আমি তখন ক্লাস থ্রি'তে পড়ি, আমার বাবা এক রবিবারে আমার জন্য টঙ্গি হাট থেকে একজোড়া অথিতি পাখির ছানা কিনে আনলেন। পাখিটির নাম জানতাম না। পাখির ঠোঁট ছিল লাল রঙের এবং অনেক মোটা এবং পা অনেক লম্বা ছিল।আমি অনেক আদর করতাম পাখি দুটোকে। আস্তে আস্তে পাখি দুটো বড় হতে লাগল, গৃহপালিত প্রাণীর মতই সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসত।আমি প্রায় ৩ বছর পাখি দুটি পালতে থাকলাম, ওনারাও খুব আরামে দিন যাপন করতে থাকলেন। কিন্তু কষ্ট একটাই ছিল পাখি দুটোর ডিম পারার নাম গন্ধও নাই ......
এমন করে কেটে গেল আরও কয়েকটি মাস। হঠাট এক সকালে আম্মু ঘুম থেকে আমাকে তুলে জানালেন যে আমার পাখি একটা ডিম পেরেছে, আমি তো মহাখুশি ।
সারাদিন ঐ ডিমের আশেপাশে বসে থাকলাম, সন্ধ্যেবেলায় দেখলাম আমার পাখি দুইটি আর ঘরে ফিরলনা। অনেক খোঁজ করলাম, আব্বা এলাকার সব জায়গায় খুজে এসে জানালেন যে, কেউ কিছুই জানে না।
আমি সারারাত কান্না করলাম। ৩দিন পার হওয়ার পরও যখন পাখি দুইটির সন্ধান পাইনি তখন সব আশা ছেরে দিলাম।আজো আমার কাছে রহসসময় পাখি দুইটির কি হয়েছিল।
এদিকে আম্মু আমাকে একটি বুদ্ধি দিলেন। বললেন, পাখির ডিমটাকে একটি ডিমে তা (উম দেয়া) দেয়া মুরগীর ডিমের সাথে রেখেদে। আমি তাই করলাম। দেখতে দেখতে ১৫/২০( ঠিক মনে নেই) দিন কেটে গেল, মুরগীর একটা ডিম ফুটল সাথে ফুটল আমার পাখির বাচ্চাটা কিন্তু বাচ্চাটাকে মুরগী ঠোকর দিতে দিতে মেরে ফেলল।আমি বাচ্চাটা হাতে নিয়ে অনেক কান্না করেছিলাম, এত সুন্দর একটি বাচ্চা।ও কি জানত, এই পৃথিবীর শ্রেণীভেদের কারনে ওর এইখানে ঠাই হয়নি? ওকি জানত মুক্ত আকাশের ডানা মেলে উড়তেযে কত সুখ?
আজ বুঝতে পারি কেন সেই মুরগী আমার পাখির বাচ্চাটিকে সেদিন মেরেফেলেছিল।
কারন, মোরগ এসে যদি এই বাচ্চ্চাটিকে দেখে তার কাছে মুরগী কি জবাব দেবে??????
লেখাটি উৎসর্গ করলাম তাদের, যারা abortion নামক ঘৃণিত কাজটি করে থাকে।