somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামে, প্রশ্ন করাই খারাপ?

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





post-টা লিখতে লিখতে সুবিশাল হয়ে গেল। এটা কোন নোট না, কেবল একটা পোস্ট মাত্র। উষ্মাপ্রকাশক পোস্ট। আমার বিশাল প্যাড়াদায়ক পড়তে-পড়তে-ক্লান্ত-হয়ে-যাওয়া সাইজের নোটের মতই এ পোস্টের শুরুতেও দীর্ঘসুত্রিতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি! :(
আচ্ছা, তো, রোমান ক্যাথলিক চার্চ যেদিন বুঝলো মানুষ যত বেশি পড়তে থাকবে বাইবেল, তত তাদের মনে প্রশ্ন জাগতে থাকবে, আর বেশি পড়লে বেশি প্রশ্ন জাগলে এক পর্যায়ে বাইবেলের গলদগুলো বেরিয়ে পড়বে, তখন মানুষ দলে দলে খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করবে। এজন্য ধর্মযাজকরা কী করল জানেন? তারা প্রশ্ন করার অধিকারটাই কেড়ে নিল। যা যা লাগার সব তারাই বলবে, সাধারণ জনগণ কেবল মানবে, রবিবার দিন গিয়ে চার্চে একটু ধরনা দিয়ে আসবে। অর্থাৎ পুরো কনট্রোলটা থাকবে ঐ পুরোহিত/প্রিস্টদের হাতে।
বাইবেল বলছে, সূর্য চলছে, আর পৃথিবী স্থির। ক্যাথলিক ক্লেরিক ছিলেন কোপার্নিকাস। তিনি বলে বসলেন, নাহ, আসলে পৃথিবী ঘুরে। চার্চ বলল, এ তো গর্দভ। কমন সেন্স হারায়ে ফেলসে... বাইবেলের বিরুদ্ধে কথা। আমরা কি ঘাস খাই? আমরা জানি না কোনটা ঠিক?

Ideas are bulletproof. it didn't die.

কোপার্নিকাস তাঁর আইডিয়া শেলফে রেখে দিলেও তাঁর ছাত্র ইয়োহানেস কেপলার সেটা ধরে রাখেন, সূত্রও আবিষ্কার করেন।
এরপর আসলেন, গ্যালিলিও। উনি টেলিস্কোপ বানিয়ে দেখলেন, আসলেই তো সূর্যের চারদিকে ঘুরছি আমরা। উনি নিজে ক্যাথোলিক হয়ে কীভাবে এই কথা বলবেন বুঝতে পারলেন না। ১৬১১তে রোমে গেলেন তাঁর থিয়োরি বুঝাতে। চার্চ তখন তাঁকে বলে দিল, তোমার জবান ঠিক কর। নাইলে খবর আছে তোমার।
ওদিকে, বিজ্ঞানি ব্রুনো আর লুচিলিও ভানিনি-কে পুড়িয়ে মেরেই ফেলল চার্চ। :(

১৬৩২ সালে চার্চের হোমড়াদের সামনে দাঁড়ালেন গ্যালিলিও। বিচারের রায় শুনতে। এখানে দাঁড়িয়েই ব্রুনো তাঁর মৃত্যুদণ্ড শুনেছিলেন। না, গ্যালিলিওকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নাই, গৃহবন্দিত্ব।

সমস্ত প্রশ্ন, সমস্ত আইডিয়া কবর দেয়া ছিল চার্চের উদ্দেশ্য। যেন, নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া না হয়, যেদিন ধর্মটা সবার হাতে চলে যাবে, সেদিন ক্যাথলিক চার্চের আর কোন দাম থাকবে না।

এ ব্যাপারটা কি কেবল এই চার্চের ক্ষেত্রেই হয়েছিল? আর কারো ক্ষেত্রে হয়নি? হয়েছে, সব ধর্মেই অভিজাতদের সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা করা হয়। আদি ইহুদি ধর্মের দিকে তাকাই।

আপনি কি জানেন, ইহুদি ধর্ম একটা সময় কেউ আল্লাহ্‌র নাম পর্যন্ত মুখে আনতে পারত না? ইহুদি ধর্মে "YHWH" নামটা মুখে আনাও ব্যান ছিল! তাদের জন্য যেটুকু বলা অনুমোদিত ছিল, সেটা হল "হা-শেম" (The-Name)... "আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন" এ কথাটা বলতে গেলেও তারা বলবে "হা-শেম তোমার মঙ্গল করুন।"

ইহদি ১২ গোত্রের মধ্যে কেবল লেবিয়ো (ইমাম) গোত্র বাদে কেউ ধর্ম নিয়ে নাড়াচাড়া করতে পারবে না। তারাই আইন বানাবে, তারাই প্রয়োগ করবে। তারাই ব্রাহ্মণ। বাকিরা শূদ্র। তাদের কোন অধিকার নেই ধর্ম নিয়ে। তারা কেবল শুনবে আর মানবে। কোন প্রশ্ন করবে না।

যখন যীশু/ ঈসা (আ) আসলেন, দলে দলে মানুষ যোগ দিল তাঁর দলে। জানেন কেন? কারণ, তিনি একদম গরিবদের মাঝে গিয়ে ইসলাম প্রচার করতেন। যারা কোনদিন ধর্মগ্রন্থের কাছেও যেতে পারত না, ছোঁওয়া তো দুরের কথা। তাঁর সহযোগী হল ধোপারা, কর-আদায়কারীরা, জেলেরা। আর তিনি নিজে ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি লোককে প্রশ্ন করতে দিতেন, আর তিনি সুন্দর করে উত্তর দিতেন সেসব প্রশ্নের। যাদের কাছে কিছু জিজ্ঞেস করা যায় না, তাদের কাছে কেন যাবে মানুষ?

ইহুদী রাব্বিরা ভাবতেও পারে না, এই নিচু বংশ থেকে নবী আসবে, এত সম্ভ্রান্ত মানুষ থাকতে ওখান থেকে আল্লাহ কেন নবী পাঠাবে?
ধর্মটাকে নিজের সম্পত্তি বানাতে বানাতে সম্পূর্ণ করাপ্টেড হয়ে গেল রাব্বিরা। তারা আত্মসাৎ করতে লাগল মসজিদে দান করা টাকাগুলো।

ঈসা (আ) সেটা জানতেন।

তিনি সবাইকে বলতে লাগলেন এই করাপশনের কথা। অবশ্যই ইহুদীরা ক্ষেপে গেল। না, সাধারণ ইহুদি না। ঐ ইহুদি ইমামেরা, রাব্বিরা।
তারা তখন এই আপদকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার প্ল্যান করতে লাগল। কীভাবে ফাঁসানো যায়। ও তো প্রশ্ন করতে দেয়, সুতরাং আমরা প্রশ্ন দিয়েই ফাঁসাবো।

তারা তাঁকে গিয়ে প্রশ্ন করল, আমরা কি সিজার-কে ট্যাক্স দিব?
এ প্রশ্নটা করার উদ্দেশ্য ছিল, যদি ঈসা (আ) উত্তর দেন, না দিবে না। তাহলে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে ফাঁসানো যাবে। আর যদি বলে, দিবে, তাহলে তাঁকে ইহুদি আইনে ফাঁসানো যাবে, কারণ, সিজারের আনুগত্য করা হচ্ছে, আল্লাহকে না করে। কিন্তু, সকল প্রশ্নেরই উত্তর আছে, প্রশ্ন কেবল তারাই ভয় পায় যারা জানে না তাঁর উত্তর। আল্লাহ প্রশ্ন করতে মানা করেন না। আর ঈসা (আ) মাশাল্লাহ অনেক ভাল উত্তর দিতে জানতেন।

ইহুদীরা সেই প্রশ্নটা করে নীরবে দাঁড়িয়ে মজা দেখতে লাগল। তখন ঈসা (আ) একজনের কাছ থেকে একটা কয়েন নিলেন। এরপর বললেন, "এই কয়েনে কার ছবি আঁকা?"
"সিজারের," সবাই বলল। রোমান মুদ্রায় সিজারের ছবি তো থাকবেই। সিজারের রাজকোষ এর ব্যাপার স্যাপার।
"সুতরাং," ঈসা বললেন, "সিজারের জিনিস সিজার-কে দিয়ে দাও। আর আল্লাহ্‌র প্রাপ্য দাও আল্লাহ্‌কে।"
দুনিয়াবি এই সম্পত্তি সিজারকে দিরিয়ে দেয়া হোক, কারণ আসল কাজ হল আল্লাহ্‌র রাস্তায় কাজ করা, দরিদ্রদের দান করা।
এ উত্তর শুনে ইহুদীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করল। প্রশ্ন করে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই যে ফেঁসে গেছে। :(

কিন্তু, তারা দমে থাকে নি। শেষ পর্যন্ত ব্লাস্ফেমির দোষ দিয়ে ঈসা (আ)-কে ফাঁসিয়েছিল। প্রশ্ন করে না। সে অন্য কাহিনী। রোমানদের দ্বারা তাঁকে ক্রুশিবিদ্ধ করানোর ব্যবস্থা করেছিল। যদিও আল্লাহ সুবহানাওয়া তায়ালা ঈসা(আ)কে রক্ষা করেছিলেন। :(

কিন্তু ঐ ইহুদি রাব্বি, খ্রিস্টান যাজক আর হিন্দু ব্রাহ্মণদের যে মানসিকতা সেটা কি ইসলামে সঞ্চালিত হয়েছিল? নাকি হয়নি?
আপনি কি কখনও এমন অনুভব করেছেন যে আপনাকে দাম দেয়া হচ্ছে না আপনার প্রশ্নের জন্য? কারণ, আপনি তাদের মত উচ্চ মর্যাদার অধিকারী না? কারণ, তারা সম্ভ্রান্ত, তাদের সারা জীবনের কাজই হল ইসলাম নিয়ে, আর আপনি তো তুচ্ছ একটা মানুষ, সারা দিন গুনাহ করে বেড়ান, আপনার তো ইস্লাম হাতে নেয়ারও অধিকার নেই।

আপনার মাথায় হয়ত অনেক অনেক প্রশ্ন খেলা করে, তখন আপনি যদি গিয়ে জিজ্ঞেস করতে চান তাহলে আপনাকে কেবল বলা হতে পারে, যাও নামাজ পড়, রোজা রাখ, সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াও, আর এখন আসছো ইসলাম নিয়ে কথা বলতে?

আমি একবার রেফারেন্সগুলো মোবাইলে সেইভ করে নিয়ে মসজিদের ইমামকে দেখাতে গিয়েছিলাম, বলা আছে এগুলো কিন্তু কেন এগুলা করা হয় আমাদের মসজিদে?

আমি জানি, আমার সফট কপিগুলা ১০০% সহিহ। কিন্তু হাতের মোবাইলখানা দূরে সরিয়ে দিয়ে ফাজায়েলে আমল বের করে এনে যখন বলা হল, কিতাবে লিখা আছে তাই করতে হবে- তখন কী বলার থাকে?
সারাংশ কথা ছিল এই, তারা সারাজীবন মাদ্রাসাতে পড়ে এসেছেন, আর আমরা দুই দিনের বাচ্চা, এগুলা জানার প্রশ্নই আসে না। "ঐ জিনিস" (মোবাইল) দিয়ে ইসলাম হয় না। Blue blood. অভিজাত। ইসলাম নিয়ে পড়ার অধিকার কেবল তাদেরই। আমাদের না। আপনি কেবল তখনই প্রশ্ন তুলতে পারেন, যখন আপনি প্রমান করবেন যে, আপনার এই এই মাদ্রাসা ডিগ্রি আছে, আপনি কুরআনের এত দুর মুখস্ত করে ফেলেছেন, আর আপনি হাজার হাজার আরবি jargon জানেন...
"আরবি পার? আরবি তো পার না তুমি। তাহলে এখানে কথা বলতে আসছো কেন?"

দুই প্রকারের হুজুর দেখেছি। এক প্রকার স্বীকার করে নিবেই যে বিজ্ঞান ঠিক। তবে, এতে উল্লসিত হবার কিছুই নেই। কারণ তারপর বলবে, আরে নাসারা বিজ্ঞানীরা তো কুরআন পড়েই এগুলা আবিষ্কার করেছে। ছেলে, তুমি জান, এখন কেন এই মুসলিম জাতির এত দুর্দশা? কারণ তারা কুরআন পড়ে না। অথচ, পশ্চিমা ইহুদি নাসারারা কুরআন থেকে কত কিছু বানায়ে ফেলল, আর আমরা কিছুই করলাম না। কী হবে এ জাতির, কী হবে!"

খুব ইচ্ছা থাকা সত্বেও, তারাবি পড়ানো শেষ করার পর ঐ হুজুরকে জিজ্ঞেস করতে পারলাম না, আমাদের এত কন্ডেম করলেন অথচ আপনি কুরআন হাফিজ হয়ে কী কী আবিষ্কার আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন?
তিনি আরও বলবেন, বুরাকে চড়ে নবী মুস্তফা যেভাবে সাত আসমান পাড়ি দিয়েছিলেন, সেটা নকল করেই তো বিজ্ঞানীরা ঊনসত্তর সালে চাঁদে গেল। তারপর তিনি আমাকে খুবই গুরুগম্ভীর তথ্য দিলেন, মার্কিন নাসারা সরকার নাকি আর্মস্ট্রংকে চাঁদ থেকে ফেরার পর আজানের কাহিনী শুনে তাঁকে প্রাণের ভয় দেখিয়েছে, এজন্য আর্মস্ট্রং পাব্লিকলি বলতে পারছেন না, তিনি মুসলিম। আল্লাহ্‌র কী কুদরত। চাঁদে গিয়ে মুসলিম হয়ে গেল, আর দুনিয়াতে কিছু হইল না। আল্লাহ্‌র জগত বড়ই রহস্যময়, বুঝলা।

