বাংলাদেশও তো আক্রান্ত হতে পারে!
.........................
চোর যতই সাধু সাঁজোক চোর থাকবে চোরই। আমাদের পার্শবর্তী দেশসমূহের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতি তাকিয়ে বললাম||
প্রায় ত্রিশ লক্ষ্য শহীদ ও মা-বোনদের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ধর্মের ভিত্তিতে যাদের বিশ্বাস করতাম তারাও আমাদের চরম শোষণ করেছে যা ইতিহাসে স্পষ্ট। আর যাদের অসাম্প্রদায়িক বলে বিশ্বাস করি তারাও আজ ঘাতকের সারিতে। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। তেমনি প্রত্যেকটা ধর্মের মর্মবাণীও একই। কিন্তু এর বাইরে এসে যখন ধর্মের নামে মায়াকান্না দেখায় তখন তাদের উদ্দ্যেশ্য বুঝার আর বাকী থাকে না। এটা যে ধর্মেই হোক- এরা ঘাতক, এরা অবিশ্বাসী, এরাই ধ্বংস সৃষ্টির মূল। আজ এমন তিনটা সংগঠন নিয়ে সামান্য আলোকপাত।
#BBS, #969, #RSS জোটের কথা বলা হচ্ছে ।
শ্রীলংকার উগ্র বৌদ্ধদের সংগঠন '(BBS)-বধু বালা সেনা’র সংক্ষিপ্ত রূপ। যাদের কাজ হচ্ছে, শ্রীলংকাকে মুসলিমমুক্ত করা।
আর '৯৬৯'- হচ্ছে মায়ানমারে উগ্র বৌদ্ধদের সংগঠন, যার নেতা বৌদ্ধ সন্ত্রাসী নামে খ্যাত আশ্বিন উইরাথু। এদের Ideology বা ধর্মাদর্শ মায়ানমারকে মুসলিমমুক্ত করা।
আর 'রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)'- হচ্ছে ভারতের সকল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মূল, যাদেরও আইডলজি মুসলিমমুক্ত অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা।
এই তিনটি সংগঠন-ই কিন্তু বর্তমানে জোটবদ্ধভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ তাই মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে যেন তারা আমাদের মাঝে আঘাত হানতে না পারে। আমরা ধর্মে বৈচিত্র্য নিয়ে বাঁচতে চাই; ধর্মকে ঠেলে দিয়ে নয়। সব ধর্মের মর্মবাণী সুন্দর।।
বাংলাদেশের ম্যাপের দিকে তাকান-
BBS-969-RSS জোটের মাঝে ছোট্ট অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। বিষয়টা দেখতে সুন্দর দেখা গেলেও কতটুকু ভয়ঙ্কর একবার ভেবেছেন? ৯৬৯ কিন্তু একটি মাত্র সংগঠন নয়; পুরো মায়ানমারের বৌদ্ধ জনগণ, দেশটির সরকার ও আর্মি একই মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়েগেছে বলে প্রতীয়মান।
আর RSS-ও কিন্তু শুধু ভারতের একটি মাত্র সংগঠন নয়; ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, দেশটির বর্তমান সরকার(BJP) সরকার আরএসএস মতবাদে বিশ্বাসী বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
শ্রীলংকা-ও কিন্তু BBS(বধু বালা সেনা)-এর মতাদর্শের দিকে ঝুকছে যা অতি সাম্প্রতি দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য শ্রীলংকায় মুসলিম সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৯%। ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় মুসলিমমুক্ত করার জন্য মিছিলও হয়েছে বা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে এবং এমন কি হত্যার ঘটনাও ঘটছে। পুনঃশ্চ, বিশেষ করে কিছু রোহিঙ্গা মায়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে উচ্ছেদ হয়ে শ্রীলংকায় সাম্প্রতি আশ্রয় নেয়।
বৈষয়িকভাবেও আজ মুসলমান ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে আছে। মুসলিম বা অন্যান্য ধর্ম জঙ্গীবাদে বিশ্বাস নয়। তবে যাদের ভিন্ন উদ্দ্যেশ্য আছে তারা ধর্ম ব্যবহার করে এবং তাদের কাছ থেকে সাবধান! সেটা যে ধর্মেই হোক। আসলে এসবের মূলে রয়েছে পুজিবাদী ব্যবস্থার কুফল। পুজীবাদের মূল হচ্ছে ছলে হোক কলে হোক আয়ের পথ নিজের আয়ত্তে রাখা। অর্থ থাকলে সব কিছুই থাকে|| অন্নদামঙ্গলের একটা উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই-
"লুটিয়া ভুবনেশ্বর যবন পাতকী,
সেই পাপে তিন সুবা হইল নারকী।
নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।
বিস্তর ধার্ম্মিক লোক থেকে গেল দায়।"