এই যে মিষ্টার শুনছেন
আমাকে বলছেন???? ( পিছনে ফিরে ভ্যাবাচ্যাকা খেল রুদ্র এক তরুনি তাকে ডাকছে, বয়স ২৫ কি ২৬ হবে। পড়নে হলুদ জামা, চুল গুলো খোলা বাতাসে উড়ছে। হলুদ রংয়ের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে রুদ্রর। একজন কে হলুদ রঙয়ের জামায় অপরুপা লেগেছিল তার, তখন থেকেই সে হলুদের ভক্ত)
-জ্বি আশেপাশে তো আর কেউ নেই।
-জ্বি বলেন
-কটা বাজে বলুন তো
- এখন বাজে ( সময় বলতে গিয়ে আটকে গেল রুদ্র। ঘড়িটা বন্ধ হয়ে আছে তার। অথচ একটু আগেও ঠিক ছিল। )
কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে পকেটে হাত দিল মোবাইল টা বের করার জন্য। তখনই মনে হল গত রাতে ব্যাটারি খোলার পর সময় সেট করা হয়নি)
সরি ম্যম ঘড়িটা বন্ধ হয়ে গেছে।
-বাহ টাইমলেস মানুষ। ঘড়ি কি ফ্যাশনরে জন্য ব্যাবহার করেন??
- না মানে ইয়ে
- ধুর যত্তসব
রুদ্র একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্জিনিয়ারিং শেষ করেছে। মেধাবি কিন্তু ভাগ্যাহত।
গতবছর পি ডি বি তে চাকরির পরিক্ষায় সে অনেক নাম্বার পেয়ে ২য় হয়েছিল, কিন্তু ঘুস দিতে নারাজ হওয়ায় চাকরিটা হয় নি।
আজ একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকররি ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে সে ।,
মনটা ভিষন খারাপ হয়ে গেল রুদ্রর। অচেনা একটা মেয়ে কত্ত বড় সাহস গালি দিয়ে গেল। ইচ্ছে হচ্ছে কষে থাপ্পড় দেযার। তা তো হবেই মেযেটা যে সামনে নাই। থাকলে তো কথাই বেরুত না মুখ দিয়ে। এমন বহুবার হযেছে। ছোট বেলায় যখন ৯ম শ্রেনীতে সে পড়ত , তখন একটা মেয়েকে পছন্দ করেছিল, বহুবার সামনে গিয়েছে , হাটু কাঁপার কারনে কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু প্লান করেছে বহুবার। আজ সে অন্যের ঘরণী।
সকালটাই নষ্ট। এই চাকরি হবে না সিওর। যেতে ইচ্ছে করছে না।
না গিয়ে আবার উপায় ও নেই। কিন্তু রাস্তায় যানযট প্রচুর। যদিও ২ ঘন্টা আগেই বেরিয়েছে সে।
পৌছল ৩০ মিনিট দেড়িতে।
ডাক পড়ল,
ভিতরে গেল রুদ্র।
অবাক হয়ে গেল ভাইভা বোর্ডে সেই মেয়েটি। হলুদ জামা, খোলা চুল।
-কি ব্যাপার মি টাইমলেস। আপনাকে দিয়ে তো জব হবে না।
-হবে ম্যাম
-৩০ মিনিট দেড়ি করে এসেছেন কেন
-যানযট ছিল
-ওখান থেকে তো আমিও এসেছিলাম, আগে কিভাবে এলাম??
-জানিনা ম্যাম
-আপনি আসুন , আপনাকে সিলেক্ট করা হলে জানানো হবে
-আচ্ছা ম্যাম ।
আজো এল না সেই খবর।
কপালটাই খারাপ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২২