গত ৯ ফেব্রুয়ারি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জাতীয় কাউন্সিলে দেয়া ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান রাজাকার ছিলেন জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “তারা ’৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের অধীনে ডিসি ছিলেন। প্রশাসনে থাকা রাজাকাররা অন্য রাজাকারদের থেকে দেশের বেশি ক্ষতি করেছিল। ঘরে এসব বড় বড় রাজাকার রেখে বাইরের রাজাকারের বিচার জনগণ মানবে না। এজন্য সরকারকে আগে তাদের বিচার করতে হবে।” তিনি ওইদিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে রাজাকার হিসেবে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, “তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলে আমি সাক্ষী দেব।”
এ বক্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা আমিন মজুমদার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর একটি উকিল নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়- মহিউদ্দীন খান আলমগীরের পরিবারের কেউই রাজাকার নন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার পরিবারের সদস্যরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের অংশীদারিত্ব জাতির নিকট প্রমাণিত। তাকে রাজাকার হিসেবে শনাক্ত করা উদ্দেশ্যমূলক, বেআইনি ও মানহানিকর।”
এরপর কাদের সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীরকে আদালতে যাওয়ার জন্য স্বনির্বন্ধ অনুরোধ করেন। অবশেষে বিষয়টা আদালতেই গড়াল। দেখা যাক এর শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজাকার নূরু মাওলানার মামলা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১