আসলে মানুষ নামক প্রাণীটা বেশ রহস্যময় একটা শব্দ যার আদি নিয়ে যেমন টানাটানি তেমনি তাকে জানার অন্তের অন্ত নেই; তবে যে কোন ধর্ম মতে এত বুদ্ধুি সম্পন্ন মানুষের আদি-অন্তের হিসাব কষা আছে, হিসাবটা শুধু ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলে বেশ সমাধাও পাওয়া যায়; এখানে একটি অপ্রিয় সত্য হলো সব ধর্মের কষা এ সব হিসাব সব সময় অভিন্ন নয়। মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে পৃথক করার একটি কারণ সেটি হলো যুক্তি। প্রত্যেক প্রাণীর প্রাণ, এমনকি বেশ বুদ্ধিও আছে কিন্তু যুক্তি নেই; মানুষকে মানুষ বা মানব বলার একমাত্র মাপকাটি হচ্ছে যুক্তিশীলতা।
পৃথিবীতে লক্ষ কোটি জীব রয়েছে; তার মাঝে মানুষ একটি, শুধু তাই নয়, সে আবার যৌক্তিকও ; তার মেধাও অতুলনীয়, সব কিছু ভাবার ক্ষমতাও রয়েছে অসীম, সে চিন্তা করে, পর্যাবেক্ষণ করে তার পরেই সে মন্তব্য করে কোন বিষয়ে। থুক্কু, কিন্তু সে অযথা বাধা-নিষেধ আরোপ করে, এই বই পড়িশ, অই বই পড়িশ না, এটি খারাপ, অই টি ভাল, এটি সত্য, ওটা মিথ্যা; এটি কেন? সব ধরনের বই পড়ব, সব কিছুকে জানব, সত্যকে খুজব, যা করার তাই করব, যা হবার তাই হব ; তবে অন্ধভাবে নয়, যৌক্তিকভাবে। আবার যুক্তিও নাকি শয়তানের কাজ? তাহলে যাব কোথায়। এখানে পথ একটাই খোলা তা হলো- যে সময়ে যে কাজ করার সে কাজই করা; তাও আবার জানার ইচ্ছা থাকলে, অন্যতায় নয়।
আমি একজন মানুষ, পরিবার, সমাজ, এমনকি বন্ধু-বন্ধবও একেক জন একেক ভাবে আমাকে দেখে; তাহলে আমি এক ব্যক্তি একই সময় এ বহুমুখি চাহিদার যোগান দেওয়া অসম্ভব; তবে দেওয়াও যায়, ফলে তাতে ধোকাও থাকতে বাধ্য; যা আজ বিভিন্ন ধর্মবার্তারা করেন।
এ সামাজিক জীবন চলার পথে দেখি, অনেকে নিজের প্রয়োজনে যুক্তিকে প্রাধান্য দেয়, আবার নিজের স্বার্থে যুক্তিকে ভটকেও দেয়, এ হলো স্বার্থুদ্ধারের জীবন। এ পথ থেকে যারা ব্যতীক্রম আসলে তারাই মনীষী। যুক্তির শেষ নেই, তবে সীমা আছে; তেমনি জ্ঞানেরও শেষ নেই, তবে সীমা আছে। প্রত্যেকটা যুক্তির পেছনে একেকটা সত্য বের হয়ে আসে বা আসতে বাধ্য; আর যে যুক্তিতে সত্য বের হয়ে আসে না তাতে বেশ সন্দেহও আছে নিশ্চয়।
এভাবে চলার পথে আমরা অনেক কিছুরই সত্য সহজে বের করতে পারি; আবার অনভিজ্ঞার কারণেও অনেক সময় সত্য গোপনেই থেকে যায়; অন্য দিকে 'সত্য' কথাটি কখনো সত্যি নাও হতে পারে। এরই মাঝে মানুষের উত্থান-পতন, সভ্য-অসভ্য, জ্ঞানী-অজ্ঞানীদের লীলা খেলা। আপনার বিষয়টা আপনকে জানতে হবে, অন্যের কাছ থেকে নয়; অন্যের কাছে শেখলে সাথে ধোকাও শেখা হবে, যা আমরা প্রতিনিয়ত দেখে দেখে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩২