দোকানী পচা মাছ গছিয়ে দেয়নি বা মাছ কিনতে গিয়ে ঠকে আসেননি তো, এমন মানুষ বুঝি খুঁজলেও মিলবে না বৈকি। আজকাল সুপার শপগুলোতেও চলে এই একই কারবার। যতই ফরমালিন বা রঙ দেয়া হোক না কেন, তাজা ও ওষুধ মুক্ত মাছ চিনে নেয়ার আছে কিছু দারুণ কৌশল। ৯টি টিপস প্রয়োগ করতে পারলে জীবনে আর কখনো মাছ কিনে ঠকতে হবে না আপনাকে। জেনে রাখুন ৯টি টিপস।
১) তাজা মাছ কখনো শক্ত হবে না, আবার নরমও হবে না। তাজা মাছ হবে ‘বাউন্সি’। যদি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে দেখেন যে মাছ একদম শক্ত, বুঝবেন যে সেটা ফ্রিজে রাখা ছিল। আর যদি আঙ্গুল দিলেই দেবে যায় ভেতরে, বুঝবেন মাছের বয়স হয়েছে। তাজা মাছে আপনি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে দেবে যাবে। কিন্তু আঙ্গুল সরিয়ে নিলেই জায়গাটা ঠিক হয়ে যাবে।
২) তাজা মাছের চোখ সবসময় স্বচ্ছ হবে। একদম ঝকঝকে চোখ হবে, দেখলে মনে হবে মাছটি জীবন্ত। সময়ের সাথে সাথে এই চোখ ঘোলাটে, মৃত হয়ে আসে। যত সময় যায়, চোখ তত নিষ্প্রাণ। ফরমালিনে মাছের মাংস পচে না ঠিকই, কিন্তু চোখের জীবন্ত ভাব নষ্ট হওয়া ঠেকানো যায় না। চোখ দেখলেই চিনে নিতে পারবেন তাজা মাছ।
৩) মাছের কানকো দেখাটা তাজা মাছ চেনার একটা ভালো উপায়। যদিও মাছের কানকোতে এখন রঙ মিশিয়ে রাখেন দোকানিরা। তাই শুধু কানকো দেখে মাছ কিনবেন না। জেনে রাখুন, তাজা মাছের কানকো হবে তাজা রক্তের রঙের এবং পিচ্ছিল, স্লাইমি ভাব থাকবে।
৪) চোখ আর কানকো দেখার পর মাছের শরীর দেখুন। মাছের শরীর কি চকচকে আর উজ্জ্বল রূপালি রঙের? বিশেষ করে সুপারশপের মাছে দেখবেন চকচকে রূপালি রঙের বদলে হলদে বা অন্য রঙের আভা দেখা যায় মাছের গায়ে। এতে বুঝে নেবেন যে মাছটি অতি অবশ্যই অনেকদিনের পুরনো। তাজা মাছ চকচক করবে, সময় যাওয়ার সাথে সাথে চকচকে ভাব একেবারেই ম্লান হয়ে যাবে তা সে যতই ফরমালিন দেয়া হোক না কেন।
৫) তাজা মাছের গন্ধ হবে পানির মত, সামুদ্রিক মাছ হলে সমুদ্রের মত। শসার গন্ধের সাথেও মিল পেতে পারেন। যে মাছ থেকে বাজে গন্ধ আসবে, সেটা নিঃসন্দেহে তাজা মাছ নয়।
৬) জিয়ল মাছ যেমন শিং, মাগুর, শোল ইত্যাদি কিনতে গেলেও সাবধান। আজকাল দোকানিরা মরা জিয়ল মাছকেও তাজা বলে ধরিয়ে দেন। জিয়ল মাছ যদি ট্যাংকের মাঝে ঘোরাফেরা করে, ধরতে গেলে ছটফট করে তাহলে সেই মাছ কিনুন। আগে থেকে বের করে ট্রে-তে সাজিয়ে রাখা মাছ নয়।
৭) সুপার শপের কেটে রাখা মাছ বা ফিশ ফিলে কিনতে চান? কাটা মাছের রঙ লক্ষ্য করুন।, তাজা মাছের মাংস হবে উজ্জ্বল রঙের। রঙ যত বিবর্ণ, মাছ তত পচা।
(সংগৃহীত)