চৈত্র সংক্রান্তির শেষ দিনে কিছু হিন্দু ধর্মাবলীরা একটি পুজা উদযাপন করে সেই পুজাটির নাম নীল পুজা। এরকম একটি পুজা দেখেছিলাম ২০০৩ সালে। পুজাটি অনুষ্ঠিত হয় ( পিরোজপুর) জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামে।
হিন্দু ধর্মাবলীর কোন কাজের সুফল পাওয়ার জন্য নীল পুজা মানত করে। যদি কাজটি হাসিল হয় তবে তারা চৈত্র সংক্রন্তির দিন এই পুজাটি পালন করে। চৈত্রের শেষ দিন বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে পুজাটি শুরু হয়। একটি মন্ডব সাজিয়ে তার চারপাশে পুরোহিত বিভিন্ন মন্ত্র পাঠ করেন। অর্থাৎ যে মানত করেছিলেন সেই ব্যক্তি মহিলা অথবা পুরুষ যেই হোক ব্যক্তি ওখানে বসে থাকবেন। (আমি মহিলাকে পুজা নিতে দেখছি ) পরে পুরোহিত মহিলাটির মুখে কিছু বেল পাতা দিয়ে রাখেন কিছুক্ষন পর নতুন একটা গাছমা দিয়ে মহিলাটির জিববাহ বের করে তাতে এক সুতা পরিমাপের মোটা একটি রড জিববাহর নিচ থেকে ফুটা করে জিব্বাহর উপরের বের করে আনে। তার পর জিব্বাহটাকে মোড় দিয়ে অর্থাৎ সেই রডটাকে আড়মোড় করে মহিলাটিকে হাটিয়ে কিছুদুর নদীঘাটে নিয়ে পানির মধ্যে নামিয়ে আস্তে করে রডটি বের করে আবার বেল পাতা দিয়ে দেয়। আর তখন দর্শনীয় লোকজন আনন্দে মেতে উঠে। অনেকে আবার পানিতে ডুবাডুবি করে পাপ মোজার জন্য। যখন জিববাহর মধ্যে রড ঢুকায় তখন দেখে অনেকই সহ্য করতে পারে না কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই পুজাটি যে মানত করে সে যদি না নিতে পারে সেজন্য আবার লোক ভাড়া পাওয়া যায়। তখন টাকা পয়সা দিয়ে নীল পুজা করিয়ে নেয়। জানিনা এটা কতটা বিজ্ঞান সম্মত তবুও এটানাকি অনেক দিন থেকে প্রচলিত। এর পর চলে সারারাত গান-বাজনা।