হুমায়ুন আজাদ,রাজীব হায়দার ,অভিজিৎ রায়, সর্বশেষ ওয়াশিকুর বাবু - তালিকা বড় হতে থাকবেই। কিছুই হবে না। একেকটা খুন হবে ; পত্রিকায় - অনলাইনে লেখালেখি হবে ; চ্যানেলে চ্যানেলে নিউজ হবে , পুলিশ কয়টা দিন দৌড়ঝাঁপ করবে (অথবা দৌড়ঝাঁপের ভান করবে ) তারপর সব আবার ঠাণ্ডা - পরবর্তি খুন না হওয়া পর্যন্ত । এসব ক্ষেত্রে তো বিচারও হয় না , স্পর্শকাতর ইস্যু , বেশী কিছু করতে গেলে যদি " ধর্মীয় অনুভূতিতে " আঘাত লাগে ! ধর্ম জিনিসটা বড়ই ভঙ্গুর , কলমের এক খোঁচাতেই সেটা ভেঙ্গে যায় । কি দরকার বাবা, এইটা নিয়া অযথা খোঁচাখুঁচির ? দুই একটা নাস্তিক মরলে কি আসে যায় ? ওরা নাস্তিক ব্লগার , ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় , উহাদের মরাই উচিৎ ।
বেহেশত পাওয়া খুব সোজা । খুব বেশী নামাজ রোজার দরকার নেই, সৎকাজ না - সৎচরিত্রবান হবার ও দরকার নেই। কেবল দুই একটা নাস্তিক খুজে বের করে জবাই করো ; ব্যস সোজা বেহেশত , ৭০ টা হুরপরি নিয়ে লদকালদকি । অভিজিৎ- বাবু মরলেই বা কি ? কারও চুলটাও ছিঁড়বে না। প্রকাশ্যে সন্ধ্যায় অভিজিতকে কুপিয়ে গেলো ; পুলিশ তাঁর কিনারা করতে পারে না। অথচ কয়দিন আগে ফকিরাপুলে মাদক সংক্রান্ত বিবাদে এক মহিলাকে মেরে ৭ টুকরা করে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় টুকরাগুলা ফেলা হইসিল। প্রথম টুকরা উদ্ধারের ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পুরা লাশ উদ্ধার এবং ৫ জন গ্রেপ্তার হয়, যাদের মধ্যে ২ খুনি , বাকিরা সহযোগী । এসব ক্ষেত্রে পুলিশ অনেক করিতকর্মা , খালি অভিজিৎদেড় বেলায় ফাইল চাপা পরে ; বাবুর বেলাতেও হয়তো পরবে । যেই দুইটা ধরা পরছে, তারা হয়তো ফাঁকফোকর দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসবে ।
বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বাংলাস্তানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খুব বেশী দূরে নয়, যেদিন এই উগ্রপন্থীদের জন্য " ইসলাম শান্তির ধর্ম " কথাটা রসিকতায় পরিণত হবে ।