ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন দুই থেকে চারজন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেত। সেখানে সন্দেহজনকভাবে আটক হয়ে আজ বুধবার কাউকে কারাগারে যেতে হয়নি। কারণ, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আজ ৫৪ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর আজ পর্যন্ত ৫৪ ধারায় ২১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
৫৪ ধারায় ভাষ্য হলো, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া পুলিশের কোনো ব্যক্তিকে আটক করার ক্ষমতা। শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা।
পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনা দিয়ে প্রায় ১৩ বছর আগে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আইনজ্ঞরা বলছেন, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে ৫৪ ও ১৬৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে। ৫৪ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশ স্বেচ্ছাচার করতে পারবে না। আবার এই ধারায় গ্রেপ্তার কাউকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেওয়া যাবে না। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা নিয়ে পুলিশ সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন। যে কারণে আজ এ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে নির্দেশনাগুলোর মধ্যে ছিল, ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার কাউকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেওয়া যাবে না। কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তাঁর পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে কারণ জানাতে হবে। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের ভেতরে কাচ দিয়ে নির্মিত বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কক্ষের বাইরে তাঁর আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন। জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪০