সর্দি হলে আমাদের "ম" এর উচ্চারণ "ব" আর "ন" টা "ড" হয়ে যায় ।নাক চেপে ধরলেও একই অবস্থা হয়।তাই না?
আবদার রশীদ এই মজার আর বিচিত্র ছড়াটি লিখেছেন।
উচ্চারণ বৈচিত্র্যই ছড়াটির মূল আবেদন।
সর্দি-বদ্ধ ছড়া
“বাঘ বাসে ভুগি ভাই ঠাড্ডায়,
ফাল্গুডে পড়িলাব গাড্ডায়।
সর্দিতে হল ডাক্ বদ্ধ,
পাইডাকো আর কোডো গদ্ধ।
আব গাছে ধরেছে বুকুল
গুড্ গুড্ করে অলিকুল।
টুড্ টুডি সজ্ ডের গাছে
গাড গায় আর খালি ডাচে।
ডিবগাছে ঝুরু ঝুরু ফুল
বৌবাছি বধুতে আকুল।
বহুয়ার বদির সুবাস-
বাতাল হয়েছে বধুবাস।
চারদিকে গদ্ধের খেলা,
তার বাঝে আবিই একেলা।
বসে আছি বোজা ডাক ডিয়ে
গদ্ধেরা যায় ফাকি দিয়ে।
ভয়াডক বুশকিলে আছি
এর চেয়ে বরে গেলে বাচি।
যতদিড্ ডাক ছিলো খোলা ভাই
ডাকের কি বর্যাদা,বুঝি ডাই।”
উপরের ছড়াটি বাচ্চাদের সঙ্গে ভাব জমানোর জন্যে মুখস্ত করে রেখেছি। এটা শুনে বাচ্চারা বেশ মজা পায়।আপনিও মুখস্ত করে ফেলেন।
( ব্লগে যেহেতু এসেই পড়লেন, আরও কিছু মজার আর জটিলতম ছড়া পড়ে যান! )
নিচের ছড়াটিও বাচ্চাদের বেশ আনন্দ দেয়। অনেক আগে পড়ে ছিলাম,ছড়াকারের নাম মনে নেই।
কী করে যেন আমার দুর্বল ঘিলুতেও ছড়াটি গেঁথে গিয়েছিল।
আমি এক মাক্কু
চুপি চুপি ঘরে ঢুকে চারজন ডাক্কু,
তিনটা মোচওয়ালা একটাই টাক্কু,
বের করে শটগান,বের করে চাক্কু,
নাক ডাকা ঘুমে ছিল তুরাব আলি কাক্কু,
ডাকাতের একজন ভাঙে তার নাক্কু,
সবকিছু নিয়ে নেয় ঘরখানি ফাক্কু,
সেই চার ডাকাতের আমি এক মাক্কু।
নিচের ছড়াটি পাঠ করুন দাঁত আর জিব্বার নিরাপত্তা নিজ দায়িত্তে রেখে।
এই ছড়াটি আবৃত্তির ক্লাসে পড়ানো হয় মুখের গিট্টু(জড়তা) ছুটাতে।
মুখের ভাল ব্যায়ামও হয়। :-& :-& :-& :-&
নাদ
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
( উচ্চস্বরে আবৃত্তি করুন,দেখবেন মুখ হাল্কা লাগছে। )
মট্-মট্-মট্-হুঙ্ঘট কট্ গন্ঠীয়া
ঘন্ন বিছট্ রন্টিয়া!
বল্লুক্ লুক্ বাণ্ডা
হন্ডুল্-গুল্ ভাণ্ডা-
পণ্ডু পুহিন গণ্-গণ্-গণ্ ষণ্ডিয়া!
চিম্পট্ কুটু? গুমফট লগ্ ফন্দরে
ভণ্ডুর গুজু গন্দরে!
রুস্কিলি কিল্ মুস্কি
জর্ম-জটুল্ ফুস্কি
চিঞ্চিল চিন্ রণক্-ধণক্ লন্দরে!
কর্-খল্-মঘ্ ডাঙ্গুলি-রগ্ ভণ্টিয়া
দুম্বুল্ পিলু পণ্ঠিয়া!
ঐ ঝল্ ঝলি হঞ্জে
কিক্কিড়ু দিলু ভঞ্জে
গম্বু-গজর্ লম্বুক্ পরিচণ্টিয়া!
মট্ট-মটক হুঙ্ঘট-কট্ গণ্ঠিয়া!
এই কবিতাটি নির্মলেন্দু গুনের। কোন বইয়ে পড়েছিলাম মনে নেই।
কবিতাটি খুব ভাল লেগেছিল।
শূন্যতাও আহার্য আমার
"এই বিশ্বপ্রকৃতি হচ্ছে ঈশ্বরের ডিম ।
আকাশ হচ্ছে সেই ডিমের খোলস,
মহাশূন্য হচ্ছে ডিমের সাদা-অংশটা
পৃথিবী হচ্ছে ডিমের কুসুম।
আমি ভালবাসি ডিমের কুসুম,
কিন্তু জনৈক ডাক্তার বলেন ।
না-না সাদা-অংশটাও খাবেন-
সুস্বাস্থ্যর জন্যে দুটোই জরুরী।
সেই থেকে শূন্যতাও আহার্য আমার।"
(অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