আজকে মজার একটি ঘটনা উপলব্ধি করছি। সবার সাথে শেয়ার করলাম।
আজকের সকালে যমুনা ব্যাংকের একটি শাখায় যাই টাকা তুলতে। তো রীতিমত চেক জমা দিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে দাড়িয়ে আছি। এই ব্যাংকের নিয়ম হলো প্রথমে চেক কম্পিউটারে যাবে সেখান থেকে সেকেন্ড অফিসারের কাছে পরে যাবে ক্যাশ কাউন্টারে। তাতে বেশ সময় লাগে। আমি ক্যাশ কাউন্টারের পাশে দাড়ানো। আর ওপাশে এক ম্যাডাম কর্মরত। এর মাঝে পিয়ন চা দিয়ে যেতেই ম্যাডাম পিয়নকে ডেকে বলে এই পুরানো কাপ দিয়েছো কেন? পিয়ন বলে ম্যাডাম পুরোনো কই? যাও পাল্টিয়ে নিয়ে আসো বা অন্য কাউকে দাও। পরে সেকেন্ড অফিসারকে চা খাওয়ার জন্য দিলে সে বলে আমি দুধ চা খাই না। রং চা খাই। ছেলেটি আবার নতুন একটা কাপে চা নিয়ে এলো। ম্যাডাম এবার বলে এটা কেন? এটা চলবে না গিয়ে দেখ এরকম একটা কাপে এক পাশে লিপিষ্টিক লাগানো আছে ওটা নিয়ে এসে। পিয়ন বলে ম্যাডাম পানি দিয়ে পরিস্কার করলে লিপিষ্টিক এর দাগ থাকে না। ম্যাডাম বলে আরে কিছুক্ষন আগে দিলাম। ধমকের সুরে বলে যাও নিয়ে পাল্টিয়ে আনো। আমার চেক আসতে দেরী হওয়ায় আমি ছেলেটিকে অনুসরন করে কেন্টিন রুমের পাশে গিয়ে দেখি ছেলেটি কাপে থুতু ছিটিয়ে লিপিষ্টিক দেয়া কাপে ঐ চা ঢেলে নিয়ে আসলো। আর ম্যাডাম মনের সুখে লিপিষ্টিক দেয়া কাপে চা পান করলো। ওদিকে আমার চেক ক্যাশ হওয়ায় আমি বেড়িয়ে আসলাম। আর ম্যাডামকে বললাম কাউকে হয়রানী করা ঠিক না। ম্যাডাম আমার দিয়ে তাকিয়ে আবার কাজ করা শুরু করলো। ম্যাডাম হয়ত ভাবছে চেক প্রেমেন্ট করতে দেরি হওয়ার জন্য আমি এটা বলছি।