বরিশালের এক ছেলের সাথে কথা বলছিলাম মোবাইলে। আজই শুনলাম সে ছাত্রশিবির করে। "কেমন আছ", জিজ্ঞেস করতেই বললো- "আর বইলেন না। কলেজে তো যাইতেই পারিনা। আর আপনাদের ডিজিটাল পুলিশ থাকতে দেয়না বাসায়। কালকে বাসায় পুলিশ আসছিলো। আইস্যা আমার নাম, বাবার নাম, গ্রাম এইসব জিজ্ঞেস কইরা খুইজ্জা গেছে।"
"আমাদের বরিশাল শহর মেসে পুলিশ হানা দিয়া দুইটা হুন্ডা নিয়া গেছে। যে কয়জনকে পাইছে গ্রেফতার করছে, চাইরটা কম্পিউটার নিয়ে গেছে। প্রায় দুই হাজার বই সব বস্তায় কইরা নিয়া গেছে। মেসে যা পাইছে সব নিয়া গেছে, এমন কি জামা-কাপড় ও নিয়া গেছে, এমন খয়রাতির খয়রাতি আপনাদের ডিজিটাল পুলিশ।"
তার বলার স্টাইলে একচোট হেসে নিলাম। কিন্তু এ হাসির ফাকে বুঝে নিলাম কি চলছে দেশে। সারা দেশে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এখন এই একটাই কাজ। কোন যুবকটা নামাজ পড়ে, রসূলের সুন্নত দাড়ি রেখেছে নয়তো গোড়ালির উপরে প্যান্ট পড়েছে। নিশ্চয়ই শিবির, ধর ওকে, ভর জেলে। সব তরুন যুবক যদি সোনার ছেলেদের মত রামদা হাতে মাস্তান হতো, রাস্তাঘাটে পুলিশ পেটাতে পারতো, হয়তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখন কিছুটা স্বস্তি পেত।
চলুক, দেখা যাক কতদূর যেতে পারে, দেশটাকে কতখানি মগের মুল্লুক বানাতে পারে। প্রতিটা ক্রিয়ারই একটা প্রতিক্রিয়া আছে। ক্রিয়াটা যদি হয় নির্মম, প্রতিক্রিয়াটা হয়তো হবে ভয়াবহ। প্রতিটি ফেরাউনের জন্য নীলনদ অপেক্ষা করে, প্রতিটি হিটলারের জন্য মর্মান্তিক পরাজয়। প্রতিটি স্বৈরাচারের জন্য ৯০, আর প্রতিটি বাহাত্তরের জন্য পঁচাত্তর। আমরা জনগণ শুধু ইতিহাসের নিরব সাক্ষী হয়ে থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