এই খানে কতো রাত ঘুমিয়েছি আমরা,তেল চিটচিটে কাথা মুড়ে,
কতো অলস দুপুর এই খানে চাটাই বিছিয়ে আমরা
তিনতাসের জুয়া খেলেছি দুইটাকা দানে,
এই খানে বাসি ডাল দিয়ে পেটপুরে গরম ভাত খেয়ে
কতোশতো রাত গল্পে কাটিয়েছি।
কার যেন দেখা হয়নি কোনদিন রেললাইন,
তাই সবাই মিলে হেটে হেটে মাঝরাতে তাকে নিয়ে
রেললাইন দিয়ে চলে যাওয়া;
কতো ধার দেনা একে অপরের,
কতো শতো সিগারেট বিনিময়,
কতোবার মাস শেষে ভুনা মুরগির ফিস্ট,
বুয়ার ঝগড়া,বাজারের লিস্টি নিয়ে কতো তুলকালাম।
কতো শতো মাস বছর জড়াজড়ি করে বেচেঁ থাকা ।
আজ শুনেছি বন্ধুর প্রমোশন হয়েছে।
ছিমছাম আবাসিক এলাকায় পেয়েছে দুইতলা দখিনা বাড়ি।
বেছে বেছে বন্ধুদের নিমন্ত্রন সেখানে,
সেখানে হুইস্কির বোতল খুলে ভুলে যাওয়া পুরনো নেভি সিগারেট যুগ,
ডিভিডিতে একটা বিদেশী মুভি দেখে আয়েশী ভঙ্গিতে গদিআটা চেয়ারে হেলান।
সেখানে নিওন জলে,চলে বিকল্প শক্তি,
অসহ্য গরমের রাতে
সেখানে তালপাখার প্রবল ঝাকুনির প্রয়োজন ফুরিয়েছে।
ওখানে খটখটিয়ে লাভ নেই হোসেইন।
ওখানে দরজা জুড়ে দাড়িয়েছে তাগড়া দারোয়ান।
নিমন্ত্রনহীন লোকদের সেখানে প্রবেশ নিষেধ।
তার থেকে এই ভালো পড়ে থাকো কাজির গলির মেসে।
পড়ে থাকো আবর্জনাময় খোয়াড়ে তোমার।
তালি দেয়া প্যান্ট পরে ঐ আবাসিক এলাকায় ঘুরে বেড়িও না আর।