্য ও সার্বভৌমত্ব কেবল তোমারই জন্য।
আজ ৭ই মার্চ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। ১৯ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় এক ঐতিহাসিক ভাষনে শেখ মুজিব সামরিক জান্তার সমালোচনা করেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যার্থতার জন্য। এই জনসভাতেই তিনি বলেন, "তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল।" তিনি আরও বলেন "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।" সেইদিন উপস্থিত মানুষের স্বাধীনতা ঘোষণার আকাঙ্খা থাকলে ও সেদিন তিনি স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষণা দেননি কিন্তু প্রকারন্তরে স্বাধীনতার চুড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দেন যা পরবর্তিতে ৭ কোটি নিরস্ত্র মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে উঠে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য এমন আহব্বান পৃথিবীতে অন্যতম শ্রেষ্ট ভাষণ ।
*** কারর মতে ১৯ মিনিট আবার কারর মতে ১৭ মিনিটের এই ভাষন । কিন্তু আমি এই ১৪ মিনিটের উপরে আর কোন ভাষন কোথাও খুজে পাই নাই । যদি কারর কাছে থাকে তবে আশা করি জানাবেন ***
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০৯