Click This Link
সূত্র: প্রথম আলো।
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই বলার নাই। এরাই হলেন, আমাদের দেশের ডাক্তার। তারা নিজেরা খুব ভাল করেই জানেন, অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া ঠিক না, এতে ভাল বদলে খারাপ হয়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে অল্প সময়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলার মাধ্যমে নিজেকে ভাল ডাক্তার হিসাবে জাহির করার জন্য তারা এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামেন।
ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে ডাক্তারদের কমিশন খাওয়ার কথা কে না জানে। কিন্তু যে কোন ডাক্তারকে তা জিজ্ঞেস করে দেখুন, বেমালুম অস্বীকার করবে। আবার নিজের পছন্দের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট না করালে রাগে গজগজ করতে করতে ব্যবস্থাপত্র ছুড়ে ফেলে দেবে।
আমাদের গুণী ডাক্তাররা বিগত ৫/৬বছর ধরে শুরু করেছেন নতুন আরেক ব্যবসা। তা হল, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী থেকে কমিশন খাওয়া। বিনিময়ে ডাক্তাররা রোগীর ব্যবস্থাপত্রে অকারণে ঐ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা ভিটামিন লিখে দেন। বিশ্বাস না হলে, আপনার বাসার কাছের ফার্মাসীতে সামনে দাড়িয়ে থাকা মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেন্টিভদের একবার জিজ্ঞেস করুন, উত্তর পেয়ে যাবে। ঢাবির প্রাণরসায়ন থেকে পাশ করা এসিআই-তে চাকরীরত আমার এক পরিচিতা এসিআই কোম্পানীর থেকে বাজারে নতুন আসা ওষুধের ব্যাপারে ফার্মগেটের মিলিনিয়াম ডায়গনস্টিক সেন্টারের একজন প্রফেসরকে অবহিত করতে গেলে সত্তোর্ধ বয়স্ক ডাক্তার বলেন, ওষুধের কথা রাখুন, আপনার নিজের কিছু দেয়ার আছে কি-না বলুন। আপনার নিজের কিছু দেয়ার না থাকলে আপনি আমার সময় নষ্ট করছেন।
রোগী জাহান্মামে যাক, ডাক্তারের পকেটে কড়কড়ে পাচশ টাকার নোটটি ঢুকলেই তিনি খুশী।
প্রতিবাদ করতে চান? কোথায় করবেন? থানায় মামলা করবেন? বাংলাদেশে নিরপেক্ষ এমন কোন সংস্থা নেই যারা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করবে। ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার কারণে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন? ডাক্তাররা নিজেরাই তখন ধর্মঘট ডেকে বসবে। আমরা ম্যাংগো পিপল, ডাক্তারদের কাছে বড় বেশী অসহায়। জীবন বাচানো জন্য তাদের কাছে ছুটে যাই, আর তারা আমাদের জীবন কেড়ে নেয়ার জন্য সদা প্রস্তুত।
আমাদের গুণধর ডাক্তারদের আরো কয়েকটি সু(?)কীর্তি।
Click This Link
Click This Link