এই বন্ধের সুযোগে লক্ষীপুরের হাজীরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার এলাকার একজন নিরীহ মানুষকে হয়রানীর অভিযানে নামে।
অভিযোগে জানা যায়, উক্ত এলাকার একজন নাগরিক ১৩/১/২০১৫ তারিখে গ্রাম আদালতে নালিশ করে ।
সেই নালিশের প্রেক্ষিতে তারিখে ২০/১/২০১৫,২৮/০১/২০১৫,৪/২/২০১৫ ও ১১/২/২০১৫ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদে সালিস বসে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮/২/২০১৫ তারিখে বিচারের লিখিত রায় দিবেন বলে সাব্যস্ত করেন। কিন্তু দিন তারিখ যায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখিত কোন রায় দেয় না।
ইতিমধ্যে স্থানীয় মান্দারি বাজারের একজন সহৃদয় ব্যাক্তি জনৈক দলিল লেখক বাদীর কাছে গিয়ে বলে যে, চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটা প্রতারক চক্র তোমার সমুদয় সম্পদ দলিল রেজিস্ট্রি করার মাধ্যমে হস্তান্তরের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তুমি সাবধান থাকবে।
এমতাবস্থায় চেয়ারম্যানকে বার বার লিখিত রায়ের জন্য ফোন করা হয় কিন্তু চেয়ারম্যান ফোন ধরে না।
দলিল লেখকের কথা শুনে এবং চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পেরে বাদী জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ থানায় জিডি করে।
অতঃপর গতকাল ভোর ছয়টায় এবং আজ সরকারী বন্ধের দিন সকালে দু’দফায় স্বয়ং বাদীর বাড়িতেই চেয়ারম্যানের লোকজন গিয়ে হাজির হয়।
বাদীকে চেয়ারম্যানের নোটিস বা লিখিত রায়ের কোন আদেশ দেয়নি। ধরে আনতে যাওয়া লোকজন কাগজটি পড়ে শোনায় যে, চেয়ারম্যান ধরে আনতে বলেছে কিন্তু কাউকে কাগজটি দেখতে দেয় না।
এমতাবস্থায় জিডির কারনে নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত চন্দ্রগঞ্জ থানার এস আই
জাহাংগীর আলমকে ফোন দিয়ে বিষয়টা জানানো হয়। কিন্তু সে সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বা পরে ফোনও ধরেনি।
সন্ত্রাসের জনপদ লক্ষীপুর। লাল বাহিনী, নীল বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী নিয়ন্ত্রন করে বিভিন্ন এলাকা। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে চলে হত্যা, খুন, বন্দুকযুদ্ধ। দেশের আর দশটি জেলার মত নয় লক্ষীপুরের প্রশাসন। দুস্কৃতিকারীদের জন্য এখানকার আইন কানুন শিথিল, আইনের ব্যবহার হয় সাধারন মানুষকে হয়রানীর জন্য। প্রশাসনের নাকের ডগায়, আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে বিভিন্ন বাহিনী গড়ে উঠে কিন্তু যখনই তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তখনই ঘটনা গুলো সংবাদের শিরোনাম হয়।
উপরে জিডির দরখাস্তটি খেয়াল করুন। আবেদন করা হয়েছে পুলিশ সুপার বরাবর। কিন্তু বাদীকে পুলিশ সুপারের রুমে ঢুকতে দেয়নি সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নাসিম মিয়া। উপরন্তু লক্ষীপুর ত্যাগ করা রামেন্দু মজুমদার ও বাপ্পা মজুমদারদের পরিনতির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে নাসিম মিয়া বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভারত পাঠিয়ে দেয়া হবে।