স্কুল, কলেজের গন্ডি পার হইয়া ভুপেন ভার্সিটি ভর্তি হইয়াছে সবে মাত্র ৭ দিন হইল। "অনেক বড় হইয়াছি" ভাবিয়া ভুপেন সিধান্ত নিলো এইবার একটা প্রেম তাহাকে করতেই হবে। যেভাবেই হউক।
স্কুলের বন্ধু গজাধর কে সাথে নিয়া ভার্সিটির সামনে দাঁড়াইয়া গেল সে। সবে মাত্র ৭ দিন হইলেও গজাধর সবার সাথে বেশ ভালো খাতির করিয়া ফেলিয়াছে। সকল খবরা খবর তাহার কাছ থেকে পাওয়া জায়।
একজনরে দেখিয়া ভুপেনের বুকে একটু চিনচিন ব্যাথা সুরু হইলো। ইহা গজাধর কে বলা মাত্রই গজাধর জিব কাটাইয়া বলিলো
"সে কি ভুপেন, এ তো বন্ধুর ক্রাশ"
শুনিয়া ভুপেনের বুকের চিনচিন ব্যাথা অচিরেই মিলাইয়া গেলো।
একটু পড়ে আরেকজন জনকে দেখিয়া ভুপেনের বুকে আবার একটু চিনচিন ব্যাথা শুরু হইতে নিলেও গজাধর এর কথা শুনিয়া সেই ব্যাথা আবারো মিলাইয়া গেল।
"উহু! এ বড় ভাইয়ের প্রেমিকা, ওদিকে তাকাস নে"
ভুপেন, কিছুটা আশাহত হইয়া দাড়াইয়া রইলো।
একটু পড়ে ব্যাথা আবার চিনচিন করে শুরু হইলো, গজাধর ইহা শুনিয়া ভুপেনের মাথায় একটা চাটি মারিয়া বইলো "ওহে! এইটাকে আমি পছন্দ করিয়া রেখেছি। ভাবি হ্যাঁয় তুমারা। নজর দিস নে"।
এইভাবে ভুপেনের বুকে চিনচিন ব্যাথা চিনচিন করে শুরু হইতে নেয় আর গজাধরের কথা শুনিয়া ভুপেনের সেই ব্যাথা মিলাইয়া জায়।
"হবেনা, বয়ফ্রেন্ড আছে"
"উহু! আরেকজনের ক্রাশ"
"অমুকের ক্রাশ"
"তমুকের ক্রাশ"
"উহু! ফাকা নাই"
"শালা বড় ভাইয়ের ক্রাশ"
"এহ, এইটা ওর প্রেমিকা"
" বুকড"
"ফাকা নাই"
"তোর ব্যাকাআপ ভাবি শালে"
অবশেষে ভুপেন রাগিয়া গেলো। বুকে চিনচিন ব্যাথা এখন পার্মানেন্টলি ভাবে জাকাইয়া বসিছে। রাগিয়া ভুপেন বলিল "সবে মাত্র ৭ দিন হইয়াছে :3, তাতেই এই। এমন যদি কাউকে দেখিস যার উপরে এখন কারো নজর পড়ে নাই, আমাকে ডাকিয়া তুলিবি, তাহার সাথেই আমি প্রেম করিবো।"
দুইদিন হইয়া গেলো,ভুপেন কে গজাধর আর ডাকিয়া তুলিতে পারেনাই।
না না না ভুপেন মরিয়া জায়নাই, গজাধর এখনো নজর পড়েনাই এমন কাউকে খুজিয়া পায়নাইন। তাই সে ভুপেনকে ডাকিয়া তুলিতে পারেনাই।
সবে মাত্র ৭ দিন হইয়াছিলো ভুপেন ভার্সিটতে ভর্তি হইয়াছে।
মাত্র ৭ দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৬