[মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ১৩]
অনুবাদ: আ-আল মামুন
আমাদের বিদেশ সংবাদদাতা
বাঙালি বিদ্রোহের নেতা কোথায় আছেন সে ব্যাপারে গতকাল পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের সরকারি রেডিও থেকে বলা হয়েছে যে ঢাকার মধ্যবিত্ত অঞ্চলের বাসভবন থেকে শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখন তিনি বন্দী হয়ে আছেন। আবার ভারত থেকে একটি রেডিও সম্প্রচার শোনা গেছে যার কণ্ঠস্বর শেখ মুজিবের বলে দাবী করা হয়েছে। এতে বলা হয় ‘আমি এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করছি এবং বাংলাদেশের মতোই মুক্ত স্বাধীন রয়েছি। শুক্রবারে স্বাধীনতা ঘোষণাকালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের নাম দেন: বাংলাদেশ।
চট্রগ্রামে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সমূদ্রবন্দর এখন শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে বলে খবর পাওয়া গেছে, তারা এখন নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংগঠিত করছে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ভারতের দক্ষিণ ঘুরে দীর্ঘ সমুদ্র পেরিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য প্রেরণের প্রধান পথই চট্টগ্রাম বন্দর। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে তার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম শহর ভারী গোলাবর্ষণ ও ট্যাংক আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার’ পরিচয় দেয়া সম্প্রচারকেন্দ্রটি থেকে শেখ মুজিব নিজে সম্প্রচার করছেন বলে দাবী করা হয়েছে। বক্তা বলেন, “ট্যাংক কিংবা বোমা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের চেতনাকে রুদ্ধ করা যাবে না।” তিনি তার অনুসারীদেরকে পাকিস্তানী দখলদারদের খুঁজে বের করে ধ্বংস করার আহ্বান জানান। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন। বিপ্লবী রেডিও থেকে জাতিসংঘের কাছেও সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া সকল রাষ্ট্রের কাছে, বিশেষত প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনে সাহায্য করার জন্যও অনুরূপ আবেদন জানানো হয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একমাত্র ভারতই এই আবেদনে সাড়া দিতে সক্ষম। একমাত্র ভারতেরই পর্যাপ্ত ক্ষমতা আছে এবং কোলকাতা থেকে উত্তর দিকে কুচবিহার পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তনের সাথে সীমান্ত সংযোগ আছে। আর, একশ মাইল দূরে তিব্বতের সুউচ্চ হিমালয় রেঞ্জে কম্যুনিস্ট চীনের সৈন্যবাহিনী আছে।
পূর্ণ সেন্সরশিপের কারণে পূর্ব পাকিস্তান থেকে অল্প, ছোট ছোট সংবাদ আসছে এবং সম্ভবত সেগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে প্রথমদিকে মৃতের সংখ্যা ছিল ১০,০০০। কিন্তু পাকিস্তান রেডিও বলেছে যে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক যুদ্ধের খবর ভিত্তিহীন এবং দাবী করা হয়েছে, পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের অবস্থা খুব দ্রুত স্বাভাবিক হয়েছে আসছে। কিন্তু এই সন্দেহজনক পরিবেশের মধ্যেই ভারতীয় পার্লামেন্ট থেকে তীক্ষ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে এবং পূর্ব-বাংলায় সাহায্য পাঠানোর দাবী জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় হস্তক্ষেপের পক্ষে দৃঢ় ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জাতির একসুরে গৃহীত গণতান্ত্রিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই’। তিনি মূলত গত ডিসেম্বরের নির্বাচন সম্পর্কে একথা বলেন, যে নির্বাচনে শেখ মুজিব ও তার আওয়ামী লীগের প্রায় পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন নীতিমালার পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল।
