কথা ছিল ঢাকা যাওয়ার। সুন্দরবনে বাঘের এক বাঘী সম্মেলন থেকে বাঘের ফোন আসায় আমি ঢাকার যাত্রা স্থগিত করে, দু'দিন পরে সুন্দরবনের দিকে রওনা দিলাম। পথ প্রদর্শক হিসাবে তারা শিয়ালকে পাঠালেও আমার সাথে শিয়ালের সাক্ষাত হয়নি। অন্য দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রামপালের পক্ষে কথা বলায় এ দেশীয় কোনো মানুষ আমার সাথে সুন্দরবনে যেতে চাচ্ছে না; মানুষ মামলাকে ভয় পায়, পুলিশকেও ভয় পায়। কাউকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এক প্রতিবেশী কুত্তাকে নিয়ে বনের দিকে রওনা হলাম। আর সুন্দরবন যাবার পথে বড়-ছোট অনেক নদীও পার হলাম। আর মাত্র দু'টা ছোট নদী খেয়া পার করলেই পৌছে যাবো সুন্দরবনে। অন্য দিকে মূল-সুন্দরবনে যাবার জন্য আমি নৌঘাটে গেলে কিছু মানুষ নামক হিংস্র আমার সব টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেই। আর সাথে থাকা কুত্তা, কুত্তা হলেও শিয়ালের মতো সেয়ানা; তার খরচের জন্য সে ব্যক্তিগত কিছু টাকা হাতে নিয়েছিল। সন্ত্রাসী হিংস্র মানুষ থেকে এ কুত্তা কৌশলে পালিয়ে যায়, ফলে তার টাকা গুলো রক্ষা পায়। আর এ দিকে কাকতালিয় ভাবে শিয়ালের সাথে আমার সাক্ষাত। বাকী দু'টা খেয়ার একটা পার হলেও দ্বিতীয় খেয়াতে বন-পুলিশ আমাদের আটকে দেয় বাঘ কনফারেন্সের কথা শোনে। মুচলেকা দিয়ে কোনো মতেই সুন্দরবনে পৌছলাম। ঘাটনা স্থলে পৌছে বাঘ থেকে জানতে পারলাম, বন-পুলিশের বাধার কারণে এখানে কোনো কনফারেন্স হচ্ছে না। অন্য প্রাণী সম্প্রদায়ের খুঁজ নিয়ে জানা গেল- বিদেশী সিংহের নেতৃত্বে বিপুল ধর্ষণের ফলে সুন্দরবনে এইচড ছড়িয়ে পড়ছে; আগামী কয়েক দশকের মধ্যে প্রাণীকূল ধ্বংসে যাবে। সুন্দরবনে এখন কোনো প্রাণী ভালো নেই। সুতরাং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাই, থুক্কু চাই। রামপালে বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে বড় বড় বিজ্ঞানীদের নিয়ে সেখানেই গবেষণা হোক কেন সুন্দরবনে প্রাণীকূল হ্রাস পাচ্ছে!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩২