কিছুটা ভয় পাওয়ার কথা কারন দিন দিন যে ভাবে যুবসমাজ ফেসবুক ইউজ করছে তাতে আসক্ত না হওয়ার কিছু নেই।
চলুন একটু বিশদ ভাবে জানি কোনটা কি ?
মাদকাশক্তিঃ কি?
মাদ্কাসক্তি হল কনো মাদকদ্রব্য গ্রহন বা সেবনের প্রতি অত্তাধিক ঝোঁক বা আকর্ষন। নেশা মানুষের একটি আদিম প্রবণতা, যা পৃথিবীর মানুষকে যুগে যুগে, কালে কালে ক্ষতি করে যাচ্ছে এবং উই পোকার মত কুরে কুরে শেষ করছে রাষ্ট্র, সমাজ এবং সংসারের কাঠামো-অবকাঠামো।
পৃথিবীর উন্নতির সাথে সাথে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কারের সঙ্গে মানুষ অনেক নতুন এবং অতি ক্ষতিকারক মাদক দ্রব্যের সন্ধান করে নিয়েছে। আদিম নেশা আফিম ছেড়ে মানুষ এখন জড়িযে পড়েছে হেরোইন, প্যাথেড্রিন, ব্রাউন সুগার সহ অনেক ক্ষতিকারক নেশার জ্বালে।
কিছুকাল আগেও মাদক দ্রব্য তৃতীয় বিশ্বের এই ভূখন্ড বাংলাদেশে কোন সমস্যার সৃষ্টি করেনি। কিস্তু আজকের সমাজের পেক্ষাপট ও তার বাস্ববতা থেকেই আমার অপটু হাতের এই ক্ষুদ্র রচনার প্রয়াস। জানা গেছে যে বর্তমানে বাংলাদেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সঙ্খ্যা প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি।পৃথিবীর ধনী ও গরিব প্রতিটি দেশে এবং খ্রীষ্টান-বুদ্ধ-হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মাবলম্বী মানুষের সমাজে, ছোট ও বড় শহরে মাদকাসক্তি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছে। ২১-৩৫ বছর বয়সের লোকেরা বেশি মাদকাসক্ত।
ফেসবুক কি?
ফেইসবুক বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেইসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
মার্ক জুকেরবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেইসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারাবিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য।
ফেইসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেইসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জুকেরবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেইসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।
এইটা আমার না ইউকিপিডিয়ার কথা
মাদক আর ফেসবুক তুলনাঃ
আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম মাদকাশক্তি কি? আর ফেসবুক কি?
মাদকাশক্তি আর ফেসবুকাশক্তি এখন প্রায় এক। কারন-
১। মাদক গ্রহণ না করলে যেমন ভাল লাগেনা আর ফেসবুক ইউজ না করলে ভাল লাগেনা।
২। দিনে এক বার অন্তত মাদক গ্রহণ না করলে মনে হয় কি যেন মিস করলাম আর ফেসবুক দিনে এক বার ইউজ না করলে মনে হয় কি যেন মিস করলাম।
৩। মাদক খেতে টাকা লাগে আর ফেসবুক খেতে ইন্টারনেট লাগে।
৪। মাদক ১৪ থেকে ২৬ বছর বয়সীদের মাঝে বেশি গ্রহণ করে আর ফেসবুক ও ১৪ থেকে ২৬ বছর বয়সীদের মাঝে বেশি ইউজ হয়।
৫। মাদক খেতে টাকা বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিতে হয় আর ফেসবুক ইউজ করতে বন্ধুর মোবাইল নিতে হয়।
৬। মাদক না নিলে যেমন কিছু ভাল লাগেনা আর ফেসবুক ইউজ না করলে কিছু ভাল লাগেনা। ইত্যাদি,ইত্যাদি।
উপরোক্ত কারন ছাড়া আরও অনেক কারন আছে।
মাদকাশক্তি যেমন ক্ষতিকর ফেসবুকাশক্তি তেমন ক্ষতিকারক.....................................
তাহলে আমারা তরুণ সমাজ এখন কি করব? এর কি উপাই আছে? তাহলে সেটি কি?
বিঃদ্রঃ (আমি নিজে ফেসবুকে আসক্ত)