মিসেস গান্ধী আরও বলেন, ‘ভারত সরকার পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণ সজাগ এবং সঠিক সময়েই পদক্ষেপ নেবে। শুধু তত্ত্বীয় ভিত্তিতে কথা বলা যাবে না; আমাদেরকে আন্তর্জাতিক আইনকেও বিবেচনায় রাখতে হবে। অবশ্য এটা সত্য যে একটি নিরস্ত্র জাতির ওপর সাঁজোয়া আক্রমণ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে’। বিদেশ মন্ত্রী স্মরণ সিং এর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংসদে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল তার পরপরই প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। স্মরণ সিং তার বক্তব্যে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বলেছিলেন, ভারত সরকার আশা করে যে ‘পরিস্থিতির এই পর্যায়েও পাকিস্তান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবে।’ যদিও, প্রেসের রিপোর্টগুলোর ওপর নির্ভর করে বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে দমন করার জন্য দুই ডিভিশনের বেশী পাকিস্তানী সৈন্য নিয়োগ করা হয়েছে,’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক নির্যাতনভোগকারী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য আমাদের হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে।’
ভারতের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণ মেনন জেনোসাইড কনভেনশন বিধি প্রয়োগের ব্যাপারে ভারতকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও আশা করেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার স্বীকৃতির আবেদন জানালে ভারত স্বীকৃতি দেবে। এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান শ্যাম মানেক্ষো (Sam Manekshow) দ্রুত পুনে সফর শেষ করে দিল্লী ফিরে এসেছেন।
বিশেষত ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কিছু সন্দেহজনক রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও নিঃসন্দেহে বলা যায় যে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক অভ্যুত্থান চলছে। এ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ যে চিত্র পাওয়া গেছে তা থেকে অনুমান করা যায়, ঢাকাতে রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে, এবং ভারতীয় বর্ডার সংলগ্ন শহরসমূহ ও চট্টগ্রাম যাওয়ার প্রধান সড়ক বরাবর প্রধান যুদ্ধক্ষেত্রগুলো বিস্তৃত।
এটা একেবারে স্পষ্ট যে ইয়াহিয়ার সৈন্যবাহিনীর মনোযোগ প্রধানত ভারতের হস্তক্ষেপের অনুকূল পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল এবং সৈন্য আনা নেয়ার প্রধান মাধ্যম চট্টগ্রাম সড়ক বরাবর কেন্দ্রীভূত। যশোরে লুঙ্গিপড়া আওয়ামী লীগের যোদ্ধারা শুধুমাত্র বল্লম ও তলোয়ার সজ্জিত হয়ে বিমান বন্দর দখলের চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এবং পুলিশ বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা শেখ মুজিবের পক্ষে গণজোয়ারে সামিল হয়েছে। ঢাকা থেকে সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের জেনারেল ইয়াহিয়ার প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল টিক্কা খানের গৃহ আক্রমণ করে তাকে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ মাসের প্রথমদিকে যখন শেখ মুজিবুর রহমান তার সফল অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলেন তখন জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ইচ্ছে ছিল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে দায়িত্ব দেবেন কিন্তু পূর্ব বাংলার দেশপ্রেমিক বিচারপতি টিক্কা খানকে শপথ গ্রহণ করাতে অস্বীকৃতি জানান।
সারাক্ষণ ধরে পাকিস্তান রেডিও সযত্নে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে যে পরিস্থিতি ইয়াহিয়ার সামরিক সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । নতুন সামরিক বিধানগুলো সবসময় সম্প্রচার করে সরকারি কর্মচারীদেরকে অফিসে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে এবং অফিসে যোগদানে ব্যর্থ হলে গ্রেপ্তার করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আজ দিনের বেলা ৯ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে রেডিওতে। আর সাংবাদিকদেরকে সব সময়ের জন্যই কারফিউয়ের আওতামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ব পাকিস্তানের এখনও অনুন্য ছয় শতাধিক বৃটিশ নাগরিক অবস্থান করছেন এবং ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন অফিসের সাথে তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগে বৃটিশ মহিলা ও শিশুদেরকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এখনও যেসব বৃটিশ নাগরিক পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান করছেন তাদের অধিকাংশই দূতাবাস কর্মী, ব্যবসায়ী ও চা-বাগান কর্মী। অষ্ট্রেলিয়া সরকার অবিলম্বে অষ্ট্রেলীয় নারী ও শিশুদের অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। এরা সকলেই কলম্বো পরিকল্পনার বিশেষজ্ঞ ও মিশনারীদের পরিবারবর্গ।
