এক গল্প বলি । উল্টো রাজার রাজ্যের গল্প । উল্টো রাজ্য অনেক বড় রাজ্য। রাজ্য চালানোর জন্য আছে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় । এমনি এক মন্ত্রণালয় হলো দেশকল্যান মন্ত্রণালয়। সেই মন্ত্রণালয়ের যিনি মন্ত্রি , তিনি আবার ভারি দুষ্টু । তার দুষ্টামির কিছু নমুনা বলি ঃ
১। একদা এক পাঠশালার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হইয়া গিয়েছিলেন। এমন সময় তাহার চাপিল হুঁকার নেশা । আয়েশ করে হুকায় দিলেন কয়েকটা টান । এই হুঁকা টানের চিত্র আবার পরদিন কয়েকজন দুষ্টু পুথিবাজ তাদের পুথিতে ছাপাইয়া দিল !
২। আরেকদিনের ঘটনা । দেশকল্যান মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধী বিষয়ক অনুষ্ঠানে মন্ত্রি অকস্মাৎ নিদ্রা গেলেন। পুথিবাজেরা তার চিত্র আঁকিতে গেলে তাহার কোটাল বলিল ঃ মন্ত্রী অনুষ্ঠানে এভাবেই ঘুমান। এখানে চিত্র আঁকিবার কি আছে?
৩। পুথিবাজদের উপর মন্ত্রীর অনেক রাগ । একদা গুমগঞ্জের ৭ খুনের ব্যাপারে তিনি বলিয়াছেন ঃ সাত খুনের ঘটনা লইয়া পুথিবাজেরা অনেক বাড়াবাড়ি করিয়াছে। এজন্য পুথি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজা নতুন আইন করিতেছে ।
৪। সর্বশেষ জানা যায় তিনি পুথিবাজদের 'খবিশ’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলিয়াছেন এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করিয়াছেন । তিনি আরও বলেন ঃ
* সর সর ...’ ......... ‘তোমাদের মুখ দেখতে আসি নাই...’
* এরা কেউ পুথিশাস্ত্র পড়ে পুথিবাজ হয়নি। একমাত্র আমার মেয়ে পুথিশাস্ত্রে বিদ্যার্জন করিয়াছে। আর এরা পাঠশালায় ঘোরাঘুরি করিয়া পুথিবাজ বনিয়া গিয়াছে ।
* তোমাদের কাহার কী চরিত্র, আমার জানা আছে। স্বাধীন পুঁথি কমিশন হইলে পরে দেখিয়া নেব—তোমরা (পুঁথিবাজেরা) কতটুকু যাইতে পার! ’ :-< :-< :-< :-< :-<
এই পর্যন্তই পুঁথি পাওয়া গিয়াছে। হয়তো অচিরেই মন্ত্রীর কীর্তিকলাপ সম্বলিত আরও পুঁথি আবিষ্কৃত হইবে। "সঠিক রাজ্যে " এমন হইলে অবশ্য এই মন্ত্রী পদত্যাগ করিতেন , তবে উল্টো রাজ্যে এমন ঘটনা কখনই ঘটে না ।। ।। ।।