আলহামদুলিল্লাহ।

আচ্ছা, হুজুর, ওখানে গিয়ে যদি আর্মস্ট্রং নামাজ পড়তে চাইতেন? উনি তো মুসলিম...
এই, তুমি নিজে নামাজ পড়? দাড়ি তো দেখি না তোমার। এইসব অবান্তর প্রশ্ন কেন করতে আসছো? আগে নিজেকে শুধরাও এরপর অন্যের কথা আসবে। এই প্রশ্নটা হয়ে গেল অবান্তর। কিন্তু বান্তর প্রশ্ন কী জানেন? পরের জনের টা।

বাসা থেকে মসজিদ তিন পথে যাওয়া যায়। একটা হইল ডাইরেক্ট রুট। আর বাকি দুইখান হইল, অনেক ঘুরা পথ, প্রথমে বাসা থেকে দূরে যাবা, এরপর একটু অইদিকে নয়ত অন্যদিকে যাবা, এরপর সেখানে থেকে মসজিদে যাবা। এই তিনখান পথ আছে। হুজুর, কোন পথে যাব মসজিদে?
বান্তর প্রশ্নে অধিকতর খুশি হয়ে হুজুরের উত্তর, আরে, এটা বুঝলেন না? যেই পথে বেশি হাঁটা লাগে সেই পথে! কারণ, প্রতি পদে পদে তোমার নেকি... যত বেশি নেকি, তত ভাল জান্নাত পাবেন। সবচেয়ে বেশি কষ্ট করলে পাবেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ওখানে আপনি পাবেন...
কী কী পাব সেই লিস্ট অনেকক্ষণ। নেকির ক্যাল্কুলেশন চলছে।
আর আরেকদল পাবেন, যারা বিশ্বাসই করে না পৃথিবী ঘুরে। আমি এদেরকে নাম দিয়েছি ক্যাথলিক ইমাম :P কারণ, তাদের সাথে রয়েছে ক্যাথলিক বিশ্বাসের ব্যাপক মিল।

দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এখন আর ৬০০ সালে বসবাস করছি না। প্রায় ১৪০০ বছর পার হয়ে গিয়েছে... এবং মহাকাশে যাওয়াটা এখন স্বপ্ন না, যদিও তারা "খামোশ, এইসব শয়তানি নাফরমানি কথা নিয়ে আসছ কেন, এইগুলা ইহুদি নাসারা ষড়যন্ত্র, কুরআন পড় না? কোথাও পাইসো এসব? বুঝো না কেন, পৃথিবী দৌড়ায়, এই করে সেই করে বইলা তোমাদের চোখে ধুলা দিতেসে"- এগুলা বলে ডিস্কারেজ করে। (নিজের অভিজ্ঞতা)
কদিন আগে মনে হয়, একজন মালয়েশিয়ান আস্ট্রোনট গিয়েছিলেন স্পেশ স্টেশনে, অনেকেরই যাওয়ার স্বপ্ন আছে। সে মুসলিম ছিল। তাঁর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সেটা হবে অবান্তর, তবে জান্নাতুল ফেরদৌস আর জান্নতুল মাওয়ার ১০টা পার্থক্য কী- সেইটা হবে অতীব প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন।
আমাদের ইসলাম তাহলে কি ননট্র্যাডিশনাল প্রশ্ন করাকে ডিস্কারেজ করে? এই আমাদের ইসলাম?
জুম্মার নামাজের পর একটা ইন্টারেস্টিং কাজ করেছি মাঝে মাঝে। একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেখি, কে কাকে কাকে দান করে। মজা লাগে যখন দেখি, ঐ নারীকে একজন বেশি দিচ্ছে যার মাথায় আছে কাপড়। আর তাঁকে দিলই না, যার মাথায় নেই ঘোমটা।

কেউ কেউ বসে বসে নেকী গোণে, এক সারি ভিক্ষুক বসে আছে, কিছুক্ষণ তাদের দিকে তাকিয়ে সে ডিসাইড করল কাকে কাকে দেবে, দেখা গেল, সিঁদুর আছে যেই দুজনের তাঁকে দিল না। কারণ, সে ভেবে নিয়েছে, তাদের দিলে নেকী কম হবে। আগেই ক্যাল্কুলেশন করে ফেলেছে সে, কাকে দিলে বেশি লাভ। তাঁর কাছে প্রায়োরিটি সেটাই।
এই একটা লোককে খেয়াল করলাম, কিন্তু বাকিদের দেখা গেল, বাছ বিচার ছাড়াই সবাইকে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। ওদের তেমন একটা লোভ নাই নেকি কম হইল না বেশি হইল... হয়ত তাদের মাইন্ড নেকী ক্যালকুলেশনে দুর্বল। স্যাড, না?

তবে, এই সেকেন্ড টাইপ মানুষ বেশি দরকার। এদের মাথায় অন্য চিন্তা থাকতে পারে... নেকি নিয়ে না থাকলেও... অন্তত তারা প্রথম টাইপ মানুষ না যারা "থার্টি শর্ট ওয়েজ টু গেট জান্নাহ" নিয়ে পড়ে থাকে।
মানুষকে জাজ করার অধিকার নেই। এমন তো প্রায়ই হয়, নিজের মতের বিরুদ্ধে গেলেই কাফির খেতাবে ভূষিত করে দেয় কত মানুষ grin emoticon কাফিরে সয়লাব মুসলিম বিশ্ব, কেবল নিজে দরবেশ। মানুষকে ধরে ধরে ট্যাগ মারতে তাদের জুড়ি নেই।

এরকম অনেক বার হয়েছে, আমরা দুজন ভিন্ন জেন্ডারের মানুষকে একসাথে দেখে জল্পনা কল্পনা করে শেষ করে ফেলা হয়েছে। অথচ তাদের সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। এমনও দেখেছি, খুব ইসলামিক মাইন্ডেড কেউ একজন হিজাব পড়া কাউকে কেন একটা ছেলে হাত ধরে পার করে দিচ্ছে, সেটা নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতে। "দেখ তাকায়ে, কেমনে ঘোমটার নিচে খেমটা নাচ মারে"- কিন্তু, ঐ হুজুর না জানলেও ঐ মেয়েটা ছেলেটার আপন ছোট বোন আর মেয়েটা অসুস্থ দেখে তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল।
ভয় করা উচিৎ, প্রশ্ন করার জন্য গ্রুপ আর পেইজ দুটাই খুলেছিলাম, মূলত নিজের ফ্রাস্ট্রেশন থেকে। ক্লাস ১০ এর আগে আমি জানতামই না কিছু। কিন্তু, ২-৩ বছরের মাথায় মোটামুটি সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছি। নিজে পড়ে। এলিট ইমাম/মাওলানা/হুজুর সম্প্রদায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে না।
তাদের কাছ থেকে আমি শিখেছিলাম, কীভাবে বিবি হাওার পাপ কাজের কারণে আদম আর আমরা দুনিয়াবাসী হইলাম। বাইবেল পড়ার আগ পর্যন্ত আমি সেটাই বিশ্বাস করে আসতাম। বাইবেল পড়ে আমার ভুল ভাঙল। বুঝলাম, এই কথাগুলা স্রেফ বাইবেলের। কুরআনের না। ইসলামেরও না।
আমি যখন বললাম, হুজুর বাইবেলে তো এসব লিখা, আমরা কেন এগুলা বিলিভ করছি, এগুলা তো ইসলামে নাই। তখন প্রশ্ন শুনা তো দূরের কথা, বাইবেল শব্দটা আমার মুখে শুনেই কনক্লুশনে চলে আসা হয়ে গেল, আমি নাকি নাস্তিক :v
জ্বি হুজুর, আপনার থেকে নাস্তিক ট্যাগ খাইতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নাই। আপনাদের মত মানুষের থেকে যত বেশি এরকম ট্যাগ খাব আমি, তত বেশি বুঝা যাবে, আমি কিছু করছি।
যদি আপনার কোন শত্রু না থাকে, তাহলে আপনার বুঝতে হবে, আপনি আসলে কিছুই করেন নাই জীবনে। এমনকি হজরত মুহাম্মাদ (স) এরও শত্রু ছিল, আপনি-আমি কে?
তাওরাত-জাবুর-ইঞ্জিল সব পড়ে এই প্রশ্ন করেছি দেখে, হুজুর হাদিস শুনায়ে দিলেন, হজরত উমারের হাদিস। হাদিস ঠিক আছে। কিন্তু, সেটা আর্লি টাইমে ছিল। কিন্তু, এই হুজুরের মতই এখনও অনেকে আমাকে তুলাধুনা করতে ছাড়েন না। কেউ বলেন না, পরে এই আদেশ যে শিথিল করা হয়েছিল। নাহলে অন্য দেশের মানুষকে কীভাবে ইসলামের দাওয়াত দেবেন?

এটাও সত্য, পুরান গ্রন্থে আমি আইন খুঁজতে যাই নাই... জানতে গিয়েছি। পড়া যদি হারামই হইত, তাহলে রাসুল (স) জায়িদ বিন সাবিথকে অর্ডার করতেন না ইহুদি নাসারাদের ভাষা শিখার। বাইবেল যদি নাই জানতেন কোন সাহাবি তাহলে বাইবেলের বুক অফ ডিউটেরনমি থেকে কুরাইজার শাস্তি কার্যকর দিতে পারতেন না। তাওরাত যদি নাই পড়তেন, তাহলে সম্ভ্রান্ত ইহুদির ব্যভিচারের শাস্তি কীভাবে দিতেন রাসুল ইহুদি শাস্ত্র মতে? বাইবেল যদি না জানত কেউ, তাহলে কীভাবে আপনি আহলে কিতাবকে দাওয়াতের আহবান করার স্বপ্ন দেখেন?
কেন আমি পুরনো ইজ্রায়েলি কাহিনীগুলা বর্ণনা করি? এটা নিয়েও মানুষের কথার শেষ নাই। তোতাপাখির মত "কুরআন বলসে, ইহুদীরা এই বিশ্বাস করে, খ্রিস্টানরা এই বিশ্বাস করে"- এর বাইরে এক বর্ণ পরিমাণ জ্ঞান না রেখে কীভাবে মানুষ এইভাবে condemn করতে পারে? যখন আমি বলব, হাদিসে তো আছে, তোমরা ইজ্রায়েলি কাহিনী থেকে নিদর্শন বল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা ইসলামের কোন কিছুর সাথে সাঙ্ঘরষিক।
তখন আমাকে বলা হবে, এটা তোমার জন্য না।
কার জন্য তাহলে?
তাদের জন্য যারা এত বছর ধরে ইসলাম নিয়ে পড়েছে, এত এত ডিগ্রি আছে, এই সেই... ইত্যাদি। কার কথা বলছেন জানেন? এলিটদের কথা। ইসলামের প্রিভিলেজড ব্যাপারগুলা কেবল তাদের জন্যই প্রযোজ্য। ঠিক ইহুদি লেবিয়ো রাব্বিদের মত। ঠিক ক্যাথলিক প্রিস্টদের মত।
সাধারণ মুসলিমদের সেখানে কোনই প্রবেশাধিকার নাই।
যদি উত্তরদাতা বুঝতে পারে যে, আপনি কনভিন্সড না, তখুন বলবে, এগুলা কেবল তারাই পড়বে কেন বুঝো নাই? উনারা পড়লে কনফিউজড হবে না। তুমি পড়লে কনফিউজড হবা।
আল্লাহ্‌র কসম, আমি এগুলা পড়ে কোনোদিন কনফিউজড হইনাই, ইন ফ্যাক্ট, যেদিন থেকে স্টাডি শুরু করেছিলেম, সেদিন থেকেই আমার সব কনফিউশন দূর হতে থাকে।

ডিস্কারেজ করার হাজারখানেক উপাদান থলেতে নিয়ে বসবে তারা। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার যখন জ্ঞান চর্চার সাথে পারসোনাল রিচুয়াল পালন তুলনা করা শুরু করবে। আপনি কেন এসবের যোগ্য না, সেটা প্রমাণ করতে বসবে। তুমি তো গান শুনো, তুমি তো মুভি দেখ, তুমি তো প্রেম কর, তুমি বিদেশে থাক, তুমি তো মুসলিম দেশ ছেড়ে ইহুদি নাসারার দেশে গেছো, তুমি তো কার্ল মার্ক্স, ভলতেয়ার পড়, তুমি তো মাদ্রাসায় পড় নাই, তুমি তো ইসলামের লাইনেই পড় নাই, তুমি তো তাহাজ্জুদ পড় না, তুমি তো দাড়ি রাখ নাই, তোমার তো চুল দেখা যায়, তুমি তো আরবিই জান না তুমি কিসের ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করতে আসছো... নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক।
আমাকে দেখ, আমি এগুলা নিয়েই পড়াশুনা করি, আমি মাদ্রাসা পাস, তোমাকে দিয়ে তো কিছুই হবে না, তোমার এইসব জিজ্ঞাসা করার কোন কারণ নাই।

এই হইল, ৫৯খানা কারণ, কেন তোমার জাহান্নামের পচা উচিৎ।
আরে, এটা তো কেবল আমরা, নরমাল মানুষজন, ইভেন স্কলারদেরও তো ছাড়ে না। সেদিন এক পোস্টে বললাম, তারা বলবে, "এই নিন তিরিশটি কারণ, কেন এই স্কলারকে আমাদের ঘৃণা করতে হবে আর দুয়া করতে হবে যেন সে দোযখের আগুনে পুড়ে।"

আরও মজার ব্যাপার আছে, এরকম মানুষকেও দেখেছি, বলছে, "ইসলামের স্বার্থে আমি অমুকের সব লেকচার শুনি ভাই। কিন্তু সমস্যা হইল গিয়ে, উনার ৮৭ নাম্বার ভিডিওর একদম ৩৫ তম মিনিটে গিয়ে, এই যে দেখুন, আপনাকে দেখানোর জন্য মার্ক করে রেখেছি আমি, দেখেন এই নালায়েক কী বলে, এই একটা কথাতেই তো সে কাফের হয়া গেল। নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ্‌র তাঁর ভাগ্যে জাহান্নাম নসিব করুন।"
তাইলে ভাই আপনি কী করেছেন? কতজন মানুষের সন্দেহ দূর করেছেন? কতজন মানুষের ইসলাম নিয়ে অভিযোগ ক্লিয়ার করেছেন? নাকি সে প্রশ্ন করলেই বলছেন, জাহান্নামের কীট কোথাকার... তোমার তো কল্লা ফালায়ে দেয়া উচিৎ। প্রশ্ন কর কোন মুখে?

উত্তর না পেয়েই নাস্তিকতার পথে প্রথম পা বাড়ায় মানুষ। আর সে চিতায় আগুনের তেজ বাড়াতে সাহায্য করে যেই জ্বালানী সেটা হইল, ঐ এলিট শ্রেণীর দম্ভ, প্রশ্ন করার আগেই গলার স্বর কেড়ে নেয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা, ইসলাম নিয়ে কেবল তাদেরই যে কিছু বলার অধিকার আছে। বাকি সব ভুয়া।
কীভাবে আপনি নিশ্চিত হলেন, পরবর্তী ইসলাম সংস্কারক মদিনা ইউনি বা আল-আজহার থেকেই আসবে? ইজরায়েলিদের মত সবসময় সম্ভ্রান্ত শ্রেণীর দিকে না তাকিয়ে মাঝে মাঝে নিচের দিকে তাকানোটা আসে। সামান্য ওয়াচমেকার আল্বানিই কিন্তু আজকের নাসিরুদ্দিন আলবানি।
অন্ধ সাহাবির গল্পটা মনে আসছে, মুহাম্মাদ (স) তাঁকে অবজ্ঞা করে কুরাইশ নেতাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন। আর এজন্য স্বয়ং মুহাম্মাদ (স)কে condemn করে আল্লাহ সুরা আবাসা নাজিল করলেন!

"তিনি (মুহাম্মাদ) ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল। তুমি কি জান, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত, অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং তাতে তার উপকার হত। পরন্তু যে বেপরোয়া, তুমি তাঁর চিন্তায় মশগুল... যে তোমার কাছে দৌড়ে আসলো... তুমি তাঁকে অবজ্ঞা করলে... কখনও এরকম করবে না।" [কুরআন, সুরা আবাসা ৮০]

অবশ্য, এই কোটেশন থেকেও যার প্রতিবাদ করার সে করতেই পারে, 'তোমার কেইস আর এই কেইস কি এক নাকি?'
আরে, সবই যদি এক্সেপশনাল কেইস হয়, তাইলে রেগুলার কী?
যারা সারাদিন ঘরে (মসজিদে) বসে থাকেন তারা তো আসলে পরীক্ষা থেকে বেঁচে চলছেন, ভাল আর খারাপের দুনিয়াতে আপনি নেই। খারাপের প্রলোভন থেকে দূরে থাকা তো দুরের কথা, ভাল খারাপ পার্থক্য করার দরকারই তো পড়ছে না। আল্লাহ সারাদিন ইসলাম স্টাডি নিয়ে পড়ে থাকতে বলেন নি। দুনিয়ার জীবন কোন পানিশমেন্ট না।

যদি প্রলোভন ফেইস না-ই করলেন তাহলে কী জীবন যাপন করলেন? দ্বার বন্ধ করে ভ্রমটারে রুখি... সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?
আল্লাহ আমাদের পৃথিবীতে পাঠানোর আগে বলেই দিয়েছেন-
"Go down, some of you enemies of one another. And you will have residence on earth, and ENJOYMENT for a while." [২ঃ৩৮]
আমি কি একটা ফাঁক রাখলাম মাত্র? counter attack এর রসদ? জ্বি, not all kind of enjoyment... not all kind of provision. HALAL enjoyment. but, do enjoy.
মানুষকে খারাপভাবে জাজ করবেন না, তাঁর ভাল দিকের প্রশংসা করুন, মন্দটা হাইড করুন, আল্লাহ হয়ত তাঁর জন্য ভবিষ্যতে অনেক ভাল কিছু লিখেছেন, হয়ত আপনার মত যারা এলিট প্যানেলে আছেন তাদের চেয়েও ভাল কিছু। যে মেয়েটিকে আপনি বলছেন, তুমি কেন এভাবে চলাফেরা কর, সেই হয়ত কয়েক বছর পর ভাববে আমি কেন এভাবে চলতাম? আপনি তাঁকে দেখে হয়ত চিনবেনও না। তবে, আপনার condemnation তাঁর সঠিকপথে ফিরে আসাকে delay করিয়েছিল, মানুষ attacking মনভাবকে ভালভাবে নেবে না। নেবে ইন্সপায়রেশনটুকু... যে ছেলেটা একসময় ব্যান্ডের র‍্যাপার ছিল, সেই হয়ত একদিন স্ট্রিক্ট মুসলিম হবে... যেই ছেলেটা একসময় কদিন পরপর রিলেশন গড়ত আর ভাঙত, সেই হয়ত একদিন রাস্তা থেকে চোক না উঠিয়ে চলাফেরা করবে। যে জীবনের বেশ কটা বছর নাস্তিক ছিল, সেই হয়ত একদিন বড় dayee হবে। You NEVER know... smile emoticon আল্লাহ কাকে understanding দেবেন তিন সেটা জানেন। আমি বা আপনি না।

