উলঙ্গ শরীরে জ্যোছনা পোহাইতাম,
মাটি লেপ্টে বুকের উপর প্রলেপ দিতাম,
অপ্সরার উরুতে কবিতা লিখতাম-
তারপর?
হিংসা আর বিদ্বেষের প্রচ্ছন্ন সঙ্গমে কাল ছেদন কইরা
এই শহরে পৌঁছাইলাম-
একখানা নাম ঝপাইয়া জন্তু-জানোয়ারের শক্ত চামড়া পরাইয়া দিলো,
পাপ-পূন্যের হিসেবে মায়ের স্তনে দাবিও বসাইলাম,
পরিবার হইলো, সমাজ হইলো,
ধর্মের ছাপা নাকি কপালে মারা আছিলো ।
বুকে লেপ্টানো মাটির শরীর ও ময়লা হইলো,
জ্যোছনার রাত আসলোনা আর কোনো প্রহরে,
অলি-গলি দিয়া সুরাপানির স্রোত; গলা ভিজাইলো না,
রুক্ষ ঠোঁটখানাও অপ্সরীর স্পর্শ পাইলো না।
মরুভূমি দিয়া হাঁটলাম, সাগড় পাড়ি দিলাম,
পাহাড় উৎরাইয়া আকাশ ছুঁতে চাইলাম-
বহুদূর আমার পরিচয়,
তবুও দুঃস্বপ্নে হাজার খানেক সকাল দেখলাম।
কালান্তরের অন্ধকারে ডুবে মইরা রইলাম,
তবুও তারা কয় জীবন,
অথছ কি বিভীষিকা না দুপুর গুলো কাটে-
কেউ কি জানে না?