1.
পোশাক শ্রমিক
ভোর হলে সূর্য উঠলে
ছুটতে হয় খাওয়াটি ফেলে ।
10 তলা ওই কায়েদ খানাতে,
ঢুকতে হয় ক্ষুধার পেটে ।
তিন চার মাস বেতন নাই
করিতে থাকি কান্না,
বেতন চাইলে পাছাতে পড়ে
পুলিশের হাতের ডান্ডা ।
পেটেতে নাই ভাত
মনেতে নাই সুখ,
দিনের শেষে জীবন
দিয়েছে ভেংচি মুখ ।
রাত নামলে,ক্লান্ত দেহে
ঘুম নামে ভাই দুই চোখ ভরে ।
বেতন একটু বেশি চাইলে
পুলিশের গুলি লাগে ভাই বুকে ,
জীবনের নেই কোন আশা
শ্রম দিয়ে হয়েছি সর্বনাশা ।
2.
হা হা কার
ধ্বংস হক প্রেম ,নষ্ট বীর্য
তোমার ভালবেসে হারিয়েছি অনেক ,
পেয়েছি এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস,
সে ভালবাসা নয় ছিল উপহাস ,
প্রেমিকের বিশ্বাস আর নৈতিকতার সাথে ।
যেখানে বৃষ্টি নামে না ,
শরৎ আসে না ।
প্রেমিকের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়ে
সে চলে গেছে,
সে নেই । নষ্ট প্রেমিক আজ পরাজিত,
আমি হেরে গেছি ।
প্রেমিক হেরে গেছে ।
প্রেমিকের আত্মচিৎকারের দায় কে নিবে ?
প্রেমিকা না নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ।
প্রেমিক হারে
প্রেমিকা রাতের প্রহরে শীৎকার করে ।
মেতে উঠে শিশ্ন পূজাতে ।
মনে রেখ প্রেমিকারা
তোমাদেরও সন্তান হবে
তোমাদের গর্ভে আসবে আমার মত
আরেকটি নষ্টবীর্য ।
3.
বিষন্ন প্রেম
হে বিষন্ন বিকেল
সিগারেটের ধোয়ায় মেঘলা আকাশ
ছুটে যাওয়া জীবনের গান
ফেলে আসা সময়ের স্মৃতি
প্রেমিকার লাল অধরে
দিয়ে আসা আমার চুমুখানি
মনে পরে যায় সেই দিনগুলি
প্রেমিকার সাথে বসে থাকা সময়গুলি
চলমান ট্রেনের গেয়ে যাওয়া গীত
সিগারেটের ফিল্টারে দেয়া চুমুখানি
আমি স্মৃতি কাতর হই না
এ ঠোঁটে প্রেমিকা নেই
আছে শুধু সেই স্মৃতি
উড়ে যাওয়া সিগারেটের ভস্মে
হারিয়ে গেছে সেই বিকেল খানি
শাহবাগ হতে হাতিরঝিল
কিংবা সাতাশ নম্বর হতে উত্তরার পথে
মনে পরে যায় প্রিয়া তোমাকে
স্মৃতি ফেরি করি
হাতে হাত রেখে আঁকা পৃথিবী
রাজশাহীর দূর সেই গ্রামে
দু'জন মিলে ঠিক করে রাখা সেই ছোট গৃহ খানি
কিংবা মেঘ শুদ্ধের নামে
জন্মানো আমাদের সন্তানগুলি
আজ বৃষ্টি নামে
একা একা চেয়ে থাকি
হাতরে হাতরে স্মৃতিগুলি খুঁজি
তুমি চলে গেছ
সময় বয়ে গেছে
মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে
তোমার ছেলেগুলির নাম কি রেখেছিলে?
আমি চলে যাব
তুমি চলে যাবে
কিন্তু স্মৃতিগুলি শাহবাগে ইতিহাস হয়ে রবে।
4.
ঐ হুজুর সাহেব
ক্লান্ত দুইটি চোখে এক গুচ্ছ ঘুম নিয়ে,
সারা রাত জেগে হয়েছে
সেই পাখি ডাকা ভোর ।
আজানের ধ্বনি শুনে কাঁপেনি এই মন,
ভোরের রাস্তায় সেই দাড়ি টুপি দেখে,
বিরক্ত হয়ে একদিন উপহাস করে বলেছিলাম
"হুজুর টুপির নিচে গুপিচুপি রেখে যাচ্ছেন
কই ?"
উত্তর পায়নি আমি ।
অপমানে লজ্জায় সে হেটে গেছে বহুদূর ।
ক্লিন শেভ নিয়ে বসেছি পার্কের মাঝে,
তুলেছি প্রেমিকার উত্তাল দেহে
উদ্বেলিত এক মোহনীয় সুর ।
মৌমাছির মত ফুলে ফুলে ঘুরে চুষে নিয়েছি সব
সুর ।
দেয়নি কোন বাঁধা
মানিনি কোন ধর্মের মানা ।
এক দিন দুই দিন করে কেটে গেছে বহুদিন ।
জীবনের শেষ বেলাতে এসে ঘুম
এসেছে দুইটি চোখে,
এত বছর বেচে আমি ঘুমাতে গোলাম,
শূন্য হাতে,শূন্য হৃদয়ে