বাসায় ফোন করে দেখি আজকে ঈদ উপলক্ষে বাসায় মেহমান এসেছে। আর আমার বাবা নামাজ পড়বেন কাল। বাসার কাছের মসজিদে কাল ইদএর জামাত।
আর এই নাটক দেখছি তো গত ১৮ বছর ধরে। প্রত্যেক বছর দু'দিন ঈদ হচ্ছে। হুজুররা হাজারও ফতুয়া আবিস্কার করে নিজেদের কারিস্মা দেখাতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছে, ঈদ নিয়ে কন্ট্রভার্সি তৈরী না করলে কেও হুজুরদের তো ফোন করেন না, তাতে তাদের তো দাম কমে যাচ্ছে। তাই এটাকেই যেন ঊদ্দেশ্য করে, ঈদ নিয়ে একটা কন্ট্রভার্সি তৈরীতে সবাই ব্যস্ত। মুসলিম উম্মার একাত্ততার তো এভাবেই ১২ টা বাজছে। ফরজ নামাজ ঘড়ি ধরে পড়তে বাধা নেই, ওয়াজিব নিয়ে মারামারি। ইমাম যেদিন ঈদ করবে, সেদিন ঈদ করার কথাটাও বলা আছে। যার অর্থ, একাত্ততা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে, কন্ট্রভার্সি তৈরী করার কথা বলা হয়নি।
যাই হোক, আশা করি কেউ এনিয়ে কথা বলবেন না। হুজুররা যেহেতু এক হতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে যার যেদিন সুবিধা, সেদিন ঈদ করুন। কোন একটা ফতুয়ায় ফেলে নিজের পছন্দের দিনটিকে জাস্টিফাই করে নিন। হুজুরদের ফোন করা বন্ধ করে দিন। যখন দাম পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কয়েক বছর পর এমনিতেই এক হয়ে যাবেন উনারা।
সালাম ও ঈদের শুভেচ্ছা রইল সবার জন্যে।