ধরণীর আত্মার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে
তুমি কর্ম ও খাদ্যকে ধরণী বলে ডাকো।
তুমি যখন কর্ম করো তুমি হয়ে যাও সুর
কর্মহীনতার কোলাহলে তুমি ঋতু বৈচিত্র্যহীন বছর।
কর্মের ডাকে
ক্ষুধা নিবারণের জন্য
তুমি হত্যা করো কোনো নিকষ তরু-পল্লবী
তৃষ্ণা মিটানোর জন্য
ছিনিয়ে নাও কোন নবজাতকের মায়ের দুগ্ধ।
যখন শরতের আকাশের স্মৃতিচারণে
তুমি হত্যা করেছ,দুগ্ধ ছিনিয়ে নিয়েছো
তোমার রক্তে এবং রক্তে মিশে আছে বৃক্ষ ও প্রাণরস।
জেনে রাখো,
ধরণীর কর্ম মিছিলে খাদ্য উপসর্গ মাত্র,
বিধিরাম জন্মলগ্নে তোমার জন্য তা করেছে সুনির্দিষ্ট।
যেন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বাঁশির সুর
সময়ের অস্ফুটস্বরে সঙ্গীত....