পত্রিকা, টেলিভিশন বন্ধ এবং আগামী এক মাস রাজনৈতিক দলকে কোন ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে সরকার পুরোপুরি বাকশালে ফিরে গেল। অনেকেই বলছেন দেশে অঘোষিতভাবে জরুরী অবস্থা জারি হলো।
সভা-সমাবেশে নিষিদ্ধ করতেও সরকার ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর বলেন, “শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিরোধী দল ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়, শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। তাই জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এবং নৈরাজ্য ঠেকাতে সরকার আগামী এক মাস কোনো সভা সমাবেশের অনুমতি প্রদান করবে না।”
এদিকে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে ত্রাণকার্য সুষ্টুভাবে পরিচালনা ও দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য আগামী এক মাস সারাদেশে রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।” দেখুন
সাভারের শত শত মানুষ নিহত হলেও সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ হয়নি। তাহলে মহাসেনের অজুহাতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা কতটুকু যৌক্তিক? আসলে সরকার বিরোধী দলকে সহ্য করতে পারছে না। তারা পুরোপুরি বাকশালে ফিরে যেতে চায় বলেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।