কারো, যদি ভাল কিছু থাকে, তাঁকে খারাপের খোটা দিয়ে কষ্ট দেবেন না। আজকে লিখেছিলাম, Don't mention a person's mistakes when they are trying to change. That's like throwing rocks at them while they are struggling to climb a mountain.
একটা সময় কুরআন সহজপ্রাপ্য ছিল না। বিশাল এলাকায় একটা মসজিদে একটা কুরআন থাকতো। তাও বই আকারে না। মানুষ যেন নিয়ে পড়তে পারে, সেজন্য ম্যানুস্ক্রিপ্টটাকে ৩০ ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এক এক ভাগ এক একজন এক একদিন নিয়ে যেত। পড়ত, ফেরত দিয়ে যেত। এই একেকটা ভাগকে "যুজ" বা "পারা" বলা হত। এখন আর সেই দিন নেই। এখন সবার ঘরে ঘরে একটা করে কুরআন থাকতেই পারে। নেট access আছে... android app আছে। রিসোর্স আছে কত... ১০০০ বছর আগের থেকে এখন ইসলাম অনেক সহজপ্রাপ্য। সুতরাং, এখন সকলেই নিজে পড়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতেই পারে। এটা প্রাচীন ইহুদি বা খ্রিষ্টধর্মের মত না।
"তোমাকে দেখসি তুমি কোট আর টাই পড়সিলা ঐদিন, লা হাওলা কুওাতা ইল্লা বিল্লাহ... আর তোমার এই হাত দিয়া তুমি নোট লিখ..." - এরকম রাফ ওয়ার্ডস বলার মত লোকের অভাব নেই।

আমার মত অনেকেই আছেন, যারা হয়ত ইসলামে ইন্টারেস্ট দেখায়। কিন্তু, আমাকে বলা হুজুরের সেই টাইপ বাণী শোনার পর অনেকেই নিরাশ হতে পারেন-
"জাকির নায়েক হইসো? না? পিপীলিকার পাখা উঠে..."
না, জাকির নায়েক হইনাই, তবে হুজুর, আপনার জাকির নায়েক কিন্তু একজন ডাক্তার মাত্র... উনি যতটা করেছেন ইসলামের জন্য, আপনি এই মসজিদের চার দেয়ালের মধ্যে তাঁর হাজার ভাগের একভাগও করেন নাই। মানুষের মনে জাগা প্রশ্নগুলোরও সব উত্তর দেন নি। smile emoticon
Never BLOCK a question. আমাদের তো আর ক্যাথলিকদের মত ভয় নেই যে, প্রশ্ন করলে ধরা খেয়ে যাব। আছে?

সাহাবিরা মুহাম্মাদ (স)কে নিজে দেখে বিশ্বাস করেছিলেন। আমরা তাঁকে দেখিনি পর্যন্ত।
রাসুল (স) বললেন, যদি আমি আমার ভাইদের দেখতে পেতাম!
সাহাবিরা বললেন, আমরা কি আপনার ভাই নই রাসুলুল্লাহ?
রাসুল বললেন, না। তোমরা আমার সাহাবি। তোমরা আমাকে দেখেছ, দেখে বিশ্বাস করেছ। কিন্তু আমার ভাই হল তারা যারা আমাকে দেখেনি, তারপরেও বিশ্বাস করেছে।
আনাস বিন মালিক বলেন,
রাসুল (স) বলেছেন, "সুসংবাদ তাদের জন্য যারা আমাকে দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে। তারচেয়েও বহুগুণ সুসংবাদ তাদের জন্য যারা আমাকে দেখেনি, কিন্তু আমাকে বিশ্বাস করেছে।"
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন।
:(
আমিন।


অসাধারন এই পোস্টি লিখেছেন আব্দুল্লাহ ভাই ।।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×