মুসা ইব্রাহীম যেদিন এভারেষ্টের চূড়োয় উঠলেন, সেদিন আমিও বাসার ছাঁদে উঠে বসেছিলাম অনেকটা সময়। ত্রিশ বছর বয়স্ক সাহসী এ তরুনের সাথে নিজেকে মিলিয়ে দেখতে গিয়ে বার বার হোচট খাচ্ছিলাম। অফিস বিল্ডিঙের নাইন্থ ফ্লোরে যদি লিফট ছাড়া উঠতে হতো তাহলে চাকরীটাই হয়তো আর করা হতো না । খেয়ে পরে বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বনটা ছেড়ে দেয়ার সাহসটা হয়তো দেখাতেই হতো।
মুসা ইব্রাহীম হিমালয়ের চূড়োয় উঠে এখানকার বোর্ড বাঙালি কমিউনিটির মাঝে চাঞ্চল্য তৈরি করলেন। মিষ্টিমুখ। একসাথে আড্ডা দিয়ে কফি আর ফ্রাইজ। কলার তুলে চলা। সব হলো। এমন সব চাঞ্চল্য নিয়েই তো আমরা প্রবাস বিভূঁইয়ে বেচে থাকি। আমাদের সুখ কি আর সয়, কদিন পর ঠিকই প্রশ্ন তুলা হলো মুসার অভিযাত্রা নিয়ে। সে পুরো বাঙালি জাতির সাথে প্রতারনা করেছে বলে দাাবী করা হলো। ছাগু হিমু তার কিটিবিটি ছেড়ে দিয়ে গবেষনা শুরু করল মূসার প্রতারনা নিয়ে।
ব্লগে ব্লগে ছাগু হিমুর ভক্ত আশেকানরা মুসার প্রতারনা নিয়ে সচলায়তনের অভ্যাস মত নোংরামি শুরু করলেন। সত্যকে নোংরামি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। ইতিহাসের এ নিয়মে আজকে িঠকই পোষ্ট লিখে মুসাকে দায়মুক্তির পথে এগিয়ে দিলেন এক জলদস্যু । তিনি মুসার কাজের লোক, পাড়ার চায়ের দোকানদারের সাথে সময় নষ্ট না করে, এক অস্ট্রেলিয়ান মাউন্টেনিয়ার ব্রেন্ডনকে খুঁজে নিলেন। ব্রেন্ডন তাকে লিখেছে "I'm pretty sure I got to the top somewhere around 6:30am, but its hard to remember. It was about an hour after the sun came up.
I have a very vague memory of passing Musa (very distinctive in his bright orange jacket) at the third step, but its all a bit hazy.
One thing I would say is that his sherpa indicated to me when i was assessing his condition on the mountainthat he had been to the summit and he was exhausted. Also, i have to say that in all the interviews and the official functions in KTM, Musa was very genuine and I never once doubted that he made the summit.
I climbed from the Tibetan side."
ছাগু হিমুর ম্যাৎকারের চেয়ে ব্রেন্ডনের মেল আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলো। আশা করি এবার ছাগুটা থামবে।