ছায়াঘেরা রাস্তায় দাড়িয়ে আকাশে তাকালাম
কিন্তু পূর্নিমার উজ্জল চাঁদটিকে
তখনো ততটা অদ্ভুত মনে হয়নি, ফিরে এলাম কৃত্রিম আলোতে
অথচ যখনি তুমি বললে
মুখিয়ে রইলাম কখন চোখ জুড়াবো চাঁদটি দেখে
করছি স্মরন সেই কবিতায় পূর্নিমার ঐ জ্যোৎস্না নিয়ে।
একটু পরেই
কথার সাড়িরা নিয়ে চললো চাঁদের পানে
এই থামো! তোমার সাথে
চাঁদ দেখি আগে, পরেই যাবে
বললে তুমি; দেখবো চলো, দেখবো মোরা চোখের সাথে চোখ লাগিয়ে।
চাঁদকে মোরা মিলিয়ে নিলাম পরস্পরে
খুঁজলে তুমি চাঁদের দেশে অদ্ভুততার মিশ্র খেলা
চারিপাশে করছে খেলা ভেসে বেড়ানো মেঘের ভেলা
কিন্তু এখন হারিয়ে গেলো মেঘের ভেলা কোথায় যেন
শান্ত আলোয় আকাশটাকে আলোকিত করছে যেন।
দু‘জন মিলে বিলিয়ে যাই চোখ দু‘জোড়ায়
দূরে বসে জড়াই দু‘জন পরস্পরে চাঁদের মায়ায়
বলছি মোরা,
চাঁদটি এখন উড়ানো কোন দূরের ফানুশ
গ্রাম শহুরে দেখছে উহা কতই মানুষ
কিংবা উহা ঠিক যেন এক আগুন বেলুন
যায়না দেখা এমনি করে নিত্য নতুন
ঝুলছে কাছে কিংবা দূরে আকাশ মাঝে
যাচ্ছেনা সে বায়ুর চাপে দূরের দেশে নিখিল মাঝে
ইচ্ছে করে ছুইবো মোরা চারটি হাতে একই সাথে
হারিয়ে যাবো দূরের পথে চাঁদের দেশে দুজন মিলে।
জানালা দিয়ে তাকিয়ে তুমি চাঁদের দিকে
ঠিক তখনি তাকিয়ে আমি
তিন তলার ঐ সিড়ির ঘরে চাঁদের পানে জানালা খুলে
চলছি মোরা দূর আকাশের চাঁদের দেশে
ঘুরছি মোরা হাতের সাথে হাত মিলিয়ে
হারিয়ে ফেলি নিজেই নিজে পরস্পরায় পরস্পরে
স্বপ্ন বুনি দেখবো মোরা জ্যোৎস্না আলো জনম ধরে
গল্প করে কাটিয়ে দিবো তোমার কোলে
রাখবে মাথা আমার কাঁধে চুপটি করে
জড়িয়ে নিবো তোমায় আমি আমার বুকে
রাখবো তোমায় আমার পাশে জনম ধরে
থাকবো মোরা দুজন মিলে দুই জনমে।