somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা এতটাই কমার্শিয়াল যে, কারও মৃত সংবাদে আমাদের মন কাঁদে না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশি দিন আগের কথা নয় ১০/১২ বছর হবে। আমরা তখন স্কুলে পড়তাম। সে সময় একটা ব্যাপার খুব লক্ষ্য করতাম আর তা হলো আমাদের এলাকায় বা পরিচিত কেউ মারা গেলে মৃতের আত্মীয় স্বজন খুবই কান্নাকাটি করত। তাদের জন্য দোয়া কালাম পড়তো এবং অনেকে তবছি পড়তো তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে। অনেকে আবার রোজা রাখতো। আর মৃতের আত্মীয়রা কুরআন খতম ইত্যাদি করত। ছেলেরা কবরস্থানে গিয়ে দোয়া করত। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। আর পাড়া প্রতিবেশিরাও দোয়ায় শরীক হতো। মৃতের জানাজা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজ অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত পালন করতো। অনেকে কবরস্থানে গিয়ে কবরের উপর দু-মুটো দিয়ে শেষ বিদায় জানাতো। আর বিশেষ করে জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য অনেকে অনেক রকম ব্যস্ততা বির্সজন দিতো কেউ কেউ অফিস থেকে জানাজার জন্য সাময়িক ছুটিও নিত। পুরো এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করত। সবার মাঝে কেমন যেন একটা শোক অনুভুত হত। বর্তমান কামার্শিয়াল যুগে আমরা যেন সকল সামাজিকতা ভুলে গেছি। হৃদয়ের বন্ধন আজ টাকায় পরিমাপ হয়। প্রতিবেশির প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করার সময় কই। এলাকার মধ্যে কেউ মারা গেলে আমাদের কোন দায়িত্ব পরে না। জানাজা তো দুরে থাক তার জন্য দোয়া করার রীতিও উঠে গেছে। একই ফ্ল্যাটে কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে সন্তানা পর্যন্ত দেওয়া ভুলে গেছি হয়ত রেওয়াজ নাই বলে। আমাদের সোসাইটিতে বেমানান বলে। এরকম যদি হয় সবাই এড়িয়ে চলে তবে তো মরে পড়ে থাকলোও কেউ আসবেন সৎকার করতে। জানাজা, করব দেওয়ারও কোন লোক পাওয়া যাবে না। আমার অনুরোধ থাকবে আমরা যেন এতটাই কমার্শিয়াল হয়ে না যাই যাতে আমার প্রতিবেশি কেউ মারা গেলে তার জন্য ক্ষানিক সময় ব্যয় করতে কৃপনা করি। হয়ত দেখা যাবে আপনার সমান্য সময় তাদের মনে অনেক সাহস জোগাবে। এমনিতেই মায়া-মমতা আমাদের অন্তর থেকে উঠে গেছে তবুও বলবো প্রতিবেশির প্রতি সদয় হোন সেটা যেকোন কারনে। বিপদে আপনি এগিয়ে আসুন আপনার বিপদেও থাকে পাশে পাবেন মোট কথা আপনি সহযোগিতা করুন কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া।





৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×