কোলকাতা থেকে পাওয়া এক খবরে প্রকাশ পাকিস্তানী সৈন্যদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ২০০ পূর্ব পাকিস্তানী পশ্চিম বাংলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্যার মতো পূর্ব পাকিস্তানী শরণার্থী আগমনের আশঙ্কা করছে। দিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস পার্টির চারজন সাংসদের নেতৃত্বে সহস্রাধিক ভারতীয় নাগরিক পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তারা জেনারেল ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানের ছবিতে অগ্নি সংযোগ করে এবং পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অগ্রাসন বন্ধের দাবী জানায়। পাকিস্তান রেডিও বলেছে, ‘পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের নির্লজ্জ উদ্দেশ্য-প্রণোদিত হস্তক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইয়াহিয়া সরকার।’ অবশ্য ভারত কীভাবে হস্তক্ষেপ করছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
দ্যা অবজারভার
২৮ মার্চ, ১৯৭১
সম্পাদকীয়
জবরদস্থির ঐক্য চলবে না
বিশ্বের কাছে অবিভক্ত পাকিস্তানের গুরুত্ব অপরিসীম। পাকিস্তানের বিভক্তি এশিয়ায় অধিকতর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা রোধ করা কিংবা ঐক্য পুনপ্রতিষ্ঠা করা যাবে না। বরং এই প্রক্রিয়া দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে; বাঙালি জাতীয়তাবাদ আরও তীব্রতা পাবে এবং যেকোনো সমঝোতার সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে তুলবে। সহনশীল এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রাজ্ঞ ব্যক্তি হিসেবে খ্যাত জেনারেল ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক চক্রের চালে আত্মঘাতী পথ বেছে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে দমন করতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের স্বতস্ফুর্ত সমর্থনপুষ্ট ও নেতৃত্ব দানকারী দলটিকেই ধ্বংস করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তদুপরি, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ- বাঙালিরা অধিকহারে পাকিস্তানকে ‘ঔপনিবেশিক প্রভু’ হিসেবে বিবেচনা করতে শরু করেছে। আওয়ামী লীগ এবং এর নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবকে ধ্বংস করার জন্য জেনারেল ইয়াহিয়া ঔপনিবেশিক কায়দায় যে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন এবং বক্তব্য প্রদান করছেন তাতে করে বাঙালিদের এই চেতনা আরও দৃঢ়বদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু গত নির্বাচনের বিজয় শেখ মুজিবকে পুরো পাকিস্তানের নেতৃত্বদানের অধিকার দিয়েছিল। শেখ মুজিবকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যায়িত করা জেনারেল ইয়াহিয়ার সবচেয়ে বড় বোকামী হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। যদিও আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর পথ দুরূহ হয়ে উঠেছে, তবু একটি যুক্তিসঙ্গত সমঝোতার আশা কেবল অবিরত ঐক্যমত্যে পৌঁছার চেষ্টার দ্বারাই করা যেতে পারে। আর যদি আবিভক্ত পাকিস্তান রক্ষা করা একেবারেই অসম্ভব প্রমাণিত হয় তবে সকলের মঙ্গলের স্বার্থেই জনগণকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে না দিয়ে এবং আগামী দিনগুলোতে বাঙালিদের তীব্র আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে একক পাকিস্তানে বাস করতে বাধ্য না করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পাকিস্তানকে দুটি বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভাগাভাগি করে নেয়া উচিত।
দ্যা অবজারভার
২৮ মার্চ, ১৯৭১
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ১
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ২
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৩
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৪
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৫
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৬
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৭
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৮
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৯
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ১০
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ১১
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ১২
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৪