বিজ্ঞানের রীতিই বুঝি এই-আজকের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি আগামীকালই যেন বেমানান। নতুন প্রযুক্তি এসে আগের প্রযুক্তিকে পুরনো করে, অপ্রয়োজনীয় করে দেয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এখন মোবাইল ফোন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। কিন্তু এ মোবাইল ফোনের রাজত্বের আয়ুই বা টিকবে কত দিন? বোধ করি বেশি দিন আর নয়। কেননা বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করছেন, যেখানে কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলে আর মোবাইল ফোনসেট লাগবে না, পরনের জামা-কাপড়ই মোবাইল ফোনের কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রোসায়েন্স ল্যাবরেটরির পরিচালক জন ভোলকিস ও তাঁর সঙ্গীরা নতুন এ প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ চালাচ্ছেন। তাঁরা চাচ্ছেন, কারো সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের হার্ডওয়্যার, ব্লুটুথ কিংবা ইয়ারফোনের প্রয়োজনীয়তা বাদ দিতে। ইতিমধ্যে তাঁরা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে পরনের জামা-কাপড়ের ভেতর বিশেষ ধরনের ডিভাইস বসিয়ে কথা বলার কৌশল আবিষ্কার করেছেন।
ভোলকিস বলেন, ‘কথা বলতে আর মোবাইল ফোনসেট কানে লাগাতে হবে না। আমরা এ পদ্ধতি বর্জন করেছি। আপনার পোশাকই মোবাইল ফোনের প্রয়োজন মেটাবে।’ তিনি জানান, পরিধানের উপযোগী ওই পোশাক তৈরির সময়ই ইলেকট্রনিঙ্ ডিভাইস গেঁথে দেওয়া হয়, যা তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান করতে পারে। এই বিশেষ ডিভাইস এন্টেনা সেনা সদস্যদের পোশাক, হাসপাতালের গাউন, এমনকি দৈনন্দিন ব্যবহারের টি-শার্টে লাগানো যেতে পারে। কেউ কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইলে শুধু পোশাকের কলারটি মুখের সামনে এনে কথা বললেই হবে। বিষয়টি অনেকটা ওয়্যারলেসের মতো। পোশাকটি পরিধানের পরই এন্টেনা কাজ শুরু করবে।
ভোলকিস আরো জানান, অনেক সময় যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের গোপনে চলাফেরা করতে হয়, মাটিতে শুয়ে বুকে ভর দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। ওই সময় এ পোশাক তাদের কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগে বেশ কাজে আসবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
কালের কন্ঠ
সূত্র : http://taiyabs.com/2011/10/28/33814