০১
বাংলাদেশি, চাইনিজ আর আমেরিকান তিনজন গেছে steam bath নিতে।
তিনজনে বসে আছে খালি তোয়ালে পেচিয়ে রেখে। এমন সময় ক্রিং ক্রিং শব্দ। আমেরিকানটা এক্সকিউজ মি বলে উঠে চলে গেল। সে তার
হাতের তালু মুখের কাছে এনে কিছুক্ষন কথা বলল। এরপর ফিরে আসল।
-সরি। আমার অফিস থেকে ফোন আসছে। আমার হাতের তালুর চামড়ার নিচে খুব ছোট একটা মোবাইল ফুন ঢুকিয়ে দেয়া আছে। আমি
যেখানেই যাই আমাকে যেন পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা আর কি।
একটু পর আবার ক্রিং ক্রিং।
এইবার চাইনিজটা কথা শুরু করল। তার হাতের চামড়ায় ছোট একটা স্ক্রীন আছে। সেইটাতে ভিডিও কল করছে।
তিনজন চুপচাপ বসে আছে।
ক্রিং ক্রিং
বাংলাদেশীটা উঠে গেল । টয়লেটে ঢুকে গেল টিস্যুর প্যাকেট নিয়ে।
একটু পর বের হয়ে আসছে। পাছার পিছন থেকে টিস্যু পেপার বের হয়ে আসছে। সে বিব্রত ভঙ্গিতে বলল, সরি! অফিস থেকে একটা ফ্যাক্স
আসতাছে।
০২
-দোস্ত তোর নতুন পিএস মেয়েটা ত হেভি মাল।
- তোর ভালো লাগছে।
- কইলাম না, কঠিন চিজ। যা ফিগার... মাই গড। অফিসে এমন কড়া জিনিস পাইলি কই?
- এই ত নতুন আসছে।
-আমার পি এস টা একটা বুড়া ভাম। তুই ত শালা ভালা ফস্টি নস্টি করার সুযোগ পাইলি।
- ফস্টি নস্টির সুযোগ নাই। এইটা একটা রোবট।
- তাই নাকি?
- হ! দাড়া তোকে এনে দেখাই। ইন্টারকমে বলল, লিলি আমার রূমে আসো একটু।
লিলি আসল।
-দোস্ত, এর পেট এ ছোট একটা ফ্রিজ আছে। পিঠে একটা শ্রেডার মেশিন আছে। এর বডিতে প্রিন্টার, তিন টেরা হার্ড ডিস্ক আর যাবতীয় অফিস সামগ্রী আছে।
-ভালো ত। দোস্ত, আমারে দুই দিনের জন্য ধার দে। ইউজ (!) কইরা দেখি।
-আচ্ছা নে। লিলি, তুমি আগামী দুইদিন আমার দোস্তের সাথে কাজ করবা।
দোস্ত আর রোবট লিলি বের হয়ে গেল। পাচমিনিট পরই শোনা গেল দোস্তের গগনবিদীর্নকারী চিৎকার, " আমার ইয়ে কাটা পড়ছে"
মাথা নাড়তে নাড়তে বলল, শীট!! লিলির পেন্সিল শার্পনারটা কোন জায়গায় সেইটাই ত দোস্তকে বলা হয় নাই।
০৩
দিনের শেষে ডাক্তার বব আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে সে নিজেকে বলল, বব! আপসেট হওয়ার কিছু নাই। বি কুল। তুমি পৃথিবীর প্রথম ডাক্তার না যে রোগীর সাথে সেক্স করছে। আর তোমার পরেও আরো ডাক্তার আসবে যারা রোগীর সাথে সেক্স করবে। বি কুল।
ববের মুখে অপরাধবোধ, চোখে পানি। আয়নার দিকে তাকিয়ে সে আবার নিজেকেই বলল, কিন্তু আমি যে পশু চিকিৎসক!!