somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিবস পালনেও ভয়!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭১ এর বিজয়ের আনন্দ এখন আর নেই তা অনুমেয়। আছে 'বিজয় দিবস' পালন। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি মুক্তিযুদ্ধা দেখেছি। মুক্তির কথা অনেক শুনেছি, যুদ্ধ নিয়ে অনেক কিছু এখনও আমাদের আন্দাজের বা কল্পনার বাইরে, তার পরেও এখনো আমরা মুক্তি পায়নি তা কম হলেও নিশ্চিত করে বলা যায়। মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টারী, বই, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা ইত্যাদি দেখলে/পড়লে বুকে কান্নার রুল ভাসে, রক্ত হয় বাস্প, মুখ বুঝি মলিন হয়, তার পরেও আগামীর আশায় বুকের হতাশা ঝরাই। স্বাধীনতার অনেক বছর পরের ইতিহাসও লুটেরাজ, জারজ পাকিস্তানী আমল অপেক্ষা খুব ভাল যাচ্ছেনা বোধয়। তারা(পাকি) নাকি চাইলেই যে কোন কাজ করতে পারত যদিও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদেরর আগুন ধিকিধিকি জ্বলত।পাকিদের নারীর প্রয়োজন হলে ঘরে ডুকেই স্বামী, পিতা/ভাই কে হত্যা করেই বা না করেই নারীর নরমাংশের স্বাদ অনায়াসে নিতে পারত,যে কারো গবাদি পুশু জবে করে খেতে পারত, এভাবে আরো অনেক কিছু সংশয়হীনভাবে করতে পারত, কাউকে তার জবাবও দিতে হতো না।যার রুপ কিছুটা বোধগম্য হচ্ছে, আজকের বাংলাদেশে।
স্বাধীনতা কি কল্পনাতেও ভাসত না, ভাসার কথাও না। অবরুদ্ধ থেকে যখন ৭১ এ অল্প স্বাধীন হই, তাতেও আমরা খুশিতে আত্মহারা ছিলাম। আর যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাঙ্গালী জাতির পিতাকে বলতে হলো- যারা ঠিকানায় পিতার নাম লিখতে পারোনা, তাতে আমার নাম লিখ; এ হলো মুক্তিযুদ্ধের একাংশ, পাকিরা কি করছিল তা এ বাক্যে সহজে অনুমেয়। এক কথায় স্বাধীনহীনতার কষ্ট যে দেখেনি বা পায়নি তাকে বুঝা ত দুরের কথা, তা অনুমান করাও দুঃখসাধ্য। তবে অভিনয়ে এ কষ্টের মর্মাহত হওয়া যায় মূলে নয়।

১৬ ডিসেম্বর'১৬ইং, রোজ শুক্রবার। সকাল আটটায় চবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলাম, উদ্দেশ্য, পুস্পমাল্য দিয়ে দেশের জন্য আত্মত্যাগীকে ক্ষুদ্র শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন। সে বিজয় দিবসে পরাজয় বোধ করলাম।পুস্পমাল্য নিয়ে যেন আমরা কিছু অপরাধী চবি স্বাধীনতা মুরালে উপস্থিত হলাম,যাওয়ার সময় তিন বন্ধুকে নিয়েগেলেও পুস্প দেওয়ার সময় তারা যেন অপরাধী! তাই ছাত্রলীগের ভয়ে পালিয়ে গেছে, আরো দুই বন্ধু, শীত ও অধীনতার ভয়ে দিবস এডিয়ে গেছে। এ হলো স্বাধীনতার পয়তাল্লিশ বছরের পরের কথা। আমরা শিবির বা দেশদ্রোহী দল নই।

কেন স্বাধীনহীনতায় ভোগী? এ কথা লিখার আগে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। একটি দেশের জনগনকে তিন কিসিমে ভাগ করা যায়।(কাল্পনিক)
১। নিম্নমান
২।মধ্যমান
৩।উচ্চমান
এখানে উচ্চ ও নিম্নমান জনগন অধিকাংশ সময় নিজের নিয়ে চিন্তায়, কিভাবে নিজে খায়, অন্যের সম্পদ খাওয়া যায় এ নিয়ে বেশী ব্যস্ত। মধ্যমান জনগনই সব সময় ব্যতীক্রম, এদের ইতিহাস উজ্জ্বল, এরাই পারে সব কিছু করতে, এরাই পারে জাতির পরিবর্তন করতে। মধ্যমানে- তরুণ, শিক্ষিত, পরিশ্রমী ইত্যাদি জনগণ। এদের যদি আমরা বলিয়ান করতে পারি দেশ নয়, পুরো পৃথীবিটা আমাদের হাতেই চলে আসবে। তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও বাস্তবিক জ্ঞান(বিজ্ঞান মনস্ক)। আর ধর্ম ব্যক্তিকে শান্তি দিতে পারে, দেশকে নয়, জাতিকেও নয়। যে ভাই রক্ত চুষে তাকে কিভাবে ধর্মের ভাই বলতে পারি? আমাদেরকে ভারতের সাহায্য নিতে হয়েছে একমাত্র পাকিস্তানের কারণে, দ্বিজাতি তত্ত্ব হচ্ছে গাঞ্জাখুরী তত্ত্ব, শোষণের তত্ত্ব, ধর্মের তত্ত্ব নয়!


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×