ধুর মেজাজটা গরম হচ্ছে। সামনে Iphone 7 নামছে। বাবাকে বললাম ওটা নিবই। সম্ভাব্য দাম শুনে বাবা বলল না হবে না।
মেজাজটাই বিগড়ে গেল। বন্ধুরা সবার দামি দামি ফোন। আমাকে খোটা দেয়। আমি নাকি এন্ড্রয়েডেই পড়ে রইলাম। তাই তো, এন্ড্রয়েত রিক্সাওয়ালাও ব্যাবহার করে । তার আর আমার মাঝে ফারাক কি থাকল?
এদিকে বাবাকে বলাতে তো চোখ কপালে, মাঝে মাঝে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হয়।
.
.
রফিক সাহেব বেসরকারি ব্যাংকের চাকুরে,
বসের রুম থেকে মুখটা গোমড়া করে বের হলো। প্রচুর গালি খেয়েছে । কিছু টাকার হিসেব মিলছে না।
বস ভিষন বিরক্ত। জাতি তুলে গালি দিয়েছে। রফিক সাহেব ডেস্কে বসলেন। পিয়নের কাছে ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি চাইলেন। দিতে দেড়ি হওয়াতে পিয়ন কে সেই ঝাড়ি। বসের রাগ পিয়নের উপড় ঝাড়লেন।
রাতে বাড়ি ফিরে,
বৌ বলছে, শুনছ,,গরু কিনবা কবে? ঈদ তো এসে গেল। পাশের বাসার ভাবিরা ৩ লক্ষ টাকার গরু কিনেছে, দুজন মিলে ভাগ করে নিবে । শুননা, আমি বড় মুখ করে বলে এসেছি, আমাদের গরু ভারত থেকে আসছে, অর্ডার দেয়া, খুব বড় দামও ৪ লাখের মত। আমার মুখে ছাই দিওনা গো। বড় আশা করে ফ্রিজ খালি করেছি আর হ্যা,,একটা ডিপ ফ্রিজও নিতে হবে।
রফিক সাহেব কিছু না বলে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলেন।
ছেলেকে ডাকল।
ছেলে বাবার সাথে খাবে না। আইফোন কিনে দিতে রাজি হয় নি।
পরদিন অফিস থেকে ফেরার পথে ইয়া মস্ত গরু কিনে ফিরল রফিক সাহেব। পিছনের ভ্যানে বড় ডিপ ফ্রিজ। বৌ মহাখুশি, মনে মনে ভাবছে, এবার ১ টুকরো গোশ্তও কেউ পাবে না। এদিক ওদিক করব না।
দুপুরে খাওয়ার সময় ছেলেকে ডেকে প্রয়োজনিয় টাকা দিয়ে দিল। মহাখুশি সবাই।
পরদিন ঈদ।
সকালে গোসল করে ঈদের নামাযের জন্য বের হচ্ছিল বাপ ছেলে, সেই মুহুর্তে পুলিশের গাড়ি।
আপনি রফিক?
- হমম। ( কাপা গলায়।)
- একটু থানায় যেতে হবে আমাদের সাথে।
- ওহ চলুন।
- এই হ্যান্ডকাপ লাগাও।
- নানা, লাগবে না, আমি সেচ্ছায় যাচ্ছি।
বাড়ি থেকে বৌ, ছেলে দৌড়ে এসে, কি ব্যাপার ঘটনা কি? ওনাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছেন ক্যান?
- ওনার বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১০