তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। রোজার ঈদের ছুটি শেষে স্কুলে গিয়েছি। সবাই দেখি কি যেন নিয়ে একসাথে আড্ডা দিচ্ছে। সাথে তুমুল হাসি। সবুজ নামে একটা পোংটা ছেলে আসরের মধ্যমনি। তার কাগু নাকি আসছে এইবার বাসায়। সেই কাগুর নানা কাহিনী। কাহিনী এমনই আজব যে, চাপা পিটাচ্ছে এটা বলার কোন মানে হয় না। বরং হাসি চলে আসে। সবুজ আবার এমন ভাব নিয়ে গল্প করে যে, কাগুর সব ঘটনা বাস্তব। কিছুই উলটা পালটা না।
সবুজ, তার কাগু আর তার কাগুর অস্বাভাবিক ক্ষমতা দীর্ঘদিন আমার মনে ছিল। কিন্তু ছোটবেলার অনেক সোনালী মুহুর্তের মত এটাও ধীরে ধীরে ভুলে গিয়েছিলাম। আজকে, প্রায় বার বছর পর, ইন্টারনেটে কৌতুক পড়তে গিয়ে সবুজের কাগুকে খুজে পেলাম। সবুজের কাগুর মতই অস্বাভাবিক ক্ষমতার অধিকারী এক চরিত্র নিয়ে এই ছোট ছোট মজার লাইন লেখা। মূল কৌতুকগুলা চাক নরিস আর ভিন ডিজেল কে নিয়ে করা। কিন্তু অতি আশ্চর্যজনক ভাবে সবুজের কাগুর সাথে এই কৌতুকগুলার গভীর মিল। সবুজ, আমার হাই স্কুলের অনেক বন্ধুর মত সেও হারিয়ে গেছে। আমি জানি না জীবন তার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে কিনা। সে হারিয়ে গেলেও তার কাগু আমার ভিতর রয়ে গিয়েছে।
ব্লগেও একজন কাগু আছেন। তিনিও কম আশ্চর্যজনক নন। এই এক লাইনের কৌতুকগুলা তাকে নিয়েও হতে পারে। তিনিও খুব সহজেই এর সাথে মানিয়ে যান।
যাই হোক, কাগুর কথা বলা শুরু করি।
১) আমাগো কাগু দুই টুকরা বরফ ঘষেও আগুন জ্বালাতে পারেন।
২) কাগু বই পড়েন না। বইকে টর্চার করে সব কথা জেনে নেন।
৩) যদি তোমার কাছে ১০০ টাকা থাকে, আর আমাগো কাগুর কাছেও ১০০ টাকা থাকে, তইলে আমাগো কাগুর কাছে বেশি টাকা আছে।
৪) কাগুর কি বোর্ডে কন্ট্রোল বাটন নাই, কেননা কাগুর সব সময় সব কিছুই কন্ট্রোলে থাকে।
৫) কাগু এক পাখি ছুড়ে দুইটা ঢিল শিকার করতে পারেন।
৬) ব্যাট ম্যান আর সুপারম্যানের ভিতর মারামারি হইলে কে জিতবে? ...... কাগু জিতবে।
৭) কাগু শীতের দিনের জন্যে সুর্যে একটা বাড়ি বানিয়ে রাখছেন।
৮) কাগু যেই বাড়িতে জন্ম নিছেন, সেইটা উনি নিজের হাতেই বানাইছেন।
৯) কাগু একবার একটা ঘোড়ার থুতনি তে লাত্থি দিয়েছিলেন। পরে সেই ঘোড়া থেকে যে বাচ্চা হয় সেইগুলারে আমরা জিরাফ বইলা ডাকি।
১০) আপনি নিজের ইচ্ছায় এই ব্লগ পড়েন নাই। কাগু আপনারে মন্ত্রবলে এই ব্লগ পড়তে বাধ্য করেছেন।
( এইগুলা পড়ে আর লিখে আমি একধরনের ছেলে মানুষী মজা পাইছি। আপনারা পাবেন কিনা জানি না। যাই হোক, ফেসবুকে কাগুর ফ্যান ক্লাব খুলছি। ইচ্ছে হইলে জয়েন খাইতে পারেন। )